১:০১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সবজি বীজ আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা
ads
প্রকাশ : মে ২৬, ২০২১ ৪:৫৩ অপরাহ্ন
সবজি বীজ আবাদের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা
কৃষি বিভাগ

অধিক লাভের আশায় রংপু্রের পীরগাছা উপজেলার কৃষকরা এখন প্রতিবছর অন্য ফসল আবাদ ছেড়ে বীজ আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এই বীজ আবাদের সেখানকার প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের বদলেছে ভাগ্যও।

জানা যায় সেখানকার কৃষকরা মাঠে বাঁশের মাচা করে করলা, ঝিংগা, চিচিঙ্গা, লাউ, বরবটি আর মিষ্টি কুমড়ারসহ আরও কয়েক প্রকার সবজি চাষ করছেন। আর এই ভরা মৌসুমে প্রচণ্ড রোদেও ব্যস্ত সময় পার করছেন সেখানকার কৃষকরা।

সেখানে চৈত্র মাসে ক্ষেত থেকে আলু তোলার পরপরই জমি প্রস্তুত করে সারিবদ্ধভাবে রোপণ করা হয় এসব ফসল ও সবজির বীজ। এরপর শুরু হয় দুই থেকে আড়াই ফুট উঁচু মাচা করার কাজ। কৃষি বিভাগ ও বিএডিসির পরিমর্শ এবং কৃষকের নিবিড় পরিচর্যায় সবজিগুলো থেকে বীজ বের করে নেন কৃষক। কেউবা আরও অধিক লাভের আশায় কঠিন পরিশ্রমে এসব ফসলের হাইব্রিড জাতের বীজ উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছেন রোদ-বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে।

বীজ উৎপাদনকারি একজন চাষি জানান, গত ১৩ বছর ধরে বীজ উৎপাদন করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। এবারও তিনি এক একর হাইব্রিড মিষ্টি কুমড়া, তিন একর লাউ আর দেড় একর করলার বীজ উৎপাদন করেছেন। মিষ্টি কুমড়া একরে ৫০-৫৫ কেজি উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানান তিনি, যার ক্রয় মূল্য প্রতি কেজি ৮-১০ হাজার টাকা দরে প্রায় পাঁচ লাখেরও বেশি টাকা। এছাড়াও করলা আর লাউয়ে একর প্রতি দেড় লাখ টাকা করে লাভের স্বপ্নও দেখছেন কৃষক জিল্লাল।

কৃষক সূত্রে জানা যায়, এসব চাষিকে বিএডিসির পাশাপাশি লালতীর, সুপ্রিম সিড, মেটাল, এসিআই, ম্যাকডোনাল্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভিত্তি বীজ দিয়ে তাদের ফিল্ড সুপারভাইজার ভাইজার দ্বারা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। পরবর্তী সময়ে উৎপাদিত বীজগুলোর গুণগত মান নির্ণয় করে কোম্পানি ক্রয় করে নেন। কেনা বীজের মূল্য শর্তসাপেক্ষে জমাদানের ছয় মাসের মধ্যে কৃষককে পরিশোধ করে কোম্পানি বা ওই প্রতিষ্ঠান।

পীরগাছা উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জামান জানান, ‘উপজেলার পারুল ইউনিয়নের নাগদাহ, শরিফ সুন্দর, কিং সেচাকান্দি এলাকাসহ উপজেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষক এই বীজ উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এবছর উপজেলায় প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ চাষ করা হয়েছে। বীজ উৎপাদনে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতিবছর বীজ চাষে কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানান তিনি।

বিএডিসির কৃষক সমন্বয়ক কৃষিবিদ মোছা. নুপুর আক্তার জানান, ‘হাইব্রিডসহ উন্নত জাতের সবজি বীজ উৎপাদনের জন্য কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে আমাদের ফিল্ড অফিসাররা দেখাশোনা করছেন। অধিক ফলন ও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা বীজ উৎপাদনে অনেক উৎসাহী হচ্ছে। ’

রংপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান বলেন, ‘উচ্চ ফলনশীল জাতের সবজি বীজ উৎপাদন ভবিষ্যতে ভালো ফলনের সহায়ক। কৃষকরা এই বীজ উৎপাদন করে একদিকে লাভবান হচ্ছেন যেমন, অন্যদিকে বাজার বা দেশে ভালো মানের বীজেরও নিশ্চয়তা বাড়ছে।’

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop