৭:১০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আগাম রূপবান শিমে মুখে হাসি ফুটেছে কুমিল্লার কৃষকের
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১ ৬:৫১ অপরাহ্ন
আগাম রূপবান শিমে মুখে হাসি ফুটেছে কুমিল্লার কৃষকের
কৃষি বিভাগ

শিম শীতকালীন সবজি। কিন্তু গ্রীষ্মে আগাম লাগানো শিম চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ করা হয়েছে আগাম রূপবান প্রজাতির শিম। আগাম শিম বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কৃষকরা পাইকারি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। রূপবান জাতের শিম চাষ করে এ এলাকার কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ২০ হেক্টর জমিতে দুই শতাধিক চাষি আগাম শিম চাষ করেছেন। উপজেলার মোকাম ও ডুবাইচর গ্রামের মাঠে বেশি শিমের আবাদ হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ শিমের আবাদে ভরে গেছে। অনেক কৃষক শিমের ক্ষেতে কাজ করছেন। আবার কেউ ক্ষেত থেকে শিম তুলছেন।

শিকারপুর গ্রামের শিমচাষি আলমগীর ইসলাম জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে আগাম রূপবান জাতের লাল শিম লাগিয়েছেন। দেড় বিঘা জমিতে তার সার, সেচ, কীটনাশক, বাঁশের চটি, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে তিনি দুই দফায় ৫ হাজার টাকার শিমও বিক্রি করেছেন। প্রথম দফায় ৭০ টাকা ও দ্বিতীয় দফায় ৬০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেছেন। অবশ্য খুচরা বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করছেন।

তিনি আরো জানান, আগাম লাগানো এ শিম গাছ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত শিম পাওয়া যাবে। ৬ মাসে তিনি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারবেন। অবশ্য বাজার ভালো থাকলে অনেক সময় লাখ টাকার শিম বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে।

ডুবাইচর গ্রামের চাষি জহিরুল ইসলাম বলেন, এখন কয়েক মাস শিমের দাম ভালো পাওয়া যাবে। শীতের সময় শিমের দাম কমে যায়। তখন কৃষকদের ১০/১২ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করতে হয়। খুচরা বিক্রেতা তখন ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে শিম বিক্রি করেন। সবমিলিয়ে খরচ বাদে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান।
মোকাম গ্রামের আনু মিয়া ২ বিঘা জমিতে একই গ্রামের আলী মিয়া দেড় বিঘা জামিতে শিমের আবাদ করেছেন। তাদের মতো উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের একাধিক চাষি শিমের আবাদ করেছেন। এসব চাষিরা ক্ষেত থেকে শিম তুলে কয়েক দফায় বাজারে বিক্রিও করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় রূপবানে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বুড়িচং উপজেলায় আগাম জাতের শিমের চাষ বেশি হয়েছে। এ এলাকায় শতাধিক কৃষক আগাম জাতের শিমের চাষ করেছেন। এসব চাষিদের সার, বীজ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের সার্বিকভাবে কৃষিবিষয়ক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাসস

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop