২:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সয়াবিন চাষ করে লাভ ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩ ৬:৪৩ অপরাহ্ন
সয়াবিন চাষ করে লাভ ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

সয়াবিনের চাষ (Soybean Cultivation) করে চাষিরা ভালো আর্থিক লাভ পেতে পারেন। কারণ, বাজারে সয়াবিনের চাহিদা বছরের সবসময়ই থাকে। সেইসঙ্গে ভালো দামেই বিক্রি হয়। দামের খুব একটা হেরফের হয় না।সে কারণে কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চাষে লাভের পরিমান ভালোই এবং কৃষকদেরও পকেট ভরবে | সর্বোপরি, এই চাষে খরচ অন্যান্য চাষের তুলনায় অনেকটাই কম |

 

সাধারণত, সয়াবিনকে বলা হয় হলুদ স্বর্ণ। কৃষকরা বিশ্বাস করেন যে, সয়াবিন চাষ নিশ্চিতভাবে তাদের পক্ষে লাভজনক, কারণ এতে ক্ষতির সম্ভবনা কম।  বিশ্বের ৬০% সয়াবিন আমেরিকাতে উৎপাদিত  হয়, এছাড়াও মধ্য প্রদেশ ভারতের সয়াবিনের বৃহত্তম উৎপাদক । সয়াবিনের বৈজ্ঞানিক নাম ‘গ্লাইসিন ম্যাক্স’। এতে প্রোটিন বেশি থাকে, নিরামিষ হলেও এর থেকে মানুষ মাংসের মতো প্রোটিন পান। প্রধান উপাদানগুলি হ’ল প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট। সয়াবিনে ৩৮-৪০ শতাংশ প্রোটিন, ২২ শতাংশ অয়েল, ২১ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ১২ শতাংশ ময়েশ্চার এবং ৫ শতাংশ কনসাম্পশন রয়েছে। সয়াবিন একটি ডাল ফসল, এটিতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে।

 

সঠিক জাত নির্বাচন:

ভালো উৎপাদন পেতে হলে উন্নতমানের জাতের সয়াবিন চাষ করতে হবে। সবচেয়ে ভালো জাতগুলি হল সয়া ম্যাক্স, পিকে-৪৭২, জেএস-৮০, ২১, জেএস-৩৩৫, বিরসা সয়াবিন-১ প্রভৃতি।

মাটি (Soil):

সয়াবিন দোআঁশ, বেলে দোআঁশ ও এটেল দোআঁশ মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী। খরিফ বা বর্ষা মৌসুমে জমি অবশ্যই উঁচু ও জল নিকাশ সম্পন্ন হতে হবে। রবি মৌসুমে মাঝারি নিচু জমিতেও চাষ করা যায়।

চাষের উপযুক্ত সময়:

জুলাই মাসে খরিফ ফসলের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, সয়াবিন জমিতে এই সময় বপনের জন্য প্রস্তুত। এটি সয়াবিন চাষের আদর্শ সময়, তাই এখন সয়াবিনের ফসল বেশি পরিমাণে বপন করা হচ্ছে। সয়াবিন বপনের সময় ভাল অঙ্কুরোদগমের জন্য জমিতে ৮-১০ সেমি আর্দ্রতা প্রয়োজন। যদি জমির প্রস্তুতিতে বিলম্ব হয় তবে বীজ ৫-১০ শতাংশ বৃদ্ধি করুন। প্রতি হেক্টরে ৮০/৮৫ কেজি বীজ ব্যবহার করা উচিত।

জমি তৈরী:

মটির প্রকারভেদে জমিতে ৪-৫ টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ভালভাবে ঝুরঝুরে ও অগাছা মুক্ত করে বীজ বপন করেত হবে।

 

 

বপণ পদ্ধতি:

সারিতে বুনলে খারিফ মৌসুমে দেড় ফুট বাই ১ ফুট দূরত্বে এবং রবি মরশুমে বুনলে ১ ফুট বাই ৬ ইঞ্চি দূরত্বে বীজ ফেলতে হবে।

সার প্রয়োগ:

একর প্রতি মূল সার ৮ কেজি নাইট্রোজেন, ২৪ কেজি ফসফেট এবং ২৪ কেজি পটাশ। কোনও চাপানসার লাগবে না। এজন্য বিঘা প্রতি ৬ কেজি ইউরিয়া, ৫০ কেজি সিঙ্গল সুপার ফসফেট ১৩.৫ কেজি মিউরিয়েট অব পটাশ মূল সার হিসেবে প্রয়োগ করতে হবে।

অণুবীজ সার প্রয়োগঃ

এক কেজি বীজের মধ্যে ৬৫-৭০ গ্রাম অণুবীজ সার ছিটিয়ে দিতে হবে। এই বীজ সাথে সাথে বপন করতে হবে। অণূবীজের সার ব্যবহার করলে সাধারণত ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয় না।

পরিচর্যা:

প্রয়োজন অনুযায়ী জমিতে অনুখাদ্য দেওয়া দরকার। ঠিকমতো পরিচর্যা করতে হবে। ফুল আসার পর জমির টানের উপর নির্ভর করে কমপক্ষে ২টি সেচ অবশ্যই দিতে হবে। ফুল আসার পর থেকে ১০ দিন অন্তর সেচ দেওয়া লাভজনক। এছাড়া গাছের প্রাথমিক বাড়ন্ত অবস্থায় একটি সেচ দেওয়ার সুযোগ থাকলে ভালো হয়।তবে জমিতে জল নিকাশির ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত জল জমি থেকে বের করে দেওয়া দরকার। নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হবে। কোনওভাবেই আগাছা থাকা চলবে না।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop