৫:৫১ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • চুইঝাল চাষে স্বপ্ন দেখছে মণিরামপুরের ৭০০ তরুণ
ads
প্রকাশ : অক্টোবর ২৯, ২০২১ ২:০৮ অপরাহ্ন
চুইঝাল চাষে স্বপ্ন দেখছে মণিরামপুরের ৭০০ তরুণ
কৃষি বিভাগ

চুঁইঝাল রোপণ করে ব্যবসা ও জীবন ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলার সাত গ্রামের ৭০০ তরুণ ও যুবক। সমবায়ের ভিত্তিতে তারা এক হয়ে গঠন করেছেন খানপুর চুইঝাল প্রজেক্ট।

খানপুর চুইঝাল প্রজেক্ট এর আওতায় মণিরামপুর উপজেলার ১৩ নম্বর খানপুর ও ১২ নম্বর শ্যামকুড় ইউনিয়নের চার গ্রামে ১০০০০ গাছে চাষ করা হয়েছে চুইঝাল। আরো তিন গ্রামে চলছে চারা রোপণের তোড়জোড়। তিন বছর পর এই চুইঝাল বিক্রির উপযোগি হলে প্রতিটি গাছ গড়ে পাইকারি বিক্রি হবে অন্তত: ২০০০ টাকায়।

উদ্যোক্তাদের লক্ষ্য আগামি ছয় বছরে এই সাতটি গ্রামের কয়েক লাখ গাছের প্রতিটিতে জড়িয়ে থাকবে চুঁইঝালের লতা। চুঁইঝাল প্রকল্পে এই তরুণ ও যুবকদের একত্রিত করেছেন উদ্যোমী তরুণ মাসুদুর রহমান সবুজ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানান, ব্যক্তি উদ্যোগে বাণিজ্যিকভাবে চুইঝালের চাষ হলেও দেশে সমবায় ভিত্তিতে এই লতা ঝালটির চাষ তাদের জানা মতে প্রথম। চুইঝাল মসলা জাতীয় উদ্ভিদ। চুইঝাল গাছ দেখতে পানের লতার মতো। পাতা কিছুটা লম্বা ও পুরু। এর কান্ড বা লতা কেটে ছোট টুকরা করে মাছ-মাংস, ছোলা বা ডাল রান্নায় ব্যবহার করা হয়। রান্নার পর এর টুকরা চুষে বা চিবিয়েও খাওয়া যায়।
মাংস রান্নায় চুইঝালের ব্যবহার বেশি।

এটি মাংসের তরকারিতে আনে বিশেষ স্বাদ। নামে ‘চুইঝাল’ হলেও এটি খেতে খুব বেশি ঝাল নয়। চুইঝালের কিছু ঔষধি গুণের কথাও বলা হয়। আগে মূলত যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা এলাকায় এর ব্যবহার হলেও প্রচারমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে চুইঝালের কথা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদাও। বাজারে চুইঝাল আকৃতি ভেদে ৩০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

মণিরামপুর উপজেলার ১৩ নম্বর খানপুর ইউনিয়নের নিভৃত, মনোরম সবুজে ছাওয়া একটি গ্রাম মুন্সি খানপুর। এই গ্রামের হাজি আনসার মোড়লের ছেলে মাসুদুর রহমান সবুজ। তার বাড়িতে দেখা যায়, আশপাশের বেশির ভাগ গাছেই বেয়ে উঠেছে চুইঝালের লতা।

চুঁই ঝাঁলের প্রজেক্ট উদ্যোক্তা মাসুদুর রহমান সবুজ বলেন, ‘সাতটি গ্রাম নিয়ে এই প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়েছে। এরই মধ্যে মুন্সি খানপুর, লাউড়ি, সুন্দলপুর ও জামলা—এই চার গ্রামের ১০ হাজার গাছের গোড়ায় চুইঝালের চারা রোপণ শেষ হয়েছে। প্রজেক্টের বাকি তিনটি গ্রাম তেঘরি, ধলিগাতি ও গোবিন্দপুরে চারা রোপণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

মণিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আবুল হাসান বললেন, মাসুদুর রহমান সবুজ উপজেলার একজন উদ্যোগী তরুণ কৃষক। সবুজের খানপুর চুই প্রজেক্ট ছাড়া দেশে অন্য কোথাও চুইঝাল সমবায় ভিত্তিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বলে আমার জানা নেই। এমন সমবায় ভিত্তিতে চুই চাষ দেখে অন্য এলাকার বেকার বা কৃষক তরুণ-যুবকরাও এতে উৎসাহী হবেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop