১২:৪৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • পাটের ন্যায্য দাম না পেয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক
ads
প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২২ ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
পাটের ন্যায্য দাম না পেয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক
কৃষি বিভাগ

চাঁদপুরে একসময় প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। তবে বর্তমানে পাট আবাদে বিমুখ হচ্ছেন এ জেলার কৃষকরা। উৎপাদন খরচ বেশি এবং কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় দিনদিন আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা।

কৃষকরা জানান, গেলো বছর যেখানে প্রতি মণ পাটের দাম ছিল ২৮০০ থেকে ৩ হাজার টাকা এ বছর তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০০-১৮০০ টাকা দরে।

অপরদিকে চারা রোপণ থেকে শুরু করে আঁশ প্রস্তুতকরণ পর্যন্ত প্রতি মণ পাটে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা টাকা খরচ হচ্ছে তাদের। এতে এ বছর পাট চাষে ব্যাপক লোকসানের শঙ্কা করছেন কৃষকরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, প্রস্তুতকৃত আঁশ কিছুদিন সংরক্ষণ করে রাখতে পারলে দাম কিছুটা বাড়বে।

চাঁদপুর কৃষি অফিসের দেওয়া তথ্য মতে জেলায় দেশি, তোষা, কেনাফ ও মেস্তা জাতের পাট আবাদ হয়ে থাকে। যা বেশি আবাদ হয় সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায়। যদিও গত বছর পাটের দাম ভালো থাকায় চলতি বছর পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে থাকলেও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে। যা লক্ষ্যমাত্রার ২০০ হেক্টর বেশি।

এ বছর দেশি জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে, তোষা আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭২০ হেক্টর, মেস্তা ১৭৫ হেক্টর ও কেনাফ জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ৫৩০ হেক্টর জমিতে।

এরই মধ্যে কাটা হয়েছে দেশি ৯৮৫ হেক্টর, তোষা ৯৭৫ হেক্টর, মেস্তা ১৭০ হেক্টর ও কেনাফ ৩৩০ হেক্টর জমির পাট।

চাঁদপুর সদর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ পাট কাটছেন, কেউবা জাগ দিচ্ছেন, আবার কেউ পাটের আঁশ সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধসহ সবাই একত্রে কাজ করছে। কেউ বাড়ির আঙ্গিনায়, কেউ আবার রাস্তায়।

সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকার কৃষক রফিক তালুকদার, নুরুল ইসলাম ব্যাপারী, বাচ্চু ব্যাপারী ও দেলোয়ার খানসহ বেশ কয়েকজন জানান, প্রতিমণ পাট উৎপাদনে চারা রোপণ থেকে শুরু করে আঁশ নেওয়া পর্যন্ত শ্রমিক খরচ পড়েছে ২ হাজার থেকে ২২০০ টাকা। কিন্তু এবছর দাম মাত্র ১৫০০-১৮০০ টাকা। এতে প্রতিমণে অনেক টাকা লস দিতে হবে।

তাদের দাবি, গত বছর পাট মৌসুমের প্রথম দিকে প্রতিমণ পাটের দাম ছিল ২৪০০-২৬০০ টাকা, শেষ সময় ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাটের আঁশ বিক্রি হয়েছে। এতে অনেকেই লাভবান হওয়ায় এবছরও চাষ করেছেন। কিন্তু এবার দাম এমন হবে তা বুঝতে পারেননি।

এভাবে চললে সামনের বছর অনেক কৃষকই আর পাট আবাদ করবে না।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. জালাল উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, আরও কয়েকদিন যদি পাটের আঁশ সংরক্ষণ করে রাখা যায় তাহলে দাম কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকদের জন্য একটি সুখবর হলো পাটের নতুন একটি জাত উদ্ভাবন হয়েছে। আগামী বছর থেকে উদ্ভাবিত নতুন এ জাতের পাট আবাদের মাধ্যমে কৃষকরা দ্বিগুণ ফলন পাবেন এবং অধিক লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop