২:৩৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শেরপুরে বন্য হাতি সাবাড় করল ২০০ একর জমির ধান
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৭, ২০২১ ৪:০২ অপরাহ্ন
শেরপুরে বন্য হাতি সাবাড় করল ২০০ একর জমির ধান
পাঁচমিশালি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার পানিহাতা এলাকায় বন্য হাতির পাল প্রায় ২০০ একর জমির ধান নষ্ট করছে। খেয়ে ও পায়ে পিষে দেড় শতাধিক কৃষকের এসব ফসল নষ্ট করে। গত ২০-২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির একটি পাল খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় সময় কাটছে কৃষকদের। বেশি দুশ্চিন্তা করছেন অন্যের জমিতে বর্গায় চাষাবাদকারীরা।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি ও ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বন বিভাগ ও স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৪০-৫০টি বন্য হাতির পাল পানিহাটা অতল জঙ্গলে ও তালতলা জঙ্গলে অবস্থান নিয়েছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে বন্য হাতির পাল আমন ধানের খেতে নেমে আসে। এ সময় প্রান্তিক কৃষকরা তাঁদের পরিবারের সদস্য, এলাকাবাসী ও বন বিভাগের কর্মীরা হইচৈই করে, বাঁশি বাজিয়ে ও পটকা ফুটিয়ে ও মশাল জ্বালিয়ে হাতি জঙ্গলে ফেরাতে প্রাণপন চেষ্টা করেন। এ ছাড়া শতাধিক কৃষক পাহাড়ের ঢালে খেতের পাশে মাঁচা বেঁধে রাত্রী যাপন করে জেগে পাহারা দেন। কিন্তু তাতে ও হাতির আক্রমণ বন্ধ হয় না। গত এক মাসে পানিহাটা গ্রামে দেড় শতাধিক প্রান্তিক কৃষকের ২০০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে হাতির আক্রমণে।

কৃষক হাসমত আলী বলেন, চলতি মৌসুমে পাহাড়ের ঢালে দেড় একর জমি বর্গা নিয়ে আমন আবাদ করেছিলেন তিনি। ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু গত ক’দিনে চোখের সামনেই হাতির পাল তাঁর খেতের প্রায় সব ধান খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে।

কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন, হাতির ভয়ে ১৫ দিন ধইরা আমরা খেতের পাশে রাত জেগে পাহারা দিয়েছি। কিন্তু হাতির পাল আমাদের অনেকের খেতের ফসল খাইয়া শেষ কইরা ফালাইছে। এত কষ্টের ফসল চোখের সামনে শেষ হইয়া গেল। এহন ক্ষতিপূরণ চাইয়া আবেদন করছি।

দিনমজুর বিজার কুবির বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী মিনিগ চিসিম দুজনে মিলে তিন একর জমি বর্গা নিয়ে পাইজাম ধান চাষ করছি। ফলনও ভালো হয়েছিল। একর প্রতি ৪৫- ৫০ মণ ধান পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ২৫ দিনে ৪০-৫০টি বন্য হাতির পালের আক্রমণ ৭-৮ বার আক্রমণ চালিয়ে আমার ধানি জমি নষ্ট কইরা দিছে। এহন সব মিলাইয়া তিন একর জমি থেকে দেড় মণ ধান পাইছি।

এ ব্যাপারে বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, এই পর্যন্ত পানিহাটা গ্রামের শতাধিক কৃষকের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণের জন্য বন বিভাগের কাছে আবেদন করা হয়েছে। নিয়ম মেনে আবেদন করা হলে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করে পাবেন।

মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল করিম বলেন, একজন কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত খেতের ছবি, তাঁর নিজের ছবি, ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ বন বিভাগের ফরমে আবেদন করতে হয়। দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আবেদন করতে বলা হয়েছে

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop