৩:২২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ঠাকুরগাঁওয়ের করল যাচ্ছে দেশের সব জেলায়
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২২ ৯:৪০ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ের করল যাচ্ছে দেশের সব জেলায়
কৃষি বিভাগ

ঠাকুরগাঁও জেলায় করলা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় গতবারের তুলনায় করলার ফলনও হয়েছে দ্বিগুণ। অল্প সময়ে কম পুঁজিতে বেশি লাভ হয় বলেই তারা করলা চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

এ জেলায় উৎপাদিত করলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও এ জেলার করলা রফতানি হচ্ছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার রাজাগাঁও, আসাননগর, চাপাতি, রাজারামপুর খড়িবাড়ী, দক্ষিণ বঠিনা, উত্তর বঠিনা, ঝলঝলি, ফরিদপুর, বড়দেশ্বরী, ধর্মপুর, বোয়ালিয়া চোপড়াপাড়াসহ রুহিয়ার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২০০ চাষি করলার আবাদ করছেন। সাধারণত বছরে এক জমিতেই দুবার করলা চাষ করা যায় বলে জানান চাষিরা।

সদর উপজেলার পাইকারি সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, জেলার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটাতে কয়েক বছর আগেও অন্য জেলা থেকে করলা আনতে হতো। কয়েক বছর ধরে এ জেলার উৎপাদিত করলাই বিক্রি হচ্ছে বাজারে। শুরুতে প্রতি কেজি করলা ৭০ থেকে ৮০ কিংবা ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রতি মণ করলা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়।

ঠাকুরগাঁও কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, আগস্ট থেকে অক্টোবর ও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসে জমিতে দুবার করলা চাষ করা যায়। সাধারণত রোপণের ৪০-৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। মাত্র দেড় মাসে ফলন পাওয়া যায় বলে এ ফসলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে চাষিদের মধ্যে। তাই এ জেলায় করলা চাষ দিন-দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

চলতি মৌসুমে জেলায় এবার গতবারের তুলনায় করলার ফলনও দ্বিগুণ হয়েছে। পাশাপাশি এবার দামও ভালো পেয়েছেন চাষিরা। চাষিদের কাছ থেকে সংগৃহিত করলা এ অঞ্চলের সবজির স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম বরিশালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২৯০ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হয়েছে। পানি জমে না এমন উঁচু-মাঝারি জমিতে করলার ভালো চাষ হয়। কৃষি বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে চাষিদের পাশে আছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ডা. আবদুল জলিল বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৬৮৭ হেক্টর জমিতে করলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ফলন হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার কেজি। এবার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় আগামী দিনে এর চাষ আরও বাড়বে বলে আশা করছি। এর ফলন আরও ভালো করার লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের প্রয়োজনীয় সহায়তাসহ পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop