৬:০০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • কবুতর পালনে স্বাবলম্বী ওরা
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২১ ৫:০৪ অপরাহ্ন
কবুতর পালনে স্বাবলম্বী ওরা
পোলট্রি

‘বাক বাকুম পায়রা, মাথায় দিয়ে টায়রা’ একসময় দৃষ্টিনন্দন পায়রার ছড়া কবিতা লেখা হতো। শখের বশে অনেককেই পায়রা লালন পালন করতে দেখা যেতো। কালের বিবর্তনে পায়রা বা কবুতর এখন আর শখের পোষা পাখি নয়। কবুতর এখন ব্যবসা বা স্বাবলম্বী হওয়ার উপকরণে পরিণত হয়েছে।

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই গ্রামের সুমন মিয়া নামে জনৈক ব্যক্তি শখের বশে কবুতর পালন শুরু করলেও বর্তমানে তা বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এ কবুতর পালন প্রকল্পটি লাভজনক হওয়ায় এতে স্বাবলম্বী হয়েছেন সুমন মিয়া। সুমন মিয়ার এ উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে শায়েস্তাগঞ্জের অনেক বেকার যুবক সুখের স্বপ্ন দেখছেন।

বাড়ির আঙিনা বা বাসার ছাদে এই কবুতর লালন-পালন করা হচ্ছে। এতে আয় যেমন হচ্ছে তেমনি বেকারত্ব ঘুচাচ্ছে যুবকদের। এমন সম্ভাবনাময় প্রকল্পে বাণিজ্যিকভাবে লালন-পালনে উৎসাহী হয়ে উঠছেন স্থানীয় যুবকরা। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের সুরাবই গ্রামের কাজী বাড়ির সুমন মিয়া গত ৩ বছর ধরে বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন শখের কবুতরের খামার।

বাসার ছাদে তারের জালির বেড়া ও উপরে টিন দিয়ে তিনি খামার নির্মাণ করেছেন। সুমন মিয়ার খামারে ৩টি স্তরে আলাদা আলাদা করে কবুতর রাখা হয়েছে। সাদা, কালো কিংবা গোলাপি রঙের কবুতর দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। কিছু কবুতর আবার তিনি আলমিরার মতো সাজিয়ে রেখেছেন। সুমন মিয়া ১০ জোড়া কবুতর দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। বর্তমানে তার খামারে ৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। এর মাঝে রেডস চেগার, সবজি রেসার, নাসকি রেসার, মিলি রেসার, কালো বাগদাদী, হোয়াইট বাগদাদী, কালো ময়না ওমা ও গ্রিজেল রেসার জাতীয় কবুতর রয়েছে। ক্রেতাদের কাছে এসব বাহারী নামের কবুতরের বেশ চাহিদাও রয়েছে।

এ বিষয়ে সুমন মিয়া জানান- এসব কবুতরের জন্য তিনি ৬৫ টাকা কেজি দরে মিশ্র খাবার কিনে নিয়ে আসেন। প্রতি মাসে ৫/৭ হাজার টাকা তার খাবারের পেছনে ব্যয় হয়। তিনি নিজেই খামারের পরিচর্যা ও দেখভাল করে থাকেন। সুমন মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, এ পর্যন্ত তার ৩৪টি কবুতর মারা গেছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ঠাণ্ডা লেগে রাণীক্ষেত রোগে মারা যায়। পরে তিনি ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে সব কবুতরের শরীরে পুশ করেছেন। তার ইচ্ছা খামার আরও বড় করবেন।

মাসুক ভাণ্ডারী নামে আরেক সৌখিন ব্যক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে শখের বসে কবুতরের খামার দিয়েছিলেন। ব্যস্ততার কারণে তিনি সময় দিতে না পারায় খামারের কবুতর বিক্রি করার জন্য ক্রেতা খুঁজছেন। তার খামারে প্রায় ৫০-৬০ জোড়া কবুতর রয়েছে।

খামারিদের দেয়া তথ্যমতে- ঠিকমতো খাদ্য ও পরিচর্যা পেলে কোনো কোনো কবুতর দুই-তিন মাস পরপরই বাচ্চা দেয়। আর প্রতি জোড়া কবুতর ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। যে কারণে শুধু বেকার যুবকরাই নয়, কবুতর পালনে এগিয়ে এসেছেন জেলার অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। নিজেদের বাসা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ছাদে খাঁচা তৈরি করে পালন করছেন দেশি-বিদেশি নানা জাতের কবুতর।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে জানান, এখন অনেক যুবকই নিজ উদ্যোগে কবুতর পালনে এগিয়ে আসছেন। বেকার যুব সমাজকে কবুতর পালনে এগিয়ে আসতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এটি একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া কবুতর পালনে শ্রম ও খরচ কম। তাই এ পেশায় যুবকরা বেশি ঝুঁকছে।

নি বলেন- ‘আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আমরা কবুতরের জন্য কৃমির ওষুধ, ভ্যাকসিন বিনামূল্যে প্রদান করবো।’ এছাড়া যেকোনো পরামর্শের জন্য তিনি খামারিদের যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করেছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop