১:২৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা জাহাজের যাত্রা
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ৪, ২০২২ ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা জাহাজের যাত্রা
মৎস্য

ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথমে রয়েছে। দেশের মোট উৎপাদিত মাছের ১২.২২ শতাংশ ইলিশ। সম্প্রতি এ মাছের উৎপাদনে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। উৎপাদন বাড়াতে গবেষণাকে প্রাধান্য দিয়ে ‘এমভি বিএফআরআই গবেষণা তরী’ যাত্রা করছে। আজ খুলনা শিপইয়ার্ডে জাহাজটির শুভ উদ্বোধন করবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।

নদীর নাব্যতা হারা, গতিপথে বাধা, অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধভাবে ফিশিং আহরণসহ গবেষণায় পিছিয়ে থাকা এর অন্যতম কারণ। জেলেদের মধ্যে ভিজিএফ সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকলেও জাটকা ও মা ইলিশ ধরা বন্ধ হচ্ছে না। এ অবস্থায় জেলে ও ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি তথা গবেষণা বাড়ানো নিশ্চিত করতে না পারলে ইলিশ উৎপাদন হুমকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

পৌনে আট কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি জাহাজে ফিশ ফাইন্ডার, ইকো সাউন্ডার নেভিগেশন এবং অত্যাধুনিক টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম, ইলিশ গবেষণা ল্যাবরেটরি, নেটিং সিস্টেম, পোর্টেবল মিনি হ্যাচারিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, জাহাজটি ইলিশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর ইঞ্জিন, জেনারেটর ও স্টার্ন গিয়ার ও প্রোপালশন সিস্টেম উন্নতমানের সংযোজন করাসহ স্ট্যাবিলিটি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপার স্ট্রাকচার অ্যালুমিনিয়াম ম্যাটেরিয়াল দ্বারা নির্মাণ করা হয়েছে। এর সব ইকুইপমেন্ট ও মেশিনারি কমিশনিংপূর্বক গত বছরের ১৯ আগস্ট ট্রায়াল রান টেকনিক্যাল কমিটির উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। জাহাজ পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ইনস্টিটিউটের ১০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী ১৪ দিনের অন-বোর্ড ট্রেনিং করেছেন। ৮৬ ফুট লম্বা ও প্রায় ২০ ফুট প্রস্থ এ জাহাজ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ নৌবাহিনী, নৌপরিবহণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব মেরিনসায়েন্স, মেরিন ফিশারিজ একাডেমির সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মধ্যমে জাহাজটির প্রাক্কলন প্রণয়ন করা হয়। ইলিশ সম্পদ টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশে এর আগে গবেষণায় এমন জাহাজ কেনা বা নির্মাণ করা হয়নি।

মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ডের নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি গবেষণা জাহাজটির সাহায্যে দেশের বেশির ভাগ নদ-নদী এবং সাগর উপকূলে ইলিশবিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফল ইলিশের সহনশীল উৎপাদনে ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনবে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপের কারণে ইলিশের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ইলিশ সম্পদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ইলিশের অভয়াশ্রম সৃষ্টি ও জাটকা ধরা বন্ধ, প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহণ, বিপণন, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, নভেম্বর থেকে জুন আট মাস জাটকা ধরা বন্ধ, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ করা, মৎস্যজীবীদের ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান, বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২ লাখ ২৫ হাজার ৯৬৪টি জেলে পরিবারকে ৯৬ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সরকারের এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ইলিশ আহরণের পরিমাণ ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ২ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। নতুন গবেষণা জাহাজ দিয়ে যথাযথ গবেষণা নিশ্চিত করতে পারলে জাটকা ও মা ইলিশ ধরা রোধ করতে পারলে চলতি অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) প্রায় সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন সম্ভব হবে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় জাহাজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ জাহাজ দিয়ে দেশের বড় বড় সবকটি নদ-নদী এবং সাগর উপকূলে এখন ইলিশবিষয়ক গবেষণা পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop