৫:৪৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • নাটকে কৃষিকে ‘হেয়’ করাতে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন বান্নাহ
ads
প্রকাশ : জুলাই ৩০, ২০২১ ৭:০৩ অপরাহ্ন
নাটকে কৃষিকে ‘হেয়’ করাতে সমালোচনার ঝড়, ক্ষমা চাইলেন বান্নাহ
পাঁচমিশালি

ঈদুল আযহা উপলক্ষে নির্মিত নাটক ‘দ্য টিচার’ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে এবার। গত ২৫ জুলাই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত নাটকটির সংলাপে ‘এগ্রিকালচার’ শব্দকে গালি হিসেবে ব্যবহার করায় দেশ-বিদেশে চলছে কৃষি সংশ্লিষ্টদের তীব্র সমালোচনা। নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নাটকটি সরানোর দাবি জানিয়েছে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (কেআইবি)।

কেআইবি’র দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ এম এম মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলো কৃষি (Agriculture)। বর্তমানে প্রায় ২০কোটি মানুষের দেশ এখন শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণই নয় বরং কৃষক ও কৃষিবিদদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যেখানে কৃষি অদম্য সফলতা পাচ্ছে সেখানে এ রকম একটা ডায়লগ কুরুচির পরিচায়ক।

আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় কৃষিকে হেয় প্রতিপন্ন করা নাটকটি সরিয়ে ফেলা এবং অনতিবিলম্বে এহেন নিম্ন মানসিকতা ও আপত্তিকর ডায়লগের জন্য নাটকটির নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে কেআইবি।

‘দ্য টিচার’ নাটকটি পরিচালনায় ছিলেন জনপ্রিয় নির্মাতা মাবরুর রশীদ বান্নাহ এবং প্রযোজনায় জনাব ফকরুল রেয়া। অভিযুক্ত সংলাপটি এসেছে তরুণ অভিনেতা ইফতেখার রাফসানের মুখ থেকে।

নাটকের অভিযুক্ত দৃশ্যে দেখা যায়, দুই বন্ধুর কথোপকথন। যেখানে এক বন্ধু নানাভাবে বোঝায় মেয়েদের কীভাবে রাজি করাতে হয়। বিষয়টি পছন্দ হয় না অপর বন্ধুর। তখন তিনি বলেন, ‘তুই একটা এগ্রিকালচার’।

নাটকটি প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশ-বিদেশের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কৃষিবিদ, গবেষক এবং কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

ভুল স্বীকার করে নাটকটির পরিচালক মাবরুর রশীদ বান্নাহ বলেন, সত্যিকার অর্থেই অতি অসাবধানতা বশত এই অনাকাঙ্খিত ভুলটি হয়েছে। আমার পূর্ববতী এবং এই কাজটিতেও চেয়েছি মানুষকে সুন্দর ভালো ম্যাসেজ দিতে। কিন্তু শব্দ প্রয়োগ জনিত এই বিষয়টি খুবই ভুল হয়েছে। যেটি আমি স্বীকার করি।

তিনি আরও বলেন, আমি কোনদিনও জেনে বুঝে কাউকেই কষ্ট দিতে চাইনি। আমার দাদাও একজন কৃষক ও একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ইতোমধ্যে নাটকটির ওই পার্টটুকু পুরোপুরি ছেটে ফেলা হয়েছে। ইউটিউবে গিয়ে যাচাই করে দেখতে পারেন। ভুল চোখে পড়ার সাথে সাথেই তা সংশোধন করা হয়েছে। আশা করছি আপনি/আপনারা ভুলটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop