১২:৩১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ব্রি-ধান ৮৭ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২১ ৬:১৩ অপরাহ্ন
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ব্রি-ধান ৮৭ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে ব্রি-ধান ৮৭ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকরা

করোনার এই সময়ে বন্যা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, জলাবদ্ধতা দেশের মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। প্রকৃতির এই বৈরীতায় আক্রান্ত হয়েছে দেশের কৃষি ও কৃষক

এরপরেও কম সময়ে, অধিক ফলন পেতে কম খরচে আগাম জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে সফসলতা পেয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর কৃষকরা। এই আগাম জাতের ধানের প্রদর্শনী প্লটে সোনালী শীষের দোলায় কৃষকের চোখে নতুন স্বপ্নের ঝিলিক। এই নতুন জাতের ধানে হাসি ফুটিয়েছে কৃষকের মুখে।

জানা যায়, ব্রি ধান-৮৭ আগাম জাতের ধানে ভরে গেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ। প্রদর্শনী প্লটের উদ্যোক্তা কৃষকরা মনে করেন এই জাতের ধান চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে পাল্টে যেতে পারে দেশের কৃষি অর্থনীতি। পাশাপাশি কৃষকের অবস্থারও পরিবর্তন হবে। এ বছর ধনবাড়ী উপজেলায় সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বোরো-পতিত-রোপা আমন, শস্য বিন্যাসে আধুনিক উচ্চ ফলনশীল ব্রিধান ৭৫ এবং ৮৭সহ আগাম জাতের প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ বাস্তবায়িত প্রদর্শনী প্লটের ধান বৃহস্পতিবার কর্তন শুরু হয়। কর্তনকৃত এ ধান বিঘা প্রতি কৃষকরা পাচ্ছে ২২ থেকে ২৬ মণ হারে। আগাম জাতের ধান হওয়ায় প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৮শত থেকে ৯শত টাকা দরে। অপরদিকে বিঘা প্রতি ধানের খড় বিক্রয় হয়েছে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমিনা খাতুন জানান, ধনবাড়ীতে বোরো-পতিত-রোপা আমন, শস্যবিন্যাস প্রায় সাড়ে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। এ শস্যবিন্যাসের উন্নয়নের জন্য প্রথমত বোরো এবং রোপা আমন ধানের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষা চাষ করে কৃষক লাভবান হতে পারে। সরিষা কেন যুক্ত করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের জন্য আমরা পরনির্ভশীল। প্রতি বছর প্রায় ২.৩ থেকে ২.৪ মিলিয়ন টন ভোজ্য তেল আমাদের আমদানি করতে হয়। এতে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। বোরো-পতিত-রোপা আমন, শস্য বিন্যাসে সরিষা অন্তভুক্তি করতে পারলে ২.৬০ মিলিয়ন টন সরিষা উৎপাদন সম্ভব। যা থেকে বছরে ১.০৪ মিলিয়ন টন সরিষার তেল পাওয়া যেতে পারে। এ উদ্দ্যেশকে সামনে রেখে ধনবাড়ী উপজেলায় বিদ্যমান বোরো-পতিত-রোপাআমন শস্যবিন্যাসে স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন বারি সরিষা-১৪ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহা-পরিচালক শাহজাহান কবীর জানান, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেমস বিভাগ প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে শস্যবিন্যাসের উন্নয়নের মাধ্যমে কৃষকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছে।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমারা যদি সরিষা-বোরো-রোপা আমন উন্নত শস্যবিন্যাস পদ্ধতি অনুসরণ করি তাহলে প্রচলিত শস্য বিন্যাসের তুলনায় উৎপাদনশীলতা প্রায় ৫৬ ভাগ বৃদ্ধি পাবে। এতে করে আমন এবং বোরো উভয় মৌসুমে ধানের ফলন বাড়বে এবং কৃষক লাভবান হবে। এতে করে কৃষি অথিনীতির চাঙ্গা হবে। আমি কিছু দিন আগে নিজ বাড়ী মুশুদ্দি গ্রামে গিয়েছিলাম। এ সময় ধান গবেষণার উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান ৭৫ ও ৮৭ আবাদ দেখে আমার বুক ভরে গেছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop