৩:৩১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মাছ বিক্রিতে ধস, ক্রেতাশূন্য মাছের আড়ত!
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ২৬, ২০২১ ১২:১৯ অপরাহ্ন
মাছ বিক্রিতে ধস, ক্রেতাশূন্য মাছের আড়ত!
মৎস্য

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এ অবস্থায় রেণুপোনা ও মাছ বিক্রিতে ধস নেমেছে। এতে অনেক মৎস্য ব্যবসায়ী ব্যাংক ও এনজিওর ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না। মৎস্য ভান্ডার খ্যাত বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা হয়ে পড়ছে ক্রেতাশূন্য। মাছ ও রেণুপোনা বিক্রি করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন মৎস্যচাষি ও ব্যবসায়ীরা।

আদমদীঘি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল জানান, উপজেলায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট-বড় ৬ হাজার ৪৪২টি পুকুর ও জলাশয় রয়েছে। রেণুপোনা উৎপাদনে ৫৩টি নিবন্ধিত হ্যাচারি ও নার্সারি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি চালু ও অবশিষ্ট ১৮টি হ্যাচারি বন্ধ রয়েছে। এখানে ৪০ হাজার কেজি রেণুপোনা ও ১১ কোটি পিস পোনার চাহিদা রয়েছে। বাজারজাতের মাছের উৎপাদন হয় ১৭ হাজার ৭৪ টন। চাহিদা রয়েছে ৪ হাজার ৬৩০ টন। উদ্বৃত্ত ১২ হাজার ৪০০ টন মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

আদমদীঘি থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ, দিনাজপুর, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা রেণুপোনা ও বাজারজাতকরণের বড় মাছ কিনে ট্রাকে করে নিয়ে যান।\হআদমদীঘি ও আশপাশের উপজেলার হাজার হাজার বেকার যুবক রেণুপোনা, মাছ বেচাকেনা করে বেকারত্ব দূর করেছেন। প্রতিদিন এ এলাকা থেকে কোটি টাকার মাছ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

বর্তমানে করোনা সংক্রমণের পাশাপশি লকডাউনের প্রভাবে\হমাছ কিনতে পাইকাররা তেমন একটা আসছেন না। তাই এখন রেণুপোনা বেচাকেনা হচ্ছে না। ধস নেমেছে বড় মাছ বেচাকেনায়ও। উপজেলার অধিকাংশ হ্যাচারি এখন রেণুপোনা উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে মৎস্যচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন তাদের ঋণের বোঝা নিয়ে। অর্থের অভাবে ঋণ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল জানান, লকডাউনের কারণে মূলত মাছের খাদ্যের দাম বেশি। এদিকে ক্রেতাও কম। এ অবস্থায় লোকসানের মধ্যে পড়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ী ও চাষিরা।

রফি মৎস্য প্রজনন খামারের মালিক শেখ রফি আহমেদ আচ্চু জানান, ৪ মাস আগে এক কেজি ওজনের রুই ও মৃগেল ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এখন সেই মাছ মাত্র ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ বিক্রি হতো ১০০ টাকা কেজিতে, এখন সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০ টাকা কেজি দরে। ফলে লাভ তো দূরের কথা, লোকসান গুনতে হচ্ছে মৎস্যচাষিদের। এ ছাড়া পাঙ্গাশ, পাবদা ও গুলশা জাতীয় মাছের পোনা কেনার কোনো খদ্দের না থাকায় অধিকাংশ হ্যাচারি বন্ধ রয়েছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop