অস্তিত্ব সংকটে পাবনার পোল্ট্রি খামারিরা
পোলট্রি
সম্প্রতি পোল্ট্রি শিল্পে খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি একদিনের বাচ্চা, ভ্যাক্সিন,ভিটামিন, শ্রমিক ও বিদ্যুৎ খরচসহ অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধিতে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছেন পাবনার প্রান্তিক খামারিরা। উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারমূল্য কম হওয়ায় ক্রমাগত লোকসান গুণছে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট খামারিরা। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে সরকারের হস্তক্ষেপ চান তারা।
পোল্ট্রি খামারিরা জানালেন, জেলায় পোলট্রি শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় দশ হাজার খামারি। খাদ্যের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি, ডিম, মুরগীর কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় লোকসানে খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
নানা অজুহাতে ক্রমাগত বাড়ছে পোল্ট্রি শিল্পে মুরগীর বাচ্চা ও খাদ্যের দাম। কিন্তু সেই অনুপাতে বাড়েনি ব্রয়লার মুরগী ও ডিমের দাম। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ৫০ কেজির প্রতি বস্তা খাদ্যের দাম কয়েক দফা বেড়ে ১৭০০ টাকা থেকে ২৭৫০ টাকায় ঠেকেছে। ফলে লোকসানে পড়েছেন পাবনার প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সারাদেশের মুরগী ও ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিতে খাদ্য ও বাচ্চা উৎপাদক কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়িয়েছে। ক্রমাগত লোকসানে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন আনেক খামারি।
নিম্নমানের বাচ্চা সরবরাহ করায় খামারে প্রায়ই মুরগি মারা যাচ্ছে বলেও জানালেন খামারীরা। নিম্নমানের খাদ্যের কারণে কাঙ্খিত বৃদ্ধি না হওয়ায় কারণেও লোকসান হচ্ছে খামারিদের।
পাবনা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আল মামুন হোসেন মন্ডল জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বাড়ায় খাদ্য বাচ্চার দাম বেড়েছে তবে নিম্নমানের বাচ্চা ও খাদ্য নিয়ে খামারিদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
পোল্ট্রি শিল্প ও খামারিদের রক্ষায় খাদ্য ও বাচ্চার দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।