৩:৩০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চাষাবাদে বদলে যাচ্ছে তিস্তা পাড়ের জীবনযাত্রা
ads
প্রকাশ : মার্চ ১, ২০২১ ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
চাষাবাদে বদলে যাচ্ছে তিস্তা পাড়ের জীবনযাত্রা
কৃষি বিভাগ

লালমনিরহাটে তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন লাখো কৃষক। আর এতে করে নতুন রুপ ধারণ করেছে তিস্তার পাড়ও। চরের পতিত জমিতে কীটনাশক ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে অভাব দূর করছেন তারা।

চাষিরা জানান, চরের জমিতে সবজি চাষ করা কষ্টের কাজ। তবে পুঁজি কম হওয়ায় অনেক লাভ। চর এলাকায় ফসলও ভালো হয়।

চর গোকুন্ডার কৃষক ফয়জার আলী বলেন, আমার যেটুকু জমি ছিল তা তিস্তার পেটে চলে গেছে। এ কারণে প্রতি বছর এই সময় তিস্তা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে জৈব সার ব্যবহার করে আলু, শিম, করলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাদাম চাষ করি। ফলন ভালো হওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে ভালোভাবে দিন কাটাতে পারি।

তিস্তার চরের চাষাবাদ নিয়ে আশাবাদী লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শামীম আশরাফ।

তিনি বলেন, চরের জমিতে পানির যে লেভেল আছে, তাতে সেচ দেয়ার সময় কিছুটা সমস্যা হয়। চরাঞ্চলের এ জমিকে কাজে লাগাতে আমরা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি, তিস্তার চরে উৎপাদিত সবজি কিছুটা হলেও চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, এ বছর চরাঞ্চলে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। কম খরচে লাভবান হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার তিস্তার বুকে জেগে ওঠা চরে সবজির আবাদ হয়েছে অনেক বেশি। রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের পরিবর্তে চাষিরা জৈব সার ব্যবহার করায় আলু, শিম, করলা, লাউ, মিষ্টি কুমড়া, বাদামসহ বিভিন্ন সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর বালাপাড়া, কুটিরপাড় বাঁধসহ লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার অন্তত শতাধিক গ্রামে মিষ্টি কুমড়া, লাল শাক, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির ব্যাপক আবাদ হয়েছে। চরে সেচ পাম্প বসিয়ে তা দিয়ে পানির ব্যবস্থা করে এসব ফসল চাষাবাদ করেছেন কৃষকরা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop