৫:১৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • জমকালো প্রচারণা কাজে আসেনি ঝিকরগাছা খাদ্য বিভাগের
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০২৩ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
জমকালো প্রচারণা কাজে আসেনি ঝিকরগাছা খাদ্য বিভাগের
কৃষি বিভাগ

মিঠুন সরকার, ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃ চলতি আমন মৌসুমের ধান চাল সংগ্রহ অভিযানে যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় জমকালো প্রচারণা কোন কাজেই আসেনি কৃষক তথা খাদ্য বিভাগের।প্রাপ্ত তথ্য হতে জানা যায়, ‘গত বছরের ১৭ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং, পোস্টার ও ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক আকারে প্রচারণা চালানো হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। যা আজ ২৮ শে ফেব্রুয়ারী শেষ হচ্ছে।‘

এতো প্রচারণা সত্ত্বেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এক কেজিও ধান সংগ্রহ করতে পারেনি উপজেলা খাদ্য বিভাগ।

অনুসন্ধানে যে সকল বিষয়  উঠে এসেছে তা হলোঃ

  • বাজার মূল্যের চেয়ে সরকার নির্ধারিত ধানের মুল্য অনেক কম
  • কৃষক স্থানীয় পর্যায়ে সরাসরি বাড়ি থেকে ধান বিক্রি করতে পারেন। ফলে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ থাকেনা।
  • সরাসরি টাকা হাতে পান। কিন্তু সরকারী প্রক্রিয়া ব্যাংক ভিত্তিক হওয়ায় অনেক কৃষক অনাগ্রহী।
  • ধানের মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়না। কিন্তু সরকারী ভাবে ধান বিক্রি করতে গেলে আদ্রতা সঠিক মাত্রায় থাকতে হয়। যেখানে অনেক কৃষক অনাগ্রহ প্রকাশ করে।
  • সরকারী ভাবে ধান বিক্রিতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যেটা অনেক কৃষক ঝামেলা মনে করেন।
  • স্থানীয় বাজার মূল্য সরকার নির্ধারিত বাজার মূল্যের সমান হলেও কৃষক ধান বিক্রিতে অনাগ্রহী।

উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের ডহর মাগুরা গ্রামের কৃষক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমরা ওসব আদ্রতা বুঝিনা। ধান কাটবো, শুকাবো আর বাজারে নিয়ে বিক্রি করবো। আমরা চাষী মানুষ এতো ঝামেলা বুঝিনা। সরকার যদি সমান সমান দাম ও দেয় তাহলে আমরা ধান বেচবো না।

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক হসেন আলী জানান, ‘একবার ধান বেচতে উপজেলায় গেছিলাম। ধানের তাপ কম না কি বলে আমার ধান ফেরত দিয়েছিলো। আমরা চাষা মানুষ এতো কিছু কি বুঝি। আমার অনেক টাকা লস হয় সেবার শুধু ভাড়া দিতে দিতে। তাই আর আর বিক্রি করবো না এভাবে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো.আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ধানের দাম স্থানীয় বাজারের চেয়ে কম। ফলে কৃষক ধান বিক্রিতে অনাগ্রহ দেখিয়েছেন।আর আমরা কৃষকের সুবিধা বিবেচনা করে এগুলো নিয়ে বেশি জোর দেয়নি। কারণ কৃষক বাঁচলে কৃষি বাঁচবে ।ধানের বদলে চালের মাধ্যমে এ ঘাটতি পূরণের কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop