৫:০৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যে বাকৃবিতে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী
ads
প্রকাশ : মে ১৪, ২০২৩ ৫:১৬ অপরাহ্ন
ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্যে বাকৃবিতে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী
ক্যাম্পাস

কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীন: মাইক্রো, ছোট, মাঝারি উদ্যোক্তরা ফুড বেভারেজের ৯৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। একটা বয়সের পর শরীরে ডায়বেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় । যার মূল কারণ শরীরে সঠিকভাবে পুষ্টি গ্রহণ না করা, কথাগুলো বলেছেন প্রফেসর ড.লুৎফুল হাসান উপাচার্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় । বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করণে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি (এমএসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য এই প্রদশর্নী গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। এমএসএমইকে সঠিকভাবেভাবে পরিচালনা করতে পারলে একটি বৃহৎগোষ্ঠী উপকৃত হবে।
রোববার (১৪ মে) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে ওই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাকৃবির ফুড টেকনোলজি এবং গ্রামীণ শিল্প বিভাগ এবং গ্লোবাল এলায়েন্স ফোর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আলোচনা সভায় ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজের সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. আফজাল রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন (ভার্চুয়ালি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপদ কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিম, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জাতীয় সমিতির( নাসিবের) সভাপতি মো নুরুল গনি। এছাড়া নাসিবের ময়মনসিংহ ও জাতীয় পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের সামনের মুক্তমঞ্চে একটি খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এখানে ৭ টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন খাদ্য পণ্য প্রদর্শন করা হয়। যেগুলো প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণ করে তৈরি করা হয়েছে। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম।
এ সময় প্রকল্প প্রধান ড. মোহাম্মদ গোলজারুল আজিজ বলেন, শিল্প কারখানাগুলোর খাদ্য পণ্য তৈরির ক্ষেত্রে যথেষ্ট জ্ঞানের অভাব আছে। তাই ইন্ডাস্ট্রি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে আমরা এই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছি। এতে জ্ঞান ভাগাভাগির মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। গেইনের সাথে বাকৃবির প্রজেক্ট চলছে । এর একটি উদ্দেশ্য হলো মার্কেটে প্রচলিত কম খরচের খাদ্য পণ্যগুলো শনাক্তকরণ, যা খাদ্য নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে। প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে খাদ্য প্রযুক্তি প্রদর্শনী ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোগক্তাদের শক্তিশালী করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা অর্জনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল আলিম বলেন, এমএসএমই চাইলেই সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খাবার প্রধান করতে পারে না। পণ্য উৎপাদনের জন্য তাদের ক্ষুদ্র অর্থ প্রদান করা হয়, যার জন্য চাইলেও স্বাস্থ্যকর খাবার প্রদান করতে পারে না। কারণ ভোক্তারা স্বাস্থ্যকর খাবার থেকেও বেশি তারা দাম কমের দিকে নজর বেশি দেয়। সরকার এখন বিভিন্ন প্রোগ্রামের মাধ্যমে এমএসএমইকে সমর্থন করে থাকে কারণ তা না হলে বড় কোম্পানিগুলো এইসব পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে অনেক সুবিধা ভোগ করবে। তাই প্রত্যেক জেলার এমএসএমএইকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে খাবার গুণগত মান উন্নয়ন করণে প্রদর্শন ও প্রোগ্রামের আয়োজন করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop