৩:১০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বৃষ্টিতে সজীব হয়ে উঠেছে চা বাগান
ads
প্রকাশ : মে ১২, ২০২১ ৯:৪৭ পূর্বাহ্ন
বৃষ্টিতে সজীব হয়ে উঠেছে চা বাগান
প্রাণ ও প্রকৃতি

মার্চ ও এপ্রিলের অগ্রিম বৃষ্টি ইতোমধ্যে চা শিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বৃষ্টির পানি পেয়ে গাছের পাতা সজীব হয়ে উঠছে। বাগানে বাগানে এখন সবুজ পাতার সমারোহ। শ্রমিকরা দু’টি পাতা একটি কুঁড়ি উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাতা চা উৎপাদনের জন্য এই বৃষ্টি আর্শীবাদ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা।

চা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চা উৎপাদনের মূল চালিকা শক্তি প্রাকৃতিক পরিবেশ। প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত ও সহনীয় তাপমাত্রা চা উৎপদানের মূল নিয়ামক। পাহাড়-টিলাবেষ্টিত মৌলভীবাজার জেলা বৃষ্টিপ্রবণ এলাকা। দেশের সবচেয়ে বৃষ্টিপাত হয় এ অঞ্চলে। এতে এই অঞ্চলের মাটিতে চায়ের ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশের ১৬৭ চা বাগানের মধ্যে মৌলভীবাজারে রয়েছে ৯৩টি চা বাগান।

মৌলভীবাজারের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মার্চ ও এপ্রিলের শুরুতে দেশের কোথাও বৃষ্টিপাত হয়নি। একমাত্র সিলেট অঞ্চলের মৌলভীবাজারে মার্চে ১০৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এপ্রিলে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। মে মাসের শুরু থেকে প্রতিদিন রাতে অথবা দিনে কমবেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ কোটি ১৫ লাখ কেজি। মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উৎপাদন ভালো হওয়ার কথা। আবহাওয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে হয়তো বেশি চা উৎপাদন হতে পারে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, দেশের পয়ষট্টি শতাংশ চা মৌলভীবাজার জেলা থেকেই উৎপাদিত হয়ে আসছে। শুষ্ক মৌসুমে টানা প্রায় তিন চার মাস চা উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় শ্রমিকরা চা বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত থাকেন। চা গাছ ছাঁটাই আগাছা পরিষ্কারসহ নানাভাবে বাগানে কাজ করা হয়। এরপর মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টিপাত হলেই গাছে গাছে তখন নতুন কচিপাতা আসতে শুরু করে। শ্রমিকরা তখন নতুন উদ্যমে চা পাতা উত্তোলনের কাজে হাত দেন।

চায়ের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল বছর এ সময়ে খরার কবলে পড়ে জেলার বেশকিছু বাগানের চা গাছ মারা যায়। এতে বাগান যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। অমনি উৎপাদন মৌসুমের শুরুতে প্রায় পঁচিশ শতাংশ চা উৎপাদন পিছিয়ে যায়। তবে এ বছর দেখা গেছে অন্যচিত্র।

মৌলভী চা-বাগানের সহযোগী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী জানান, তার বাগানে মার্চের ১৬ তারিখ থেকে পাতা উত্তোলন ও কারখানায় চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে থাকায় বাগানে ভালো পাতা পাওয়া যাচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়লে উৎপাদনও বাড়বে।

রাজনগর মাথিউড়া চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ইবাদুল হক জানিয়েছেন, তার বাগানে এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৪ লাখ ৩০ হাজার কেজি। এ পর্যন্ত তিনি তার বাগান থেকে চা উৎপাদন করেছেন ১৬ হাজার ৩২ কেজি চা। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ছয় দশমিক পাঁচ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এবারে চায়ের ভালো উৎপাদন পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop