১২:৩২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • খুলনায় আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৩ ১০:১৯ অপরাহ্ন
খুলনায় আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন চাষিরা!
কৃষি বিভাগ

কৃষকরা বোরো ধানের মৌসুম শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তরমুজ চাষ শুরু করে দিয়েছেন। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসানে পড়তে না হয় তাই কৃষকরা আগাম তরমুজ চাষে নেমে পড়েছেন।

জানা যায়, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কাতিয়ানাংলা এলাকার বিলে চাষিরা তরমুজ চাষ শুরু করেছে। তারা আধুনিক পদ্ধতিতে জমি তৈরী করে বীজ বপন করেছেন। আসন্ন রমজান মাসে বিক্রি করাই তাদের লক্ষ্য।

বটিয়াঘাটার বিলে সরিজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা তরমুজ চাষের জন্য জমি তৈরী বীজ বপন করছেন। কেউ কেউ আবার আধুনিক পদ্ধতিতে তরমুজের চারা উৎপাদন করে চারা দেড় থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হলে তা জমিতে রোপণ করছেন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর দাকোপ উপজেলায় ৭ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়। তারপরেই বটিয়াঘাটায় বেশি চাষ হয়। কৃষকরা ধান চাষের পরেই আর সময় নষ্ট না করে তরমুজ চাষে লেগে পড়েন। গত বছরের তুলনায় এবছর তরমুজ চাষ বেশি হতে পারে।

বিলের তরমুজ চাষি মো. নুর ইসলাম শেখ বলেন, আমি গত বছর ১১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর বোরো ধান উঠে যাওয়ার পর নাবী করে লাগানো তরমুজের ফলন ভালো হলেও পরবর্তিতে ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে হাজার হাজার তরমুজ।

তিনি আরো জানান, আমি এবছর সেই ১১ বিঘা জমিতে আগাম তরমুজ চাষ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে জমিতে বীজও বপন করেছি। আবার কিছু জায়গায় উৎপাদিত চারাও লাগিয়েছি। এখন চলছে পানি দেওয়া ও পরিচর্যার কাজ। ফলন ভালো হলে এই ১১ বিঘা জমির তরমুজ ১২ -১৪ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।

আরেক কৃষক মো. মোশারফ হোসেন শেখ বলেন, আমি এবছর ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। গত বছর লাভ হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে যাওয়ায় বড় বড় তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে গেছে। গত বছরের মতো যেন এবছরও লোকসান না হয় তাই এবছর আগাম চাষ করছি। জমিতে রোপণ করা চারা তিন ইঞ্চি ছাড়িয়ে গেছে। তরমুজ গাছের ভালো ভাবে যত্ন নিচ্ছি। এবছর কাতিয়ানাংলার বিলে ৪৫ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ হচ্ছে।’

বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর চাষিরা লোকসানে পড়ায় এবছর আগাম তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে তরমুজের ভালো ফলন হবে। আর রমজান মাসে তরমুজের চাহিদা থাকবে বলে তারা তখন ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করে লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop