৫:০০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গবেষণা পুকুরের বেহাল দশা, মাছের প্রজনন ব্যাহত
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১ ৩:১৪ অপরাহ্ন
গবেষণা পুকুরের বেহাল দশা, মাছের প্রজনন ব্যাহত
মৎস্য

জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের একমাত্র গবেষণা পুকুর ‌‘ব্রুড পনড’।

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হলের ময়লা পানিসহ খাবারের উচ্ছিষ্ট ও মসজিদের ব্যবহৃত পানি সরাসরি ফেলা হচ্ছে পুকুরে। এতে নষ্ট হচ্ছে পানির গুণগত মান, ব্যাহত হচ্ছে মাছের স্বাভাবিক প্রজনন।

মূলত পুকুরের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হল ও কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন হওয়ায় এবং ভবনগুলোর পানি নিষ্কাশনের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সরাসরি পুকুরে ফেলা হচ্ছে দূষিত পানি, ময়লা-আবর্জনা। পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পুকুরে জন্মাচ্ছে শ্যাওলা, যা মাছের প্রাকৃতিক খাবার তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করছে। পুকুর খনন, সংস্কার ও পাড় বেঁধে ছোট ছোট ব্রুড পনড করার কথা থাকলেও করোনাকালীন সময়ে সেটা করা সম্ভব হয়নি। পুকুরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় ইতোমধ্যে বেশকিছু মা মাছ অন্য গবেষণা পুকুরে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এবিষয়ে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‌‘পুকুরটিকে এখন আর গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না। মূলত আমরা একে মা মাছের মজুদ পুকুর হিসেবে ব্যবহার করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকার কারণে হলের পানি ও ময়লা আবর্জনাগুলো পুকুরে ফেলা হচ্ছে । এতে পানির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে। ফলে মাছ চাষ ও গবেষণার জন্য প্রকৃত অর্থে এই পুকুরটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা পুকুরটি খনন ও উঁচু করে পাড় বেঁধে একাধিক ছোট ছোট গবেষণা পুকুর করার পরিকল্পনা করেছিলাম । তবে করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি দ্রুত এটির সংস্কার কাজ শুরু করে আগামী মৌসুম থেকে গবেষণার জন্য ব্যবহার করবো। ইতোমধ্যে বেশকিছু মা মাছ নতুন গবেষণা পুকুরে স্থানান্তর করেছি। মা মাছের প্রজননের জন্য বড় ও আলাদা ধরনের জলাধার প্রয়োজন হয়। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গার সংকট ও লোকবলের অভাবে পরিপূর্ণভাবে কাজগুলো চালিয়ে যেতে পারছি না। এই বিষয়ে আমরা উপাচার্যকে জানিয়েছি এবং তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা বর্ধিত করা হলে আমাদের জন্য আলাদা গবেষণা পুকুরের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, ‘ব্রুড পনড’ হচ্ছে মা মাছের প্রজননের জন্য ব্যবহৃত পুকুর বা জলাধার।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop