১২:২০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বৃষ্টির পানি কাজে লাগিয়ে চাষাবাদে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের চাষিরা
ads
প্রকাশ : জুন ২৬, ২০২১ ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টির পানি কাজে লাগিয়ে চাষাবাদে ব্যস্ত সিরাজগঞ্জের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

সিরাজগঞ্জ জেলায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে আউশ ধানের আবাদ। বৃষ্টির পানি কাজে লাগিয়ে আউশের আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন সিরাজগঞ্জের কৃষকেরা। এ বিষয়ে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। এছাড়া যথাসময়ে কৃষি উপকরণ বিতরণ করায় আবাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলন ও উৎপাদন আশা করছে সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি প্রণোদনা, বিনামূল্যে আউশ বীজ ও সার বিতরণ করা, উচ্চ ফলনশীল জাতের আউশ ধানের বীজের প্রাপ্যতা এবং মাঠ পর্যায়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ ও মনিটরিংয়ের ফলে সেচ সাশ্রয়ী আউশের আবাদে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে।

সিরাজগঞ্জ সদর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। প্রতি ইঞ্চি জমিকে কাজে লাগাতে হবে। তাঁর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে যেসব জমি পতিত থাকত, কোনো আবাদ হতো না, এবার সেসব জমি আউশের আবাদের আওতায় এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বীজ, সার ফ্রি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া যেখানে সরকারি সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থা আছে, সেখানে সেচও ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এবার বোরো ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক আউশ ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

জেলার কৃষি অফিস সূত্র জানায়, আউশ ধানের আবাদ বৃষ্টি নির্ভর, সেহেতু এ ধান উৎপাদনে সেচ খরচ সাশ্রয় হয়। এবার সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় দেড় হাজার বিঘা জমিতে আউশের আবাদ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি কৃষককে ৩০ কেজি সার, পাঁচ কেজি বীজ ও সেচ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এবার সিরাজগঞ্জে কৃষকেরা আউশ চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বোরো কাটার পরপরই অনেক কৃষক আউশ ধান রোপণ করেছেন। আউশ ধান আবাদে উৎপাদন খরচ কম। পানি সেচ দেওয়ার দরকার হয় না। সেই সঙ্গে কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করতে হয় সীমিত। তাছাড়া এবার বোরো ধানের ভালো দাম পেয়ে আউশ ধান উৎপাদনের উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে।

সদর উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম জানান, ‘ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানি কাজে লাগিয়ে আউশের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি প্রণোদনায় বিনামূল্যে আউশ ধানের বীজ ও সার কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে যেসব জমি পতিত থাকত, কোনো আবাদ হতো না, এবার সেসব জমি আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। ধানের উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি। কৃষককেও নানাভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop