১:৪৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • রপ্তানিতে সমৃদ্ধ জয়পুরহাটের আলু
ads
প্রকাশ : মার্চ ২৮, ২০২১ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
রপ্তানিতে সমৃদ্ধ জয়পুরহাটের আলু
এগ্রিবিজনেস

মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়ায় প্রায় চার বছর ধরেই যাচ্ছে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার উৎপাদিত আলু। এবারও বিদেশে আলু রপ্তানি করতে পেরে চাষিরা খুশি।

চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশের আলু বাইরের দেশে রপ্তানি করছে। সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু সংগ্রহ করে নিজস্ব শ্রমিক দিয়ে মাঠ থেকে ওঠানোর পর সেগুলো বাছাই করে প্যাকেটজাত করা হয়। আলুর মান ভালো হওয়ায় এবং চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকের পাশাপাশি খুশি রপ্তানিকারকরাও।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কালাই পৌরসভাসহ এ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ১১ হাজার ১৩০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিগত ২০১৭ সালে এ উপজেলায় আলু চাষ হয়েছিল ১২ হাজার ২৪০ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ৩.১৭ লাখ টন। একইভাবে ২০১৮ সালে ১১ হাজার ৬৫০ হেক্টরে ৩.১০ লাখ টন, ২০১৯ সালে ১২ হাজার ১৫০ হেক্টরে ৩.৩৪ লাখ টন, ২০২০ সালে ১০ হাজার ৮০০ হেক্টরে ২.৭৮ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়।

তবে এ বছর আলু চাষে জমির পরিমাণ কমেছে বলে স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে। এসব জমিতে গ্রানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্ট্রোরিক, কার্ডিনাল ও রো

জেটা জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। আবাদি জমির পরিমাণ কম হলেও এবার আলুর বাম্পার ফলনও হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় মাসাওয়া এগ্রো লিমিটেড, ইশরাক ট্রেডার্স, রাইশা এন্টারপ্রাইজ এবং আমেরিকায় ক্যালক্স কোম্পানি আলু রপ্তানি করছে। তাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনছেন। এ চারটি প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক লোক এসব আলু প্যাকিং, মাঠ থেকে ওঠানো এবং বাছাই কাজে নিয়োজিত আছেন।

চার বছর ধরে কালাইয়ের আলু রপ্তানি হলেও প্রথম দুই বছর রপ্তানির পরিমাণ কম হলেও ২০২০ সালে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল ও রাশিয়ায় তিন হাজার ৯৫০ টন আলু রপ্তানি করেছেন তারা। বিগত বছরগুলোতে আলুর মান ভালো পাওয়ায় এবার চাহিদা দ্বিগুণ বেড়েছে।

উপজেলার পুনট ধাপশিকটা গ্রামের কৃষক আব্দুল কাফি জানান, ১ একর অথাৎ ১০০ শতক জমিতে মিউজিকা জাতের আলু চাষ করে তার খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আলু পেয়েছেন ২৪০ মণ। মালয়েশিয়ার সুইহিন চান এন্টারপ্রাইজের এজেন্ট বাংলাদেশের মাসাওয়া এগ্রো লিমিটেডের কাছে ৪২০ টাকা মণ দরে আলু বিক্রি করে খরচ বাদে লাভ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক স ম মেফতাহুল ইসলাম জানান, কৃষি বিভাগ রপ্তানিকারকদের পরামর্শসহ সহযোগিতা করে আসছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, মৌসুমের শুরুতে বীজ ও সারের কিছুটা সংকট হলেও পরে তা পূরণ হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দাম পেয়ে কৃষকরা অনেক খুশি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop