৫:৩০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নদীতে মিলছে না মাছ, পেশা পরিবর্তনে জেলেরা
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ৫:০৮ অপরাহ্ন
নদীতে মিলছে না মাছ, পেশা পরিবর্তনে জেলেরা
মৎস্য

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মাঝিপাড়া গ্রামের বলরাম চন্দ্র। চার দশক ধরে যুমনা নদীতে মুঠোজাল দিয়ে মাছ ধরে তা বাজারে বিক্রি করে ছয় সদস্যের পরিবারের ব্যয়ভার বহন করে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে নদীতে চাহিদামতো মাছ মিলছে না। সারাদিন নদী, খাল-বিলে জাল ফেলেও দুই থেকে তিনশ’ টাকার মাছ ধরা না পাড়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন বলরামের মতো মাঝিপাড়ার হরিচন্দ্র, নিপেন, কার্তিকসহ অর্ধশত পরিবারের অভিবাবক জেলেরা।

বংশপরম্পরায় প্রাকৃতিক উৎস্য নদী, খাল-বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে জেলার সাত উপজেলার ৩৪ হাজার ২২৭ জন। আর মৎস্য অফিসের মাধ্যমে নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৭৫ জন।

অথচ বর্তমানে মৎস্যজীবী পরিবারের সংখ্যা ৫ হাজারের বেশি হবে না বলে জানান ফুলছড়ির বালাসীঘাটের মৎস্যজীবী সমিতির সদস্য বিধান চন্দ্র। তিনি বলেন, নদী বা খাল-বিলের ওপর নির্ভর করে সংসার চালানো কঠিন। একারণে এই পেশা ছেড়ে মানুষজন ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মুক্ত জলাশয় এখন আর মুক্ত নেই, স্থানীয় প্রভাবশালীরা খাল-বিল দখল করে মাছ নিধন করছেন। যার ফলে, মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরা পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।

ফুলছড়ির গজারিয়া গ্রামের উৎপল চন্দ্র জানান, নদীতে মাছ ধরে আর সংসার চলে না। স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরনের জাল কিনে নদীতে মাছ ধরছেন। ক্রমান্নয়ে কমে যাচ্ছে মাছের পরিমাণ। এ কারণে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে মাছ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হয়েছি। এতে সংসারের অভাব-অনটন কিছুটা কমেছে বলে তিনি জানান।

উত্তরাঞ্চলভিত্তিক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণউন্নয়ন কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী এম. আবদুস সালাম জানান, এসব পরিবারের লোকজনের কোন আর্থিক সামর্থ্য, সঞ্চয় ও ভিন্ন কর্মদক্ষতা না থাকায় কষ্টে জীবনযাপন করছে।

তিনি মনে করেন, সময়ের বিবর্তনে এসব পরিবারের জীবনজীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। এজন্য তিনি জেলে পরিবারের শিশুদের শিক্ষা ও যুবদের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ নিয়ে আয়-উপার্জনমূলক কর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া উচিত বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার জানান, নদীর নাব্যসংকটে মাছের অভয়াস্থলও আর নেই। আর এর প্রভাব পড়েছে মৎস্যজীবী জেলে পরিবারগুলোতে। এসব পরিবারের লোকজন অনেকেই ভিন্ন পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের জীবনজীবিকার উন্নয়নে সরকারের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop