১২:১৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে উৎপাদক, নিয়ন্ত্রক ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নাই
ads
প্রকাশ : জুন ২১, ২০২১ ৭:৪০ অপরাহ্ন
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে উৎপাদক, নিয়ন্ত্রক ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নাই
পোলট্রি

অধিকাংশ সময় সরকার ব্যবসায়ী ও সরকারের দ্বিপাক্ষিক আলোচনার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন। কিন্তু এসমস্ত উদ্যোগ একটা সময়ে দ্বিপাক্ষিক দেনদরবারে পরিনত হয়। ফলে এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয় বড় বড় কর্পোরেট গ্রুপ, আমদানিকরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে নানাভাবে বঞ্চিত করছে। আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীরা খুচরা ব্যবসায়ীদের ওপর দোষ চাপান এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারীদের ওপর দোষ চাপন। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যে একটি অসমতা বিরাজ করছে। তাই সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হলে উৎপাদক বিশেষ করে খামারী, কৃষক, সরকারের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান ও ভোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কোন ভাবে সফল হওয়া সম্ভব নয়।

আজ সোমবার (২১ জুন) নগরীর মোটেল সৈকত সাম্পান হলে ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ক্যাব বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সংঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইউমেন চেম্বারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেখা আলম চৌধুরী, বিশিষ্ঠ নারী নেত্রী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অ্যাডভোটে রেহেনা বেগম রানু, দেশ টিভির ব্যুরো চীপ ও কনজ্যুমার রাইটস মিডিয়া ফোরামের সভাপতি আলমগীর সবুজ ও থানা প্র্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকিয়া খাতুন। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, ক্যাব পাঁচলাইশ থানার সাধারন সম্পাদক সেলিম জাহাঙ্গীর, ক্যাব নেতা সেলিম সাজ্জাদ, মাজেদ ভাষানী, পোল্ট্রি খামারী মোহাম্মদ রফিক, ক্যাব কর্মকর্তা তাজমুন নাহার হামিদ, শম্পা কে নাহার ও জহুরুল ইসলাম প্রমুখ। পাঁচলাইশ থানা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকিয়া খাতুন ও ক্যাব চট্টগ্রামের মনিটরিং কর্মকর্তা কৃিষবিদ আরিফ আহমেদ পোল্ট্রি উৎপাদনে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত বিষয়ে করনীয় বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন।

সভায় বলা হয় সরকার ও আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলির উদ্যোগে ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নেয়া হলেও নিরাপদ খাদ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান, উৎপাদক, বিপননকারী, খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাদের সমন্বিত ভাবে সক্ষমতা উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। অনেক সময় ব্যবসায়ী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর মিলে মিশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীরা তাদের স্বার্থে সরকারি প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়ে যান। ফলে ভোক্তাদের স্বার্থগুলি ভূলুণ্ঠিত থেকে যায়।

সভাপতির বক্তব্যে ক্যাব কেন্দ্র্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ক্যাব নিরাপদ খাদ্য নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করলেও এখনও আশানুরুপ পরিবর্তন আসেনি। পোল্টি সেক্টরে নানা বিভ্রান্তি দূরীকরণে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দেশের ৩টি বিভাগে ৩টি উপজেলায় ক্যাব পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রকল্প পরিচালনা করছে। যেখানে সরকারের প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিদপ্তর, খামারী, ও ভোক্তাদের সমন্বিত কর্মপ্রয়াসে পোল্ট্রিতে অ্যান্টিবায়েটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার, নিরাপদ পোল্ট্রি খাবার নিশ্চিত, সুস্থ ও পরিবেশ সম্মত ভাবে পোল্ট্রি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষনে খামারী ও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একই সাথে পোল্ট্রি সম্পর্কে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য দূরীকরণে ভোক্তাদের মাঝে সঠিক তথ্য পৌছানোর মাধ্যমে পুষ্টি ও আশিষের চাহিদা পুরণে ভুমিকা রাখছে। উৎপাদক, সরকার ও ভোক্তাদের সমন্বিত এধরনের উদ্যোগ সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন।

সভায় অতিথিরা বলেন, কৃষকের উৎপাদন থেকে ভোক্তার টেবিলে পরিবেশেন পর্যন্ত নিরাপদ খাবার নিশ্চিতের করনীয় বিষয়গুলি যথাযথ ভাবে অনুসরন করা না হলে নিরাপদ খাদ্য ও অনিরাপদ হতে পারে।

একজন ক্ষুদ্র খামারীকে প্রতিযোগিতামুলক বাজারে টিকে থাকতে হলে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে মনোযোগী হতে হবে। সরকার কৃষি প্রযুক্তিতে উৎসাহিত করছে এবং এখানে কর রেয়াতসহ নানা সুবিধা প্রদান করছে। আর উৎপাদনের নিত্যনতুন কলাকৌশল উদ্ভাবিত হচ্ছে।

সেকারনে একজন খামারীকে কম খরচে উৎপাদনের বিষয়টি যেভাবে দেখতে হবে। একই সাথে পুষ্টিমান ও নিরাপদ পোল্ট্রি ভোক্তার কাছে যাচ্ছে কি না তাও নিশ্চিত করতে হবে। পোল্টি খাবার ও মুরগিতে আন্টিবায়েটিকের অতিরিক্ত ব্যবহার রোধে ভোক্তাদের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছাতে সনদধারী পশু চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। কর্মশালায় ২৫জন খামারী ও ১৫জন স্থানীয় ক্যাব নেতৃবৃন্দসহ ৪০জন অংশগ্রহণকারী অংশ নেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop