৬:১২ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • লক্ষাধিক গরু ছাগল নিয়ে পানিবন্দী,দিশেহারা খামারিরা!
ads
প্রকাশ : জুন ২৪, ২০২২ ৫:০৬ অপরাহ্ন
লক্ষাধিক গরু ছাগল নিয়ে পানিবন্দী,দিশেহারা খামারিরা!
প্রাণিসম্পদ

দুই বছর আগে কাশিরপাড়া চর যমুনার ভাঙনে বিলীন হলে নদীতীর থেকে এক কিলোমিটার দূরে টিনের বেড়ার ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের দুর্গম কাশিরপাড়া চরে বসবাস কৃষক মোনাহার ব্যাপারীর (৬০)।

চরে চাষাবাদের পাশাপাশি বসতবাড়িতে আছে গরুর ছোট খামার। খামারে সব মিলিয়ে গরুর সংখ্যা ৯টি।

গত শনিবার যমুনা নদীর ঢলে প্লাবিত হয় মোনাহার ব্যাপারীর বসতঘর। ঘরের উঠানে থই থই পানির স্রোত। চাল-ডাল, কাঁথা-বালিশ সঙ্গে করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঠাঁই নিয়েছেন নৌকায়। গোয়ালে বুকসমান পানি। বাঁশের উঁচু মাচা তৈরি করে খোলা আকাশের নিচে কয়েক দিন গরু বেঁধে রেখে নির্ঘুম রাত কাটান তিনি।

যমুনার ঢলের সঙ্গে লড়াই করে কুলাতে না পেরে গতকাল বুধবার সহায়–সম্বল নিয়ে ওঠেন পাকুল্যা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে।

মোনাহার জানান, ‘চার দিন থ্যাকে যমুনার জলে ভাসিচ্চিম লৌকাত রাত কাটাচ্চি। বসতঘর-গোয়ালঘরত বুকসমান পানি। গরু বান্ধিবার অ্যাকনা জায়গা নাই। দুই বিঘা জমিনত ঘাস আবাদ করচিনু, বানত শ্যাষ। খড় নাই, ভুসি নাই। লিজেরাই খাবার পাচ্চি না, গরুক খাওয়ামু কী? কয়ডা দিন পর কোরবানির হাট বসলে এই গরু ব্যাচমো।’

শুধু মোনাহার ব্যাপারী নয়, যমুনা নদীর ঢলে দুর্গম চরে বসতঘরের সঙ্গে কৃষকের গোয়ালও প্লাবিত হওয়ায় গরু-ছাগল নিয়ে দিশাহারা অবস্থা হাজারো খামারির।

সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্গত এলাকায় ৫০ হাজার গরু ও ৬০ হাজার ছাগল নিয়ে বিপাকে আছেন খামারি ও চাষিরা। যমুনার ঢলের পানিতে ১১৫ একর ঘাস তলিয়ে গেছে।

খাটিয়ামারি চরের খামারি দলিলুর রহমান গত মঙ্গলবার ৯টি গরু নৌকায় তুলে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছিলেন যমুনা নদীর চাড়ালকান্দি ঘাটে।

আগেই সহায়–সম্বলসহ পরিবারের সদস্যরা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। দলিলুর রহমান বলেন, চার দিন ধরে বসতঘরে কোমরপানি। গোয়াল ভাসছে যমুনার ঢলে। বানের ঢলে ভেসে গেছে খড়, ডুবে গেছে ঘাসের জমি। উঁচু মাচায় তিন দিন ধরে বেঁধে রাখলেও অনাহারে ছটফট করছে গোয়ালের গরু। বাধ্য হয়ে নৌকায় গরু তুলে আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছেন।

উপজেলার চালুয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী বলেন, যমুনার ঢল ও নদীভাঙনে তাঁর ইউনিয়নে ২৫০টি আশ্রয়হারা পরিবারের ৩ হাজার মানুষ এখন খুব কষ্টে আছে। ঘরহারা মানুষের নিজেদেরই মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই। গোয়ালের গরু-ছাগল নিয়ে দিশাহারা অবস্থা তাঁদের।

 

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop