১:০১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
প্রকাশ : এপ্রিল ১৮, ২০২৪ ৩:৪৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রামে ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

দীন মোহাম্মদ দীনুঃ চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই এর সহযোগিতায় এবং স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্প (এসএসিপি), বারি অংগের অর্থায়নে ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ আজ ১৮ এপ্রিল শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম খান বলেন, উৎপাদিত ফল ও সবজির বড় একটি অংশ প্রায় শতকরা ২৩-৪৩ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নষ্ট হওয়া থেকে বাচানো সম্ভব। তিনি সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার গুরুত্বারোপ করে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।


সমাপনী অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মসিউর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লা, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. তোফজ্জল হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, যেখানে একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক প্রায় ২০০ গ্রাম ফল ও ৩০০ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন সেখানে দেশে উৎপাদিত পরিমান অনুযায়ী আমরা পাই মাত্র ৮২ গ্রাম ফল ও ১৬৬ গ্রাম সবজি। উপরন্তু উৎপাদিত ফল ও সবজির শতকরা ২৩.৬০-৪৩.৫০ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। তাই ফল ও সবজির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল অবলম্বন করার পাশাপাশি সংগ্রহোত্তর পর্যায়ের অপচয় এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করাও অত্যন্ত জরুরী। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল চট্টগ্রাম রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেইসব এলাকার ফল ও সবজি পরিবহনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ফলে অধিকাংশই সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে অপচয়ের সন্মুখীন হচ্ছে। তাই উৎপাদন ১০ % বৃদ্ধির চাইতে সংগ্রহোত্তর ক্ষতি ১% কমানো অনেক শ্রেয়। সভাপতি ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণ। প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির বিস্তারের সাথে গ্রহণেরও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই লক্ষ্যেই গত ১৭ এপ্রিল হতে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ জন প্রশিক্ষক তৈরীর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ১৫, ২০২৪ ১০:০১ পূর্বাহ্ন
গোপালগঞ্জে বোরো মৌসুমে চাল উৎপাদনের লক্ষ্য ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন
কৃষি বিভাগ

চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৭ মেট্রিকটন বোরো ধানের চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর গোপালগঞ্জে চালের উৎপাদন ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন বৃদ্ধি পাবে।  আর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ৮১ হাজার ৬৫৩ হেক্টরে । গত মৌসুমে আবাদ হয়েছিলো ৮১ হাজার ২২৯ হেক্টরে। সেই হিসেবে এ বছর জেলায় বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২৪ হেক্টরে।
গত বছরের চেয়ে এ বছর ২ হাজার ৫২ টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অফিস সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আব্দুল কাদের সরদার বলেন, চলতি সৌমুমে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৯৫৮ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। গত বছর হয়েছিল ২০ হাজার ৯২৮ হেক্টরে। বেড়েছে ৩০ হেক্টরে। মুকসুদপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ১৩ হাজার ৩২৩ হেক্টরে।গত বছর চাষ হয়েছিল ১৩ হাজার ২৯১ হেক্টরে। বেড়েছে ৩৩২ হেক্টরে। কাশিয়ানী উপজেলায় চাষ হয়েছে ১১ হাজার ৮৮০ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ১১ হাজার ৭২৫ হেক্টরে। বেড়েছে ১৫৫ হেক্টরে। কোটালীপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ২৬ হাজার ৬১৭ হেক্টরে। গত বছর আবাদ হয়েছিল ২৬ হাজার ৪২০ হেক্টরে। আবাদ বেড়েছে ১৯৭ হেক্টরে।টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৫৭৫ হেক্টরে। গত বছর চাষ হয়েছিল ৮ হাজার ৮৬৫ হেক্টরে। টুঙ্গিপাড়ায় আবাদ কমেছে ২৯০ হেক্টরে। তারপরও জেলায় মোট আবাদ বেড়েছে ৪২৪ হেক্টরে। এতে গত বছরের চেয়ে ২ হাজার ৫২ মেট্রিক টন চাল বেশি উৎপাদিত হবে বলে আশা করছি ।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুমার কুন্ডু বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদন ও আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭০ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ সার প্রদান করা হয়। প্রণোদনার বীজ-সার দিয়ে কৃষক ৭০ হাজার বিঘা জমি আবাদ করেছে। সব মিলিয়ে গোপালগঞ্জে চার্গেটের চেয়েও ৪২৪ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গত কারণেই গোপালগঞ্জ জেলায় ধানের উৎপাদনও বৃদ্ধি পাবে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৩০ হেক্টর জমিতে বোরা ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষককে এ ব্যাপারে সহায়তা, পরামর্শ, প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছি। তারা এটিকে কাজে লাগিয়ে ধানের আবাদ বৃদ্ধি করেছে। এ কারণে এ উপজেলায় প্রায় ১৪৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ৪, ২০২৪ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন
কুমিল্লায় নিরাপদ সবজি চাষে আয় বেড়েছে কৃষকদের
কৃষি বিভাগ

কুমিল্লা (দক্ষিণ), ৩ এপ্রিল, ২০২৪ (বাসস) : জেলায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সবজি গ্রাম। বিষমুক্ত সবজি ওই সব গ্রাম থেকে সরাসরি কৃষকরাই শহরে এনে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বিক্রি করছেন। ফলে ক্রেতারা টাটকা, বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি কিনতে পারছেন। জৈব সার ও বিভিন্ন ফাঁদ ব্যবহার করে এবং পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে কৃষি অফিসের সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। তবে এ নিরাপদ সবজি যাতে ১২ মাস পাওয়া যায় সেই প্রত্যাশা ক্রেতাদের। জেলার চান্দিনা, বুড়িচং, বরুড়া, দেবিদ্বার উপজেলায় দুটি করে মোট ৮টি সবজি গ্রাম রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় গড়ে তোলা ওইসব গ্রামে বেগুন, শিম, টমেটো, ফুলকপি, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির চাষ করা হচ্ছে। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া বিভিন্ন ফাঁদ ও জৈব সার প্রয়োগ করে উৎপাদন করা হচ্ছে সবজি। তরকারির বাজারে বেশ চাহিদাও রয়েছে। অন্যান্য সবজির তুলনায় কৃষকেরা বাজার মূল্যও কিছুটা বেশি পাচ্ছেন।
কৃষক সেলিম রেজা বাসসকে জানান, আমাদের কতগুলো বয়াম দিছে আর ফাঁদ দিছে তাতে পোকা গিয়ে লেগে থাকে। এর মাধ্যমে আমাদের ফলনও বেড়েছে, খরচও কমেছে। আমরা লাভবান হচ্ছি।

কুমিল্লার চান্দিয়ারায় নিরাপদ সবজি গ্রাম থেকে সরাসরি কৃষকরাই বিষমুক্ত এবং টাটকা সবজি কৃষি বাজারে বিক্রি করছেন। এতে কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন তেমনি ক্রেতারাও নিরাপদ সবজি পেয়ে খুশি। তবে ভোক্তারা বলছেন, সারা বছরই যাতে এ বাজার খোলা থাকে। বাজারে আসা ক্রেতা আব্দুল মালেক বাসসকে বলেন, বাজারে এসে শুনলাম এখানে বিষমুক্ত সবজি পাওয়া যাচ্ছে। নিজেদের স্বাস্থ্যর কথা বিবেচনা করে এখান থেকে সবজি কিনি।
কৃষি সম্প্রারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক আইউব মাহমুদ বাসসকে বলেন, বিভিন্ন রকম জৈব বালাইনাশক, ফেরেমোন ফাঁদ, ইয়োলো লাইট ট্রাপ এগুলো ব্যবহার করার ফলে তারা বিষ ব্যবহার কমেছে।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২৪ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে কলা চাষ করে ভাগ্য বদল করছেন চাষিরা
কৃষি বিভাগ

’কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’। খনার ওই বচনটি কাজে লাগিয়ে কলা চাষ করে ভাগ্য বদল করছেন জয়পুরহাটের কলা চাষিরা। রাজধানী ঢাকা , চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ভৈরব সহ দেশের ৩৫ জেলায় যাচ্ছে জয়পুরহাটের কলা।  কলা চাষিদের পরিবারে কেবল ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই নয়। পরিবারের অন্যান্য ব্যয়ের সংস্থানও হয়েছে এ কলা চাষ করে। আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় জেলায় বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। জয়পুরহাট জেলার প্রধান অর্থকরি ফসল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এ কলা। জেলায় বিশেষ করে জামালগঞ্জ ও ভাদসা এলাকার অনেক পরিবার কেবল কলা চাষ করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানান যায়, অন্য যে কোন ফসলের চেয়ে অনেক বেশী লাভ হয় কলা চাষে। বিশেষ করে যমুনা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জে ও ভাদসা ইউপি ভবনের সামনে দূর্গাদহ বাজার এলাকায় কলার বিস্ময়কর বাজার সৃষ্টি হয়েছে। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি এখন কলার চাষও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে জয়পুরহাটে। তেমন পরিচর্যা ছাড়ায় ২/৩ ফুট লম্বা কলা গাছের চারা লাগানোর অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। সাধারনত বৈশাখ মাসে কলার চারা রোপণ করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে কলা পাওয়া শুরু হয়। যেসব জমিতে বর্ষার পানি সাধারণত এক সপ্তাহের বেশি থাকে না সে সকল জমিতে কলার চাষ ভাল হয়। কৃষকরা জানান, একবিঘা জমিতে কলার জাত ভেদে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ কলার চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। যতœ সহকারে কলা চাষ করলে একটি গাছ থেকে ২ থেকে আড়াই মণ কলা পাওয়া যায়। এক বিঘা জমিতে কলা চাষ করতে ১৫/২০ হাজার টাকা খরচ পড়লেও প্রতি বিঘা জমি থেকে কলা বিক্রি হয় দেড় লাখ থেকে দুই লাখ টাকা। যা অন্য কোন ফসলে সম্ভব নয়। কলার জমিতে তেমন লেবার বা পরিচর্যার প্রয়োজন হয়না। ফলে উৎপাদন খরচ খুবই কম।

স্থানিয় কৃষি বিভাগ জানায়, জয়পুরহাট জেলায় এবার ৮শ ৫৫ হেক্টর জমিতে এবার কলার চাষ হয়েছে। এতে কলার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। জামালগঞ্জ এলাকার মাতাপুর গ্রামের কলা চাষী আশরাফুল ইসলাম বলেন, তিনি এবার ৫ বিঘা জমিতে কলার চাষ করেছেন। খরচ বাদে প্রতি বিঘায় এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি। দুর্গাদহ এলাকার কলাচাষি দুদু ময়িা, চিত্ত রঞ্জন বলেন কলা বিক্রিতে কোন ঝামেলা হয় না। পাইকাররা জমি থেকেই কলা কেটে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও জামালগঞ্জে ও ভাদসা ইউপি ভবনের সামনে দূর্গাদহ বাজারে কলার বিশাল হাট বসে প্রত্যেক দিন সকালে ৬০/৬৫ জন আড়ৎদার কলা কিনে ট্রাকে লোড দেন। প্রতি কাইন ( স্থানিয় নাম ঘাউর) বিক্রি হচ্ছে চাপা কলা ৩০০-৩৫০ টাকা, সবরি কলা ৫৫০-৬৫০ টাকা, সাগর ও রঙ্গিন মেহের সাগর কলা প্রতি কাইন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। প্রায় ৫ শতাধিক লোক প্রতিদিন কলা কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত থাকেন। প্রতিদিন কোটি টাকার কলা কেনা বেচা হয়ে থাকে বলে জানান স্থানিয় কলা ব্যবসায়ীরা। জেলা শহরের গুলশান চৌ মোড়ে ছোট আকারে পাইকারী কলার হাট বসে। জয়পুরহাটের কলা উন্নত মানের হওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ঢাকা, সিলেট ও চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, ভৈরব, নোয়াখালী, চাঁদপুর সহ ৩৫ জেলায় জয়পুরহাটের কলার বড় মার্কেট বলে জানান ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম, বাবু, তাব্বা ও মিজানুর রহমান। বর্তমানে অফ সিজন তার পরেও জয়পুরহাট থেকে প্রতিদিন গড়ে বর্তমানে ৪/৫ ট্রাক কলা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান এস এ ট্রেডার্সের মালিক ও বিশিষ্ট্য কলা ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম। জয়পুরহাটে উৎপাদিত কলার মধ্যে রয়েছে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ওষুধী কলা হিসেবে পরিচিত চাম্পা কলা, সবরি কলা , রঙ্গিন মেহের সাগর ও সাগর কলা। বর্তমানে জয়পুরহাটের হাটবাজারে প্রকার ভেদে বা সাইজ অনুযায়ী সবরি কলা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা হালি এবং চাম্পা ও সাগর কলা ২০ থেকে ২৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে। কলা চাষ বেশ লাভজনক ফসল। জেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার কলা চাষের সঙ্গে জড়িত। কলা চাষ করে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি ভাগ্য বদল করছেন জয়পুরহাটের কলা চাষিরা। কলা চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৩১, ২০২৪ ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
দিনাজপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
কৃষি বিভাগ

দিনাজপুর জেলার ১৩ টি উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। সেখানে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে।  দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে জেলায় এক লাখ ৭২ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অনুকুল আবহাওয়া ও কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় এবার লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে।

তার ভাষ্যমতে, এবার জেলায় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ৮ লাখ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সারা দেশে ধান-চালসহ বিভিন্ন খাদ্য উৎপাদনের উদ্বৃত্ত জেলা হিসাবে দিনাজপুর খ্যাতি রয়েছে। জেলার মাঠ গুলো এখন সবুজের আভায় এক অপরূপ শোভা ছড়াচ্ছে। বোরো ধানের শিষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। সেচসহ আগাছা পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ইরি-বোরো মৌসুমে ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই জেলায় বোরো ধান লাগানো সম্পন্ন করেছে কৃষকেরা। এখন সেচ ও ধান খেত পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে তারা। কৃষি বিভাগ জেলায় ৯০ ভাগ জমিতে বিদ্যুৎ চালিত মোটরের আওতায় সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে শেষ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। প্রতিদিন রাত ৮ টা থেকে ভোর পর্যন্ত সেচযন্ত্র চালানোর জন্য এ সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। ফলে জমিতে পানির কোন সংকট হচ্ছে না।

দিনাজপুর সদর উপজেলার শেখপুরা গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি সরবরাহ পাওয়ায় তাদের ইরি বোরো ধান চাষে খুব সুবিধা হয়েছে। বিঘা বা একর প্রতি ধানের জমিতে সেচ দেয়ার জন্য সেচ যন্ত্রের মালিকের সাথে চুক্তি রয়েছে। জমির মালিকদের সেচ নেয়ার জন্য ঘুরতে হয় না। সেচ যন্ত্রের মালিকেরা নিজেরাই ধানের জমিতে প্রয়োজন অনুযায়ী পানি সেচ দিয়ে থাকেন। চুক্তির অর্ধেক টাকা দিয়ে বাকি টাকা ধান কাটার পর পরিশোধ করেন। একই কথা জানালেন, বিরল উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের কৃষক ধীরেন চন্দ্রদাস ও রবিউল ইসলাম। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তারা এবার বাম্পার ফলনের আশা করছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, পুরো জেলায় এবার উন্নত ধানের জাত ব্রি ২৩, ২৯, ১০২, ৮৯, ৯২, ও ব্রি ১০৪ চিকন জাতের ধান বেশি চাষ হয়েছে। এছাড়াও মোটা ধানের জাত ব্রি টিয়া, ময়না ও সিনজেনটা- ব্রি ১২০৫ জাতের ধান চাষ করা হয়েছে।
অধিদপ্তর জানায়, এখনো পর্যন্ত জেলার ১৩ টি উপজেলার কোন স্থান থেকেই ইরি বোরো ধান চাষে কোন সমস্যার খবর তাদের কাছে আসেনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২২, ২০২৪ ৭:৩৫ অপরাহ্ন
ভাতের বিকল্প হিসেবে অপ্রচলিত দানা শস্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে – বারি মহাপরিচালক
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ কৃষকের দোরগোড়ায় বারি উদ্ভাবিত দানা ফসল বিস্তার ঘটাতে হবে। উন্নত ফাইবার, ভিটামিন, পলিস্যাকারাইডস, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস, একগুচ্ছ খনিজ পুষ্টি উপাদানসহ নানামুখী ঔষুধী গুনাগুন সম্ভারে ভাতের বিকল্প হিসেবে অপ্রচলিত দানা জাতীয় শস্যের অবদান অপরিসীম। তাই ভাতের বিকল্প হিসেবে অপ্রচলিত দানা জাতীয় শস্যের ব্যবহার বাড়াতে হবে। বারি উদ্ভাবিত অপ্রচলিত দানা জাতীয় শস্যের বিভিন্ন জাতের উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক মাঠ দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ এক কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন ,দানা ফসল বারি ওট-১ ফসল কৃষকের মাঝে জনপ্রিয় করতে সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন তিনি ।
তিনি আরো বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই দানা শস্যের উৎপাদন সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষেণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যেই ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গম ভূট্টা বাদে অপ্রচলিত দানা শস্যের মোট ২১ টি জাত ইতোমধ্যেই অবমুক্ত করেছে যারা পুষ্টিগত দিক দিয়ে কৃষকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ।

চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং পার্টনার বারি অংগের অর্থায়নে মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেছেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান।


বারি এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.রাশেদ সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ড. জগদীশ চন্দ্র বর্মন, এজেন্সি কর্মসূচী পরিচালক (পার্টনার বারি অংগ), মো. সামসুল আলম, অধ্যক্ষ, এটিআই, ড. মো. মনিরুজ্জামান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. মুহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন রনি, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মো. আল মামুন শিকদার, কৃষি অফিসার, মো. ফরিদ-উজ-জামান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, কৃষক মো. তৌহিদুল আলম, মো. রাশেদ প্রমুখ।

মাঠ দিবসে কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভিটামিনসহ একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর অপ্রচলিত দানা শস্যসমূহ কোলেস্টেরল , উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, রক্তে সুগারের মাত্রা, শরীরের ওজন, ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ঔষুধী গুনাগুন সম্পন্ন। তাই, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো ও জনস্বাস্থ্য নিশ্চিতে অপ্রচলিত দানা শস্যগুলো চর এবং লবনাক্ত অঞ্চলে মাইলফলক হিসেবে চাষাবাদ হবে। বিজ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত এবং কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার বাড়াতে পারলে দেশের খাদ্য উৎপাদনে অপ্রচলিত দানা শস্যগুলো বিশেস ভুমিকা রাখতে পারবে। আর তখনই পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদার ভিত্তিতে অপ্রচলিত দানা শস্যগুলো জনপ্রীয় লাভ করবে বলে বক্তারা জানান।
পরে কৃষক সমাবেশ শেষে মহাপরিচালক মহোদয় ১০০০ (এক হাজার) ফিট সুরক্ষা প্রাচীর দেয়াল এর কাজ শুভ উদ্বোধন করেন। উৎসবমুখর পরিবেশে এই কৃষক সমাবেশটি এই অঞ্চলের কৃষকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হিসেবে আগামী দিনের নয়া মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলে কৃষকেরা মনে করছেন।।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ২০, ২০২৪ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
মাগুরায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

মাগুরা জেলায় এ বছর উচ্চ ফলণশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষকরা সময় মত গম চাষ করতে পারার পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন স্থানীয় কৃষি অফিস ও কৃষকরা। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের (বারি) আওতাধীন ‘বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত গমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল গম চাষ করেছেন কৃষকরা। এ বছর জেলায় মোট ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা সদর উপজেলায় ১ হাজর ৩৭৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ২ হাজার ৫০ হেক্টর, শালিখায় ৩৩৫ হেক্টর এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ২০ হাজার ২৮৪ মেট্রিকটন গম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, এ মৌসুমে জেলায় বারি গম-৩০,৩২ ও ৩৩ নামের উচ্চফলনশীল জাতের গমের পাশাপাশি অন্যান্য উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ হয়েছে। কৃষি অফিসের পরমর্শ অনুযায়ী গম চাষের সময় রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেয়ায় বীজ বাহিতো রোগের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। এছাড়া কৃষকরা সময় মত গম ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করায় রোগ বালাই তেমন দেখা দেয়নি। এ কারণে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।

মাগুরা সদর উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ বাবু মল্লিক জানান, তিনি এ বছর ৪৬ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চ ফলনশীল বারি-৩০ জাতের গমের চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি। একই গ্রামের অপর কৃষক জাকির হোসেন জানান- ২৮ শতক, মামরুল ইসলাম ২ বিঘা, রব শেখ ২ বিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের গমের চাষ করেছেন। তারাও ভালো ফলন পাবেন বলে আশা করছেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, মাগুরায় উচ্চ ফলনশীল গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর মাগুরায় গম ভালো হয়েছে। রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও ভালো। চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

(বাসস)

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১৮, ২০২৪ ১০:৪৯ পূর্বাহ্ন
জয়পুরহাটে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ
কৃষি বিভাগ

জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলায় চলতি ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ হয়েছে। এতে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার মেট্রিক টন ভূট্টা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়, মাটির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূট্টা চাষ উপযোগী হওয়ায় জয়পুরহাট সদর উপজেলা, পাঁচবিবি ও আক্কেলপুর উপজেলায় ভূট্টার চাষ বেশি হয়ে থাকে। কৃষকদের ভূট্টা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। বিএডিসির পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে উন্নতমানের ভূট্টা বীজ সরবরাহ করা হয়েছে । ভূট্টা চাষে তুলনামূলক লেবার ও পরিচর্যা খরচ কম হওয়ার কারণে লাভ হয় বেশী। সদরের দাদরা ধুলাতর গ্রামের কৃষক রুস্তম আলী ফলন ভালো ও ভূট্টা চাষ লাভজনক হওয়ায় প্রতিবারের মতো এবারও দেড় বিঘা জমিতে ভূট্টার চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। ভূট্টা স্বল্প পানির চাহিদা সম্পন্ন ফসল হিসেবে জনপ্রিয়। ভূট্টা আবাদে বীজ বপনের ২৫-৩০দিন পর ১ম বার সেচ প্রয়োগ ও আগাছা দমন, ৫০-৫৫ দিন পর ২য় বার, ৭০-৭৫দিন পরে ৩য় বার হালকা সেচ প্রয়োগ করলে বাম্পার ফলন পাওয়া যায়। রোগ বালাই, পোকা মাকড়ের আক্রমণ খুবই কম হয় ভূট্টাতে। ফলে জেলায় দিন দিন ভূট্টার চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় ভূট্টার চাষ হয়েছে ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে । যা গত বছরের তুলনায় ১৫ হেক্টর বেশি। ভূট্টা ফসলের মোচা বা কব সংগ্রহের পরে গাছের অবশিষ্ট অংশ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়, ভূট্টা হতে আটা, ময়দা, গো খাদ্য তৈরীতে দেশে এর ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। মুরগি ও গো- খাদ্য তৈরির জন্য জয়পুরহাটের ফিডমিল গুলোকে জেলার বাইরে থেকে ভূট্টা আমদানী করতে হয়। আমদানীরোধে ভূট্টার আবাদ বৃদ্ধিতে জয়পুরহাট জেলায় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফসিয়া জাহান। কৃষকদের মাঝে উন্নত জাত সরবরাহ, উদ্ধুদ্ধকরণ ও পরামর্শ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। জেলায় সুপারসাইন-২৭৬০ জাতের ভূট্টার নতুন জাত প্রবর্তনে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান তিনি।

কৃষি বিভাগ জানায়, ৩৩ শতাংশ এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের ভূট্টা চাষ করার জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের আওতায় প্রতিজন ভূট্টা চাষীকে ২ কেজি করে বীজসহ ১০ কেজি এমওপি সার ও ১০ কেজি ডিএপি সার দেওয়া হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে প্রযুক্তিগত কলাকৌশল ও পরামর্শ পেয়ে চাষাবাদ করতে পেরে অত্যন্ত খুশী বলে জানান ভূট্টা চাষীরা । ৩৪০ হে. ৩৫৭০ ৬০০ জনকে ২ কেজি বীজ ও সার ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি, এমওপি
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, জেলায় এবার ৮ শ ৫৫ হেক্টর জমিতে ভূট্টার চাষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলায় ৩৪০ হেক্টর, পাঁচবিবিতে ৩৫০ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১১০ হেক্টর, ক্ষেতলালে ৩৫ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ২০ হেক্টর । আবহাওয়া ভা লো থাকলে জেলায় এবার প্রায় ১২ হাজার মেট্রিক টন ভূট্টার উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ১১, ২০২৪ ৮:১৬ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি ও ২০২৪ -২০২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনুঃ আজ সোমবার (১১ মার্চ ২০২৪) সকাল ১০টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) এর আওতায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসল উৎপাদন পরিস্থিতি ও ২০২৪ -২০২৫ অর্থবছরের কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে ।কর্মশালাটি আয়োজন করেন, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত ) ডিএই।

অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ,খামারবাড়ি ঢাকা এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সদস্য বিশেষজ্ঞ পুল প্রফেসর ড এম.এ.সাত্তার মন্ডল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ব্রি এর মহাপরিচালক প্রফেসর ড মো:শাহজাহান কবীর ,বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) মহাপরিচালক ড.মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো: এনায়েত উল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক , বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প , কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান ।
অনুষ্ঠানে নারস ভূক্ত বিভিন্ন গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রতিনিধি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ কৃষক ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় ২০২৪ –২০২৫ এর লক্ষমাত্রা অর্জনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয় এবং বিশেষ দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।এছাড়া কর্মশালায় আগত কৃষকগণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা কিকি সুবিধা পাবে তা জানতে পেরেছে।তারা এপ্রকল্পের কারনে এলাকার কৃষির আমুল পরিবর্তন ও আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে বলেও মতামত দেন।

শেয়ার করুন

প্রকাশ : মার্চ ৭, ২০২৪ ৭:৪৬ অপরাহ্ন
এসআরডিআই এর কর্মকর্তাদের বিভাগীয় প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত
কৃষি বিভাগ

 

মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বদা নিবেদিত মৃত্তিকা বিজ্ঞানীদের এক মাসব্যাপী বিভাগীয় প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া প্রশিক্ষণটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের সনদপত্র বিতরণের মাধ্যমে শেষ হয়।

উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড ড. মো: বক্তীয়ার হোসেন, সদস্য পরিচালক, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বিএআরসি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ড. বেগম সামিয়া সুলতানা, পরিচালক ফিল্ড সার্ভিসেস উইং, ড. মো. আব্দুর রউফ, পরিচালক এনালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং, এসআরডিআই। আরও উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের সিএসও, পিএসও,এসএসওসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রশিক্ষণের কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পিএসও, ট্রেনিং ডিভিশন, সহকারী কোর্স কোর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব ড. মো লুৎফর রহমান ও রশিদুন্নাহার, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, এসআরডিআই।

মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জনাব মো. জালাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে উক্ত সমাপনী অনুষ্ঠানে ২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথি কর্মকর্তাদের উক্ত মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান দেশের ও কৃষকের সেবায় কাজে লাগানোর আহবান জানান। কৃষির ভিত্তি ই হলো মাটি। তাই মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় নতুন নতুন গবেষণা ও মাটির উপাদানের রাসায়নিক বিশ্লেষণে কোয়ালিটি নিশ্চিতের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

মহাপরিচালক মো. জালাল উদ্দীন সভাপতির বক্তব্যে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের উক্ত প্রশিক্ষণ থেকে লব্ধ জ্ঞান ল্যাবরেটরি এবং ফিল্ড কার্যক্রমে ভালভাবে কাজে লাগানো এবং মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। উল্লেখ্য মাসব্যাপী বিভাগীয় প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণার্থীরা ফিল্ড এটাচমেন্ট ও ব্যাবহারিক সয়েল ল্যাবের রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজ, গবেষণা সম্পর্কে হাতেকলমে শিখতে পেরেছেন।

শেয়ার করুন

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop