১২:১০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মৌলভীবাজার যেন এক হলুদের রাজ্য
ads
প্রকাশ : মার্চ ১৩, ২০২১ ২:৩২ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার যেন এক হলুদের রাজ্য
প্রাণ ও প্রকৃতি

মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার আজমেরু এলাকার যেদিকে চোখ যায় দেখা মিলে হলুদ সমারোহ। সূর্যমুখী ফুলের রাজ্যে যেন গড়ে উঠেছে মৌলভীবাজার। আর এই ফুল দেখতে আর ফুলের সাথে মিতালী গড়তে আসছে দূর দূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী। মনে হচ্ছে যেন এটি একটি নয়ানভিরাম হলুদের রাজ্য।

জানা যায়, সাংবাদিকতার পাশাপশি সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের আজমেরু গ্রামে ৬ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন দুই সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন ও এস এম উমেদ আলী। এছাড়াও সদরের গিয়াসনগর ইউনিয়নের আরিফুল ইসলাম ২ একর, আব্দুল বাতেন ও গোবিন্দ সূত্রধর ১ একর জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন।

সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহিন বলেন, আগে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান তোলার পর এই জমিগুলো পতিত থাকত। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে আমরা গতবছর থেকে সূর্যমুখী চাষ করছি। আমাদের এই সূর্যমুখীর চাষ অনেক মানুষ দেখতে আসছেন। দেখে তারা উৎসাহ বোধ করছে। এবং বলছে তারা এই সুর্যমুখী চাষ করবে।

বাজারে যে ভোজ্যতেল পাওয়া যায় সেটি মানসম্মত নয়। সূর্যমুখীর তেল অনেক ভালো। আমাদের যা প্রয়োজন তা রেখে অতিরিক্ত বীজ বাজারে বিক্রি করে দিবেন বলে তিনি জানান।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলায় এ বছর সূর্যমুখী চাষ হয়েছে ৫৬৫ হেক্টর জমিতে। তিনটি ভেরাইটি হাইসান-৩৩, হাইসান-৩৬, নতুন বীজ আরডিএস-৭৫ হাইব্রিড জাতের সূর্যমুখী চাষ হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় এই সূর্যমুখীর চাষ। গত বছর যেখানে জেলাজুড়ে সূর্যমুখীর চাষ মাত্র ৫৮ হেক্টর জমিতে। কিন্তু এ বছর তার ১০ গুণের চেয়ে বেশি জায়গায় সূর্যমুখী চাষ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোজ্য তেলের যে চাহিদা সেই চাহিদার জন্য বিদেশ থেকে ভোজ্য তেল আমাদানি করতে হয়। আমরা সয়াবিন নির্ভর। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব তেল সরিষা এবং সূর্যমুখী এই দুটিকে লক্ষ্য করে আমাদের নিজস্ব উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য কর্মসূচি নিয়েছি।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. ফরহাদুল হক জানান, ফসল অনেক ভালো হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যাবে। ভালো ফলন হবে আশাকরি। প্রতি হেক্টরে ২ টন বা প্রতি বিঘায় ৮ মণ সূর্যমুখী বীজ পাওয়া যাবে। এতে স্থানীয় চাহিদা অনেকটা পূরণ হবে। এই সূর্যমুখী বীজ কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় করতে পারবেন।

তিনি আরও জানান, ৯০-১০০ দিনে সূর্য দিনের মধ্যে ফল উৎপাদন করা যায়। হাইসান জাতের ভেরাইটি লম্বা হয়। এবং ফলনের হার ৪২-৪৩ শতাংশ। আর নতুন ভেরাইটি আরডিএস-৭৫ খাটো জাতের। এই গাছে একাধিক ফুল হয়।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop