১২:০৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২২ ৩:৪০ অপরাহ্ন
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ আহরণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশের চিংড়ি খাতের রুপান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহায়তায় উইনরক ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত সেইফ অ্যাকুয়া ফার্মিং ফর ইকনোমিক অ্যান্ড ট্রেড ইমপ্রুভমেন্ট (সেফটি) প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা জানান।

এ বিষয়ে মন্ত্রী আরও জানান, যে সমুদ্র এলাকায় আমরা সার্বভৌমত্ব পেয়েছি সেখানে বিপুলসংখ্যক মাছ রয়েছে। রয়েছে অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ। সে ক্ষেত্রে আমাদের কর্মযজ্ঞ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একশ বছর মেয়াদী ডেল্টা প্ল্যান করেছে। সে ডেল্টা প্ল্যানের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে মৎস্য খাত, সমুদ্র ও জলাশয়। সে জায়গায়ও আমাদের কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে এবং তাদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ। সে অভিজ্ঞতা তারা যেন সম্প্রসারণ করে। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমরা পারস্পরিক অভিজ্ঞতা ও মতামত বিনিময় করতে চাই। যাতে আমরা একসাথে উন্নয়ন করতে পারি।

তিনি আরও জানান, সেফটি প্রকল্পের কার্যক্রম বাংলাদেশের চিংড়ি খাতে ব্যাপক সহযোগিতা দিয়েছে। প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে মাঠ পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হচ্ছে। সেফটি প্রকল্পের সহযোগিতার উপর ভর করে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ব এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। কাউকে পেছনে রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা একের পর এক সম্প্রসারণ হবে বলে প্রত্যাশা থাকবে। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসনীয়। এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা সম্প্রসারণ আরও প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুন্দর ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের মানবসম্পদ অন্য অনেক দেশের তুলনায় ভালো। আমাদের মৎস্য খাতের নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের সহযোগিতা সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রধান অতিথি আরও যোগ করেন, মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মৎস্য খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে এ খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এ খাতে বড় সুযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ৫০টির অধিক দেশে বাংলাদেশের মাছ এখন রপ্তানি হচ্ছে। এসব দেশে বাংলাদেশের রপ্তানিকৃত মাছের স্বাদ ও গুণগতমান ভীষণ প্রশংসা অর্জন করছে। মৎস্য খাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গবেষক, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন সংগঠন একসাথে কাজ করায় এ কৃতিত্ব অর্জন সম্ভব হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমাদের আন্তরিক ও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিষ্ট ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পৃথিবীতে নানা দুর্যোগ আসছে। সাম্প্রতিক সময়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আমাদের মৎস্য খ্যাত বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা কালেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় মৎস্য খাদ্য উৎপাদন-পরিবহন ও বিদেশে রপ্তানি নানা প্রতিকূলতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও দেশের মানুষ অফুরান প্রাণশক্তি দিয়ে কাজ করেছে বিধায় এফএও’ র জরিপে করোনাকালে যে তিনটি রাষ্ট্র মৎস্য উৎপাদনে ভালো করতে পেরেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। মৎস্য উৎপাদনের এ ধারা আমরা অব্যাহত রাখতে চাই।

সম্মিলিতভাবে একটি সুন্দর বিশ্ব নির্মাণ করতে হবে। এ পৃথিবী যত সুন্দর হবে, যত আধুনিক হবে, যত উন্নত হবে সে উন্নয়নের ছোঁয়া সর্বত্র পৌঁছাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন শান্তির বিশ্ব গড়তে হলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শান্তির বিশ্ব ছাড়া অশান্তির বিশ্বে কখনও সমৃদ্ধি আসতে পারে না। আজকের প্রজন্মকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির বিশ্ব রেখে যেতে হবে। সে জন্য একসাথে কাজ করতে হবে- যোগ করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক এবং যুক্তরাষ্ট্র কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)-এর আন্তর্জাতিক কর্মসূচি বিশেষজ্ঞ ভিক্টোরিয়া বেকার। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মেসবাহুল আলম। সেফটি প্রকল্প নিয়ে উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রধান এস এম শাহীন আনোয়ার।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ইউএসডিএ এর যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কর্মকর্তাগণ, সেফটি প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং চিংড়ি খাতের অংশীজনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop