৪:৫১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গরু বেপারীদের ১৩ লাখ টাকা লুট, মামলা নিতে গড়িমসি
ads
প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২১ ৯:৫১ পূর্বাহ্ন
গরু বেপারীদের ১৩ লাখ টাকা লুট, মামলা নিতে গড়িমসি
প্রাণিসম্পদ

ঈদের আগের রাতে ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে সাত গরু বেপারীর ১৩ লাখ টাকা লুট করেছে যাত্রীবেশী একটি ডাকাত দলের চক্র। এ সময় ডাকাতদের হামলায় তিন ব্যাপারী গুরুতর আহত হয়েছে।

এ ডাকাতির ঘটনায় এজাহার নিয়ে গেলে মামলা না নিয়ে ঢাকার ভাটরা, গাজীপুর মহানগরীর সদর, গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার মধ্যে ঠেলাঠেলির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ঈদের আগের রাতে (মঙ্গলবার) কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার গাবরগাঁও গ্রামের ছমির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মুঞ্জুরুল হকসহ (৫০) সাত বেপারী ঢাকার ভাটরা থানার নতুনবাজার পশুর হাটে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সন্ধ্যার দিকে একটি ট্রাক ময়মনসিংহের গফরগাঁও যাওয়ার কথা বলে তাদের ট্রাকে উঠায়। ওই ট্রাকে আরো ১৩ জন যাত্রী ছিল। যাত্রীরাও গরুর বেপারী পরিচয় দিয়ে গফরগাঁও যাবে বলে বেপারীদের জানায়।

ট্রাকটি রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানার সালনা ব্রিজে পৌঁছালে যাত্রীবেশী ডাকাতরা বেপারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা বেপরীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে ফেলে এবং বেদম মারপিট করে একটি ব্যাগে থাকা গরু বিক্রির ১৩ লাখ নিয়ে নেয়। পরে জয়দেবপুর থানার রাজেন্দ্রপুর-ডগরী সড়কের বাশঁরী পিকনিক স্পটের কাছে গহিন গজারি বনে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।

বেপারীদের চিৎকার শুনে পথচারীরা জয়দেবপুর থানায় খবর দেয়। রাত ১২টার দিকে জয়দেবপুর থানার এসআই মো. সুলতান তাদের উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে বেপারী রিপন, জয়নাল আবেদীন ও শহিদুল্লাহ গুরুতর অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওই রাতেই বেপারী মঞ্জুরুল হক সদর থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার না নিয়ে যে থানা এলাকা থেকে বেপারীদের উদ্ধার করা হয় সেখানে অর্থাৎ জয়দেবপুর থানায় যেতে বলেন। ভোর হয়ে যাওয়ায় ওইদিন না গিয়ে ঈদের পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে জয়দেবপুর থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে ওসি ঘটনার উৎপত্তি স্থান ঢাকার ভাটরা থানায় যেতে বলেন।

মঞ্জুরুল হক বলেন, ডাকাতদের লাঠিপেটায় জয়নাল ও রিপনের মাথা ফেটে এবং শহিদুল্লাহর হাত ভেঙে যায়। জয়নালের মাথায় ২১টি এবং রিপনের মাথায় ১৭টি সেলাই দিতে হয়েছে। রাতেই মামলার জন্য সদর থানায় গেলে জয়দেবপুর থানায় যেতে বলে। জয়দেবপুর গেলে ভাটরা থানায় যেতে বলেন। ভাটরা থেকেও জয়দেবপুর যেতে বলে। গতকাল শুক্রবার আবার জয়দেবপুর থানায় আসলেও মামলা নেননি ওসি।

জয়দেবপুর থানার ওসি মামুন আল রশিদ জানান, ঘটনার সূত্রপাত ভাটরা থানায়। আর ডাকাতি শুরু হয়েছে সদর থানায়। তাই মামলা ওই দুই থানায় হবে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) জাকির হাসান জানান, বেপরীরা উদ্ধার হয়েছে জয়দেবপুর থানা এলাকায়। তাই মামলা ওই থানায় হওয়ার কথা।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার এসএম শফিউল্লাহ শফিক জানান, ঘটনাস্থল তিনটা। তিন থানাতেই মামলা হতে পারে। তবে যেহেতু ভাটরা থেকে ঘটনা শুরু তাই মামলা ওই থানায় হলে সবচেয়ে ভালো। তাদের সড়কে সিসি ক্যামেরা আছে। যা তদন্তে সহায়তা হবে। তবে যেহেতেু জয়দেবপুর থানা এলাকায় উদ্ধার হয়েছে তাই ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় সবাইকেই দায়িত্ব নিয়ে দেখতে হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop