৬:১৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বাগানেই নষ্ট হচ্ছে আম, হতাশায় জ্ঞান হারালেন চাষি!
ads
প্রকাশ : জুন ২৭, ২০২১ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ন
বাগানেই নষ্ট হচ্ছে আম, হতাশায় জ্ঞান হারালেন চাষি!
কৃষি গবেষনা

লকডাউনের কারণে বাজার পড়ে যাওয়া ও যানবাহনের অভাবে ঝিনাইদহে বাগানেই পচে যাচ্ছে আম। পুলিশ ও প্রশাসনের বাধায় করোনার লকডাউনে বাজারে আম তুলতে না পেরে মাথায় হাত পড়েছে সেখানকার চাষিদের।

ঝিনাইদহ কৃষি অফিসে তথ্যমতে এ বছর জেলায় দুই হাজার ২১১ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সদরে ৫৮০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ৩৭০ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৭১০ হেক্টর, মহেশপুরে ৫০০ হেক্টর, শৈলকূপা ২৫ হেক্টর ও হরিণাকুন্ডুতে ২৬ হেক্টর। এসব বাগানে এ বছর ৩৩ হাজার ৫১১ টন আম উৎপাদন হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কাশিমনগর গ্রামের সন্টু জোয়ারদার বাগানে আমের ব্যাপক ক্ষতি দেখে শনিবার দুপুরে বাগানেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তিনিও ঋণ নিয়ে আম চাষ করেছিলেন। ওই গ্রামের সাজেজার রহমানের সবচেয়ে বেশি আম বাগান রয়েছে। তিনি কিছু আম বিক্রি করতে পারলেও এখন আর ব্যাপারীরা আম কিনতে আসছে না। কাশিমনগর গ্রামের মোদাচ্ছের, তোফাজ্জল হোসেন ও আলীনুর রহমানও জানালেন তাদের কষ্টের কথা।

সন্টু জোয়ারদার বলেন, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর ও পিরোজপুর জেলার ব্যাপারীদের পদভারে এ সময় আম বাগান মুখরিত থাকতো। এখন আর কেউ আম কিনতে আসছেন না। কিছু ব্যাপারী আসলেও তারা ৬৮০ টাকা মণ আম কিনতে চাচ্ছেন। এ দামে আম বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে।

কোটচাঁদপুরের আড়তদার মোমিনুর রহমান জানান, করোনার কারণে আম বাজারজাত ও পরিবহন করা যাচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত সবচেয়ে ভালে আম বিক্রি হয়েছে এক হাজার ২০০ টাকা মন। আর বেশির ভাগ আম ৪০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মন বিক্রি হচ্ছে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. আজগর আলী জানান, চাষিদের আম পরিবহন সহজতর করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়াল বিস্তার ও নানা বিধিনিষেধের কারণে চাষিরা আম বিক্রি করতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop