৬:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চিড়িয়াখানায় কোনরকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৭, ২০২২ ৫:০১ অপরাহ্ন
চিড়িয়াখানায় কোনরকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের জাতীয় প্রতিষ্ঠান চিড়িয়াখানায় কোনরকম অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

সোমবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানায় আকস্মিক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রী একথা জানান।

আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড় এগারোটা পর্যন্ত মন্ত্রী চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রাণীর খাঁচা, প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র, ঔষধ সংরক্ষণ স্থান পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন প্রাণীদের খোঁজখবর নেন এবং তাদের খাবার ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অবহিত হন। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদা, জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. মো. আব্দুল লতিফ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের বিনোদনের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান জাতীয় চিড়িয়াখানা। চিড়িয়াখানার আধুনিকায়ন করে সিঙ্গাপুর, দুবাই এর মানে উন্নীত করার জন্য আমরা মাস্টারপ্ল্যান করছি। ইতোমধ্যে কনসালটেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যাদের প্ল্যান আগামী মার্চ মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। এ প্ল্যানের মাধ্যমে অত্যাধুনিক চিড়িয়াখানা গড়ে তোলা হবে”।

তিনি আরো বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে অবন্তিকা ও দুর্জয় নামে দুটি বাঘ শাবক, জেব্রা, জিরাফ শাবক, আফ্রিকান সিংহ, ইম্পালা,ওয়াইল্ড বিস্ট জাতীয় চিড়িয়াখানায় এবং রংপুর চিড়িয়াখানায় আরো একটি প্রাণী মারা গেছে। এসব প্রাণী কারো কর্তব্যে অবহেলা নাকি রোগ সংক্রমণে মারা গেছে, এ বিষয়গুলো দেখা ও বোঝার জন্য ইতোমধ্যে তাদের পোস্ট মর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, দুই দফা তদন্ত করা হয়েছে। আরো কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তদন্তের জন্য পুনরায় আদেশ দেওয়া হয়েছে। চিড়খানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত অথবা যারা খাবার সরবরাহ করে বা এর উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের দায়িত্বে গাফিলতি, অসহযোগিতা, অযোগ্যতা আছে কিনা, পশু চিকিৎসায় ভেটেরিনারি ডাক্তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে কিনা, অসুস্থ প্রাণীর চিকিৎসা যথাসময়ে হয়েছে কিনা, অসুস্থতার ক্ষেত্রে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন ঘাটতি আছে কিনা এসব বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য আমরা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করেছি”।

চিড়িয়াখানায় সম্প্রতি জন্ম নেয়া নতুন দুটি বাঘ শাবকের নিরাপত্তা ও জীবাণু থেকে সুরক্ষায় মাছি বা অন্য কোন প্রাণী যাতে বাঘের খাঁচায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়ার হয়েছে বলে ব্রিফিংয়ে জানান মন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, “চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবহিত না করে বাস্তবে কি অবস্থা আছে,স্বাভাবিকভাবে প্রাণীরা কি অবস্থায় থাকে সেটা দেখার জন্য আকস্মিক পরিদর্শনে এসেছি। খাবার সরবরাহকারী যথাসময়ে খাবার সরবরাহ করছে কিনা, সরবরাহকৃত খাবার সঠিক পরিমাণে দেয়া হচ্ছে কিনা, খাবারের মান কেমন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দায়িত্ব পালনে যথাসময়ে প্রবেশ করছে কিনা, বিভিন্ন খাঁচায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী, ডাক্তার ও সুপারভাইজার সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে কিনা এ বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়ার পর কারো গাফিলতি, দায়িত্বহীনতা বা অযোগ্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে”।

চিড়িয়াখানার সার্বিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে সময় মন্ত্রী বলেন, “পূর্বের চেয়ে চিড়িয়াখানায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু উন্নয়ন আরও দরকার। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতা আরো দরকার। যেহেতু বিষয়গুলো তদন্তাধীন এজন্য এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত ব্যক্ত করা সঠিক হবে না”

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, “চিড়িয়াখানার সব বিষয় আমরা সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারণ করে দিয়েছি। অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সেগুলো উঠে আসবে। প্রাণীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়মিত না হয়ে থাকলে কেন এটা হয়নি তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের বহন করতে হবে। যে সকল প্রাণীর খাঁচার পরিবেশ আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন সেগুলো কেন করা হয়নি সে বিষয়গুলোও আমরা দেখছি। এখানে একটি প্রাণী তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছে। তারপরও তার পোস্টমর্টেম ও ভিসেরা রিপোর্ট দেশের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা এনেছি। রিপোর্টে সংক্রমণের কথা বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তৃতীয় রিপোর্ট আনা হবে এবং তাতেও আমরা সন্তুষ্ট না হলে প্রয়োজনে দেশের বাইরে রিপোর্টের জন্য পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, চিড়িয়াখানার মতো প্রতিষ্ঠান আধুনিকীকরণ ও টেকসই করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনবোধে দেশের বাইরে পাঠিয়ে রিপোর্ট আনতে হবে। বাস্তবে খাবারের কোন ত্রুটি বা অব্যবস্থাপনা অথবা এমন কোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়েছে যেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল, এ সামগ্রিক বিষয়গুলো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসার পর আমরা বিবেচনা করবো”।

“এক প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে রোগ সংক্রমণ যাতে না হয় সে জন্য অভ্যন্তরীণভাবে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। রোগ সংক্রমণের বিষয়ে আমরা বাড়তি নিরাপত্তা ও বাড়তি চেকআপের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রাণীদের খাবার দেবার ব্যাপারেও আমরা অতীতের চেয়ে সতর্ক। পুষ্টিসম্মত ও জীবাণুমুক্ত খাবার দেয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া যাতে চিড়িয়াখানায় আর কোনো খাবার না ঢুকে সে ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি।”-যোগ করেন মন্ত্রী।

জনবল সংকট নিরসনে শিগগিরই অস্থায়ী ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের বিষয়েও জানান মন্ত্রী।
চিড়িয়াখানার যেকোন বিষয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলে তা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিতে আনার জন্য এ সময় গণমাধ্যমকর্মীদের অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop