৪:২১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • “ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ” উপদেষ্টা পরিষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ২২, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
“ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ” উপদেষ্টা পরিষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত
প্রাণিসম্পদ

ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ, সক্রিয় সদস্য এবং বাছাইকৃত স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে গত ১২ এপ্রিল অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানটি স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু করে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর জাতীয় সমন্বায়ক অধ্যাপক মো. আহসানুল হক, “ওয়ান হেলথ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর কার্যক্রমের অগ্রগতি” বিষয়ে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপনের মাধ্যমে এ যাবতকালীন গবেষণা প্রকল্পটির সকল কর্মকাণ্ডর একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়। এবং এই প্রকল্পে ইউকে’র সরকারি উন্নয়ন সহায়তার বাজেট হ্রাসের প্রভাব বিষয়টি উত্থাপন করেন।

সভায় ড্রেস্ড পোল্ট্রি মাংসের মান উন্নয়নের বিষয়ে সুপারিশ করেন ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাইন্স এসোসিয়েশান এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলএর সম্মানিত সভাপতিবৃন্দ।

তারা বলেন, বাংলাদেশে পোল্ট্রি সেক্টর উন্নয়নের একটি ধাপ হতে পারে ড্রেসড পোল্ট্রি রপ্তানিকরণ। যা শুরু করার জন্যে পোল্ট্রি খামারকরণে জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশান ও দেশের অভ্যন্তরীণ জবাইখানাগুলোর মান উন্নয়ন এবং প্রচলিত প্রাণি জবাই আইন‘টিকে দৃঢ়ভাবে মাঠ-পর্যায়ে প্রয়োগ করা জরুরি। সেই সাথে প্রয়োজন এর ক্রমবর্ধমান প্রসার।

আলোচনায় উপস্থিত বক্তারা ২৫ দিন বয়সী ব্রয়লার মুরগী বিক্রয় কিংবা জবাই না করে, ৩৫ দিন বয়স পর্যন্ত মুরগী পালন করে তারপর বিক্রয় এবং জবাই করার কথা বলেন।

তারা আরো বলেন, ২৫ দিন বয়সী মুরগীর মাংস পরিপূর্ণভাবে উন্নত হয়না বলে এর স্বাদ অতোটা ভালো হয়না এবং পুষ্টিগত মানও কম থাকে। অতিরিক্ত দিন ব্রয়লার মুরগী পালন করায় খামারীরা যাতে ভালো মূল্যে সেগুলো বিক্রয় করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখা জরুরি।

এছাড়া তারা খামার নিবন্ধনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বলেন, খামারের সঠিক জীব-নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা দেখে খামারীকে খামার পরিচালনা করার বৈধতা দেয়া উচিত। এতে করে খামারে যেমন রোগবালাই কম হবে, তেমনি এন্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগও কমে যাবে। এসব বিষয়ে সরকারি নীতিমালা আরো জোরালো করা প্রয়োজন এবং সেগুলোর বাস্তবিক প্রয়োগ আবশ্যক বলে মনে করেন বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচকরা।

সরকারের সঠিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের পোল্ট্রি সেক্টর আগামি ৫ বছরেরর মধ্যে মাথাপিছু ২১০টি ডিম এবং ১২কেজি মাংস উত্পাদনে সক্ষম হবে। ন্যাশনাল প্ল্যান ফর এভিয়ান এন্ড প্যান্ডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রিপেয়ার্ডনেস প্ল্যান-৩ শিরোনামে তৃতীয় পরিকল্পনা পর্যালোচনা সভা অনলাইনে আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়।

পোল্ট্রি খামারি, মাঠ-পর্যায়ে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ান এবং ভেটেরিনারি মেডিসিন অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ দুইটি অনলাইন প্রশিক্ষণ সিরিজ‍ এর আয়োজন করে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, যা অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

সিরিজ দুইটিতে (১২ টি পর্বের সিরিজ-১ এবং ১৩ টি পর্বের সিরিজ-২) পোল্ট্রি খামারকরণ, রোগবালাই, রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময় এবং জীব-নিরাপত্তাসহ মাঠ-পর্যায়ে পোল্ট্রি সেক্টরে প্রয়োজনীয় নানা বিষয় আলোচনা করা হয়।

খুব শীঘ্রই পোল্ট্রি খামারী এবং আগ্রহী গ্রাহকদের জন্যে সিরিজ-১ ‍এর উপর একটি সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ এবং অনুষ্ঠানগুলোর রেকর্ড এবং ভিডিও করা সংস্করণগুলো সরবারহ করা হবে।

এই গ্রন্থটিসহ ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ, পোল্ট্রি খামারী, মাঠ-পর্যায়ে কর্মরত ভেটেরিনারিয়ানদের এবং ভেটেরিনারি অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্যে সহায়িকাস্বরূপ আরো একটি গ্রন্থ তৈরী করেছে যাতে রয়েছে পোল্ট্রি খামারকরণ, রোগ সংক্রান্ত তথ্যাদিসহ মাংস এবং পোল্ট্রি প্রক্রিয়াজাতকরণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের মধ্যে কোভিড-১৯ এর ঝুঁকি হ্রাসকরণ এবং কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কৌশল নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

তাছাড়া, জীবাণুর বিরুদ্ধে এন্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা বিষয়ে আইসিডিডিআরবি, ফ্লেমিং ফান্ড এবং ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর যৌথ প্রজেক্ট এবং বাংলাদেশে ওয়ান হেলথ্ এপ্রোচ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের সুদূরপ্রসারতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

পরিশেষে, কোভিড-১৯ এর কারণে হাব প্রজেক্টের বাজেট কমে যাওয়ার সত্ত্বেও বর্তমানে এর চলমান কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পোল্ট্রি পণ্য সহজ পরিবহন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই আলোচনা সভাটি শেষ হয়।

অনলাইন সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এবং এনিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, মেজর জেনারেল ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান (মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর), ডা. শেখ আজিজুর রহমান (মহাপরিচালক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর), ডা. মোঃ আব্দুল জলিল (মহাপরিচালক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট), অধ্যাপক ড. নিতীশ চন্দ্র দেবনাথ (জাতীয় সমন্বায়ক, ওয়ান হেলথ্ বাংলাদেশ), অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান (সাবেক পরিচালক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট), অধ্যাপক, ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা (অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়), অধ্যাপক ড. তাহমিনা শিরিন (পরিচালক, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট), অধ্যাপক মো. ড. আব্দুল আলিম (বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ)।

আরো উপস্থিত ছিলেন, মশিউর রহমান (সভাপতি, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল), মো. আবু লুতফে ফজলে রহিম খান (সভাপতি, ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সাইন্স এসোসিয়েশান), ডা. মো. গিয়াসউদ্দিন (সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট), অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস (সিভাসু), ড. আব্দুস সামাদ (মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট), ড. মোজাফ্ফর গণি ওসমানি (প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর), ডা. রাশেদ মাহমুদ (সিভাসু), ডা. মাহমুদুল হাসান (বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ এবং গবেষণা ইন্সটিটিউট), ডা. সুদীপ্তা সরকার (রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট), ডা. নুরুন নাহার চিশতী (সিভাসু), ডা. মেহেরজান ইসলাম (সিভাসু), ডা. সৈয়দা মুনিরা দিলশাদ (সিভাসু), ডা. ইশরাত জাহান ইশা (সিভাসু) এবং অধ্যাপক ড. মোঃ আহসানুল হক (সিভাসু)।

এতে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন agriview24.com

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop