১২:১৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ব্যস্ত কুড়িগ্রামের চাষিরা
ads
প্রকাশ : সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২ ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
আগাম শীতকালীন সবজি চাষ ব্যস্ত কুড়িগ্রামের চাষিরা
কৃষি বিভাগ

কুড়িগ্রামে এখন সারা বছরই প্রায় সবজি চাষ হয়। তবে হরেক রকমের শীতকালীন সবজি কৃষকরা চাষ করেন বেশি। দাম ভালো পাওয়া ও ফলন ভালো হওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

তবে চলতি বছর বৈরী আবহাওয়া, সার, বীজ ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধিতে এ জেলায় আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষিরা দুশ্চিন্তিত হয়ে পড়েছে। অসময় বৃষ্টিপাত ও উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে মাঠেই বেশ কিছু বীজ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। পলিথিন-কাঁথা দিয়ে ঢেকেও রক্ষা করা যাচ্ছে না।এ দিকে সরকারিভাবে সারের কোনো সংকট নেই বলা হলেও কৃষকরা বলছে চাহিদা মতো সার পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া যা পাওয়া যাচ্ছে তাও দ্বিগুণ মূল্যে কিনতে হচ্ছে তাদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-সহকারি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, চলতি মৌসুমে জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এবং সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে আগামভাবে ফুলকপি এবং বাঁধাকপি চাষ করা হচ্ছে। গত বছর প্রায় ৭০ হেক্টর জমিতে আগাম চাষ করা হলেও এবার ৯০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও বাঁধা কপি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছেন কৃষকরা। জুলাই মাসের মাঝামাঝি থেকে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোম্পানি থেকে বীজ নিয়ে পুলি তৈরির কাজ করা হয়। প্রথমে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে বীজ বপন করা হয়। সেখানে ১৫ দিন বয়সী পুলি তুলে বেডের মধ্যে লাগানো হয়। বেডে সর্বোচ্চ ৩০ থেকে ৪০ দিন রাখা হয়। এরপর জমি তৈরি করে সেখানে পুলি লাগানো হয়। সর্বোচ্চ ৬০ দিনের মধ্যে ফুলকপি বা বাঁধা কপি উত্তোলন করা শুরু হয়।

এতে সব মিলিয়ে ১১০ থেকে ১২০ দিন অর্থাৎ ৪মাস সময় লেগে যায়।জেলায় সবজির জন্য বিখ্যাত রাজারহাট উপজেলার ছিনাই এবং সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও চাষ হচ্ছে আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি। বাজারে শীতের এই সবজির চাহিদা থাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে এখানকার কৃষকরা আগামভাবে এসব সবজি চাষ করছেন। কিন্তু চলতি বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও প্রখর রোদে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এর উপর সার ও কীটনাশকের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে কৃষকদের। ফলে আগামভাবে চাষ করে এবার বিপাকে রয়েছে চাষিরা।

রাজারহাটের ছিনাই ইউনিয়নের বালার ডিঘিরপাড় খিলপাড় এলাকার কৃষক আব্দুল গফুর (৬৩) জানান, দিন দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রান্তিক চাষিরা সবচেয়ে বেশী সমস্যায় ভুগছেন। যারা জমি লিজ নিয়ে বা বর্গা নিয়ে আগাম সবজি চাষ শুরু করেছেন তারা অতিরিক্ত খরচের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গতবছর যে বীজ ৪০০ টাকা দরে কেনা হয়েছিল এবার সেটা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়। একই উপজেলার মীরেরবাড়ী এলাকার কৃষক কোরবান আলী (৬০) জানান, গরমকালে দুটো পয়সা বেশী পাওয়ার আশায় ফুলকপি লাগাই। কিন্তু এবার খরচ বেশি পড়ায় লাভ কেমন হবে জানিনা। আবহাওয়া ভাল থাকলে শতভাগ লাভ হবে।গতবার ইউরিয়া ও পটাশ সারের কেজি ছিল ১৮টাকা করে। এবার কিনতে হচ্ছে ৩০টাকা। এছাড়াও বীজ ও কীটনাশকের দামও বেড়ে গেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক আজিজুল ইসলাম জানান, ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেলায় আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষ। তবে সাম্প্রতিক খরা ও বৃষ্টির কারণে চারার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কৃষকরা নতুনভাবে আবারো চারা রোপণ করছে। তবে সবজির মান বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষকদের জৈব সার ব্যবহার করা পরামর্শ দিচ্ছি। তবে জেলায় কোন সারের সংকট নেই বলে তিনি মনে করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop