৪:৩৫ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বালাইনাশকের উৎস উন্মুক্তকরণে দ্বন্দ্বে পিটাক-কৃষি মন্ত্রণালয়
ads
প্রকাশ : জানুয়ারী ৩০, ২০২২ ২:৫০ অপরাহ্ন
বালাইনাশকের উৎস উন্মুক্তকরণে দ্বন্দ্বে পিটাক-কৃষি মন্ত্রণালয়
কৃষি বিভাগ

বালাইনাশকের উৎস উন্মুক্তকরণ নিয়ে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি (পিটাক) ও কৃষি মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলছে, যে কোনো দেশ থেকে বালাইনাশকের কাঁচামাল আমদানিতে দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের কোনো আইনি বাধা নেই। অথচ সেই সুযোগ বন্ধ রেখেছে পিটাক। এ অবস্থায় দেশীয় উৎপাদকদের জন্য বালাইনাশকের একাধিক উৎস পছন্দের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে বাদ সেধেছে পিটাক। তারা বলছে, উৎস উন্মুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই।

আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কৃষিতে বেড়েছে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ। এসব মোকাবিলা করে অধিক ফলনের আশায় বালাইনাশক ব্যবহার করছেন কৃষকরা।

চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশে বালাইনাশকের চার হাজার কোটির টাকার বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, যার ৮০ ভাগ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের দখলে। আর মাত্র ২০ শতাংশ বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে প্রায় ৬০০ এর বেশি আমদানিকারক এবং ২২টি দেশীয় উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। উৎপাদকদের অভিযোগ, সরকারের বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির (পিটাক) বৈষম্যমূলক শর্তের কারণে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছেন তারা।

দেশে ফসলের মাকড় দমনে কার্যকরী বালাইনাশক সালফার। দেশীয় উৎপাদকরা বলছেন, চীনে প্রতি টন সালফারের দাম পড়ে ৭৫০ ডলার। বিপরীতে ভারতে খরচ পড়ে ৬৩৫ ডলার। সাধারণত একই মানের কাঁচামাল যেখানে কম দাম পাবেন ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে আমদানি করবেন। এক্ষেত্রে নেই আইনি বাধাও। অথচ পিটাকের ৭৭তম সভায় শর্ত আরোপ করে দেশীয় উৎপাদকদের উৎস পরিবর্তনের সুযোগ সীমাবদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান চাইলে কান্ট্রি অব অরিজিন সার্টিফিকেট নিয়ে যেকোন দেশ থেকে পণ্য বা কাঁচামাল আনতে পারে।

এ বিষয়ে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এস এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শুধু একটি পণ্যের উৎস পরিবর্তন করতে যদি ৪ বছর লাগে। অথচ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ল্যাবরেটরি পরীক্ষা করে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই সেই উৎস পরিবর্তন করে চীনের পরিবর্তে ভারত থেকে আনতে পারবে। 

এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, পিটাকের দেওয়া শর্তের আইনি ভিত্তি নেই। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে বালাইনাশকের উৎস উন্মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম বলেন, যেহেতু আমরা চাচ্ছি যে, কৃষিপণ্য দেশের উৎপাদন করব স্থানীয়ভাবে এবং বিদেশে রফতানি করব। সেই সঙ্গে আমরা চাচ্ছি উৎস উন্মুক্ত করা হোক। একটি কমিটি হয়েছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এই বিষয়টি নিয়ে।

অপরদিকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছে পিটাক। পিটাক বলছে, বালাইনাশকের উৎস উন্মুক্ত করার সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বালাইনাশক কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সদস্য সচিব মো. আব্দুল মাজেদ বলেছেন, সিদ্ধান্ত হচ্ছে একটিই। কোনো অবস্থাতেই এটিকে উন্মুক্ত করা যাবে না। উৎস পরিবর্তন করা যাবে। 

এদিকে পিটাকের বিরোধিতা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে চায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop