৭:১৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নকল সার-কীটনাশক ফেলে পালালেন মালিক
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৩, ২০২২ ২:২৬ অপরাহ্ন
নকল সার-কীটনাশক ফেলে পালালেন মালিক
পাঁচমিশালি

পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩টি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল সার ও কীটনাশক জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ওই তিনটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলার আই-কে রোডের সলিমপুর ডিগ্রী কলেজের পাশে অবস্থিত ওই তিনটি গোডাউন। আব্দুল হালিম, জহুরুল ইসলাম ও মাসুদ রানা নামে তিন ব্যক্তি তিনটি গোডাউন ভাড়া নিয়ে নকল সার ও কীটনাশক উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ করে আসছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, গোডাউনগুলো থেকে কৃষি কেয়ার, রাফি ফার্টিলাইজার, এক্সপোর্ট ফার্টিলাইজার, রিয়েল ফার্টিলাইজার নামের বেশ কয়েকটি কোম্পানির নাম দিয়ে ৯৯৫ বস্তা সার ও ১৪শ ৪০ কেজি প্যাকেটজাত জিপসাম (মুক্তা জিপসাম, সুপার জিপসাম নাম মুদ্রিত), ৫০০ কেজি বোরন, (সেলুলোজ বোরণ, বিজলী বোরণ নাম মুদ্রিত), ১৭৮ বোতল ভিটামিন (ভিটামিন মিক্স নামে মুদ্রিত), ৮১০ বোতল কীটনাশক (প্লাস কমপ্লেক্স নামে মুদ্রিত), ৪২০ বস্তা লবণসহ সেফরন দানাদার, স্টার মেগা সালফার নামের বিভিন্ন সার ও কীটনাশক জব্দ করা হয়। এ তিনজন ব্যবসায়ী বিভিন্ন কোম্পানির স্টিকার লাগিয়ে নকল সার ও কীটনাশক বাজারজাত করে আসছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে আরো জানা গেছে, অন্তত ৩০ রকমের ভেজাল কীটনাশক ও সার রয়েছে এসব গোডাউনে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে নকল সার ও কীটনাশকের বাজারজাত হয়ে আসছিল। নকল সার ও কীটনাশক মজুদের পাশাপাশি স্থানীয় ছোট ছোট ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে নকল সার ও কীটনাশক চাষিদের কাছে বিক্রি করাও হচ্ছিল। মূল্য তলিকা অনুযায়ী এসব ভেজাল সার-কীটনাশক বিক্রি হতো ৪০ লাখ টাকায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান বুঝতে পেরে গোডাউনের মালিক-শ্রমিকরা পালিয়ে যান বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পি.এম ইমরুল কায়েস এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালত তিনটি গোডাউন সিলগালা করে দেন।

এদিকে এ অভিযানে স্থানীয় কৃষকরা আনন্দিত বলে তারা জানিয়েছেন। বুধবার রাতে উপজেলার বেশ কিছু চাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদীতে ভেজাল সার-কীটনাশকের কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু কোনো অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় ভেজাল ব্যবসা রমরমা চলছিল। চাষিরা এসব ভেজাল সার-কীটনাশক ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। তারা এ অভিযান অব্যাহত রাখা ও ভেজাল কারখানা মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop