৬:৫৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সুসজ্জিত ‘নাহার এগ্রো পোল্ট্রি এবং হ্যাচারিতে’ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা
ads
প্রকাশ : নভেম্বর ৪, ২০২১ ৯:৪১ পূর্বাহ্ন
সুসজ্জিত ‘নাহার এগ্রো পোল্ট্রি এবং হ্যাচারিতে’ বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনা
বিজ্ঞান ও গবেষণা

গত ২ নভেম্বর, ২০২১ তারিখে ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশের একদল গবেষক মীরসরাইয়ে অবস্থিত নাহার পোল্ট্রি ফার্ম পরিদর্শনে যান। সেখানে ছিলেন ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর জাতীয় সমন্বায়ক অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক, গবেষণা সহকারী-সমাজবিজ্ঞান নুসরাত আইরিন এবং মাস্টার্স শিক্ষার্থী ডা. মেহেরজান ইসলাম। নাহার এগ্রো পোল্ট্রি এবং হ্যাচারি (মীরসরাই) এর ব্যবস্থাপক মনোজ কুমার চৌহান দুপুর ৩টা থেকে রাত ৮.৩০ মিনিট পর্যন্ত এই গবেষক দলকে পুরো এগ্রো ফার্মটি ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখান।

নাহার এগ্রো গ্রুপের এই সিস্টার কনসার্ন ‘পোল্ট্রি খামার এবং হ্যাচারি’র সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিলো এর বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা এবং পরিপূর্ণ জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। ওয়ান হেলথ্ পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর গবেষক দলের গাড়িটি খামারের ভেতর প্রবেশের পূর্বে প্রয়োজনীয় পদ্ধতিতে জীবাণুনাশ করা হয়। একই সাথে গবেষক দলের জন্যে ছিলো খামারে নির্ধারিত পোষাক এবং সয়ংক্রিয় উপায়ে জীবনুনাশের ব্যবস্থাপনা। হ্যাচারি এবং খামারের প্রতিটি পয়েন্টে ছিলো জীবাণুনাশক ফুটবাথ এবং সয়ংক্রিয় জীবাণুনাশ ব্যবস্থা। প্রাণ-চঞ্চল খামারটিতে প্রতিটি কর্মচারির মধ্যে কর্র্মচাঞ্চলতা এবং নিজ নিজ দায়িত্ব কর্র্তব্যের সাথে পালনের দৃঢ়তা পরিলক্ষিত হয়। ১৯৯০ সালে দেশের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাকিবুর রহমান, নাহার এগ্রো গ্রুপের কার্যক্রম শুরু করেন।

 

পুরো খামার পরিদর্শনের শেষ প্রান্তে এসে গবেষকদলের দৃষ্টিতে পড়ে খামারটির বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনাটি (Effluent Treatment Plant)। খামারে ব্যবহৃত সকল পানি সরবরাহকারি পাইপের মধ্য দিয়ে এই স্থাপনায় এসে জমা হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন প্রয়োগ (অক্সিজেনেশান) এবং প্রক্রিয়াকৃত হয়ে বিশুদ্ধ পানিকে নিষ্কাশন করা হয়। নাহার এগ্রো পোল্ট্রি এবং হ্যাচারি (মীরসরাই) এর ব্যবস্থাপক মনোজ কুমার চৌহান বলেন, “প্রতিদিন খামারের হ্যাচারিতে প্রায় ১লাখ পরিমাণ পানি লাগে। এই পুরো পানিই এখানে প্রক্রিয়াকৃত (জীবাণুনাশ) হয়ে নিষ্কাশন করা হয়। এই পানি পুনরায় প্রক্রিয়াজাত করে খামারে ব্যবহার করা যেত, এতে প্রতিলিটার পানির জন্যে অতিরিক্ত ৭টাকা করে ব্যয় করা লাগবে।”

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ অনুযায়ী প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত ETP (Effluent Treatment Plant) স্থাপন করবে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত সকল পানীয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকৃত করে নিষ্কাশন করবে। নাহার এগ্রো গ্রুপের প্রতিটি খামার এবং হ্যাচারিতে অনুরূপ ETP (Effluent Treatment Plant)রয়েছে।

ওয়ান পোল্ট্রি হাব বাংলাদেশ এর জাতীয় সমন্বায়ক অধ্যাপক মোঃ আহসানুল হক বলেন, “প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের এরূপ নিজ নিজ উদ্যোগ দেশ এবং পরিবেশের জন্যে বন্ধু-বান্ধব। যেকোন একটি প্রতিষ্ঠানের এরূপ মহত্ উদ্যোগ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের জন্যেও অনুপ্রেরণামূলক।”

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop