১১:৪৫ পূর্বাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ৬ মাসেও পায়নি শেকৃবির শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৫, ২০২২ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
৬ মাসেও পায়নি শেকৃবির শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা
ক্যাম্পাস

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রতি সেমিস্টারে পাশকৃত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয় ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা। কিন্তু লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ৬ মাস আগে প্রকাশিত হলেও এখনো বৃত্তির টাকা পায়নি পাশকৃত শিক্ষার্থীরা।

খোজ নিয়ে জানা যায়, কৃষি অনুষদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের জুন মাসে। ফলাফল প্রকাশের ৬ মাস পরেও বৃত্তির টাকা পায়নি পাশকৃত ২৯৮ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দফতরে চলে ধীর গতির কাজ। অর্থ সংক্রান্ত হলে আরও বাড়ে ভোগান্তি। এসবের ফলে সঠিক সময়ে বৃত্তি, কোন বিষয়ের অনুমোদন, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অর্থসংক্রান্ত ফাইলসহ বিভিন্ন কাজে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর পাশকৃত শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের জানান, আমাদের লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে জুন মাসে। এখন লেভেল-২ সেমিস্টার-২ এর পরীক্ষা চলছে এবং ইতোমধ্যে লেভেল-২ সেমিস্টার-১ এর ফলাফল ডিন অফিসে জমা হয়েছে। আগামী রোববার বা সোমবার (৪ বা ৫ ডিসেম্বর) প্রকাশিত হতে পারে। অথচ এখনও আমরা লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির টাকা পাইনি।

তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন (২০০১) থেকে বৃত্তির টাকা সেমিস্টার প্রতি ১২০০ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং একাডেমিক খরচ বাড়লেও বাড়েনি আমাদের বৃত্তির টাকা। তবুও সামান্য এই টাকা দিতে প্রশাসনের নানান তাল বাহানা।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, লেভেল-১ সেমিস্টার-২ এর বৃত্তির ফাইল বিভিন্ন দফতরে অনুমোদিত হয়ে একাডেমিক অ্যান্ড স্কোলারশিপ দফতরে আসে। এরপর ওই দফতর চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর একাউন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগে অনুমোদনের জন্যে পাঠায়। এখান থেকে অনুমোদিত হয়ে ফাইলটি পরবর্তী দফতরে যাবে। তবে সাংবাদিকদের সামনে অনেক খুঁজেও বৃত্তির ফাইলটির বের করতে পারেননি একাউন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স দফতরের সহকারী পরিচালক নাহিদা পারভীন।

একাডেমিক অ্যান্ড স্কোলারশিপ শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ হরি কমল দাশ বলেন, ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর কবে নাগাদ বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীরা পাবে এর কোন নির্ধারিত সময় নেই। ফলাফল আমাদের নিকট আসার পরেই কাজ শুরু হয়। আমরা প্রথমে ম্যানুয়ালি বৃত্তি প্রাপ্তদের তালিকা করি। তারপর ক্রমান্বয়ে রেজিস্ট্রার, ডিন, উপাচার্যের কাছে অনুমোদিত হয়ে আমাদের নিকট আবার আসে। আমরা সেটিকে অর্ডার হিসেবে ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস দফতরে পাঠায়। তারা বিল তৈরি করে এবং সর্বশেষে হল প্রভোস্ট বৃত্তির টাকা ব্যাংক থেকে নিয়ে হল ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেয়। এতগুলো দফতর ঘুরে শিক্ষার্থীদের হাতে যেতে বেশ সময় লেগে যায়।

তিনি আরও বলেন, অল্প সময়ে বৃত্তির টাকা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানোর ব্যাপারে সবকিছু ডিজিটাল ও সফটওয়্যার ভিত্তিক করার জন্যে উপরমহলে প্রস্তাব দিয়েছি কিন্তু এখনো অনুমোদন পায়নি।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন, বৃত্তির ফাইল আটকা আছে এটি আমার জানা ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি পেতে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারিত থাকা উচিত। আমি এটি নিয়ে দ্রুত কাজ করব। আশা করি পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা দ্রুত তাদের বৃত্তির টাকা পাবে। সূত্র: নয়া শতাব্দী

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop