৩:৪৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • রাজশাহীতে আলু চাষে সফল চাষিরা
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ২, ২০২১ ১০:০২ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীতে আলু চাষে সফল চাষিরা
কৃষি বিভাগ

অতীতে কোল্টস্টোরেজ ব্যবস্থার স্বল্পতা থাকায় আলু সংরক্ষণে সমস্যা হতো রাজশাহীর আলু চাষিদের। তবে বর্তমানে এ সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন উৎপাদিত আলু হিমাগারে রেখে সুবিধা মতন বিক্রয় করা যায়। পাশাপাশি ভালো দামও পেয়েছেন কৃষকেরা।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, গত বছর ৩৫ হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। আর উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন। এবার জেলায় জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ৬২৯ হেক্টর। এই হিসাবে আলুর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন।

কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ায় আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পরবর্তীতে নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। সোমবার (২২ মার্চ) পর্যান্ত জেলায় ৩২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি থেকে আলু উত্তোলন করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বাকি জমি থেকে আলু তোলা সম্পন্ন হবে।

আলুর উৎপাদন ও খরচের বিষয়ে কৃষক ও আলু ব্যবসায়ীরা জানায়, প্রতি বিঘায় এবার আলু চাষে খরচ হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। আর উৎপাদন হয়েছে ৮০ থেকে ১১০ মণ করে। প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এর সাথে জমি থেকে আলু উত্তোলন, বাজারজাতকরণে পরিবহন ও শ্রমিক খরচ মিলে প্রতি কেজি আলুর খরচ পড়ছে ১৪ থেকে ১৫ টাকা। আর জেলার স্থানীয় হাট-বাজারগুলোতে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে, এ বছর হিমাগার মালিক সমিতি প্রতি বস্তায় ভাড়া নির্ধারণ করেছে ৫০ কেজিতে ১৫০ টাকা করে। এর সাথে শ্রমিক খরচসহ সব মিলিয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কোল্ডস্টোরেজে ভাড়া দিতে হচ্ছে ২০০ টাকা।

তানোর উপজেলার চিমনা গ্রামের দু‘জন কৃষক জানান, তারা দুইজন এ বছর ছয় বিঘা করে জমিতে আলু রোপণ করেছিলেন। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। আলু উৎপাদন হয়েছে ৫৫০ মণ। বিক্রি হয়েছে প্রায় তিন লাখ টাকায়। অন্যান্য আলুর তুলনায় ‘ডায়মন্ড’ আলুর আবাদ ও ফলন বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উম্মে সালমা জানান, ‘আলু চাষিদের আমরা প্রণোদনা দিয়েছিলাম। আবহাওয়া ভালো ও দাম ভালো থাকায় কৃষক লাভবান হয়েছে। এ বিষয়ে ৯ টি উপজেলায় সার্বক্ষণিক আমাদের কৃষি অফিসাররা দেখভাল করেছেন। কোনো সমস্যা হলে কৃষকের সাথে গিয়ে কথা বলে সমস্যার সমাধানে কাজ করা হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, ‘পূর্বে রাজশাহীতে ভালো ফলন হলে কৃষকেরা তা সংরক্ষণ নিয়ে সমস্যায় পড়তেন। ফলে অনেক সময় বাজারে নামমাত্র মূল্যে বেঁচতে হতো অথবা আলু না তুলে মাটিতেই রেখে দিতেন। বর্তমানে এ সমস্যা নেই। রাজশাহী জেলায় বর্তমানে সরকারি-বেসরকারিভাবে মোট ৩৬টি হিমাগার আছে। এই হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ করা যাবে মোট ৮০ লাখ বস্তা। সংরক্ষণের সমস্যাও নিরসন হয়েছে। সব দিক থেকেই কৃষক লাভবান বলে তিনি যোগ করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop