৩:১৭ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বিশ্বের দশটি দেশে রফতানি হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু
ads
প্রকাশ : এপ্রিল ১৯, ২০২১ ৩:৫০ অপরাহ্ন
বিশ্বের দশটি দেশে রফতানি হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু
এগ্রিবিজনেস

জয়পুরহাট জেলায় সম্প্রতি আলু উত্তোলন শেষ হয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বের দশটি দেশ তথা মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, নেপাল, রাশিয়া ও দুবাইয়ে রফতানি করা হচ্ছে জয়পুরহাটের আলু। এই অঞ্চলের আলু অত্যন্ত উন্নত মানের হওয়ায় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও এর চাহিদা অনেক। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আলুর দাম ভালো পাওয়ায় বেশ খুশি কৃষকরাও।

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার আলু রফতানিকারক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সূচি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. সুজাউল ইসলাম সুজা জানান, গত ৯ বছর যাবত আমি বহির্বিশ্বের ৮টি দেশে আলু রফতানি করে আসছি। আলু রফতানি করতে প্রথমে আমি জমি নির্বাচন করি, পরে সেই জমিতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে আলু রোগ বালাই মুক্ত করে ফলন নিশ্চিত করার পর আলু পরিপক্ক হলে তা তোলা হয়। এক পর্যায়ে বাছাইয়ের পর গ্রেটিং করে ৫কেজি, ১০ কেজি, ২০ কেজি প্যাকেট করে রফতানির জন্য প্রস্তুত করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ শেষ হলে তা ঢাকায় রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয় সেখান থেকে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে রফতানি করা হয়। এই কাজে কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র পেতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয় ফলে অনেকেই অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে বিদেশে আলু রফতানি করছে।

তিনি বলেন আমার কোম্পানিতে বর্তমানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। চলতি ২০২০-২১ মৌসুমে জেলায় ৪১৩১৫ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। আলু উৎপাদন হয়েছে ৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। গত মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩৮৫০০ হেক্টর জমিতে। আলু উৎপাদন হয়েছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন। আলু উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত জয়পুরহাট।

তিনি আরো বলেন, ফলন ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা গ্যানোলা, মিউজিকা, ডায়মন্ড, এস্টোরিকস, কার্ডিনাল , রোজেটা ও দেশি জাতের আলু বেশি চাষ করে থাকে। জেলার ১৫ টি কোল্ড স্টোরেজে প্রায় ১লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স ম মেফতাহুল বারি জানান, জেলায় আলু চাষ সফল করতে স্থানীয় কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মনিটরিং তদারকি ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করেছে। বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের আলু বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অনেক পাইকারী ক্রেতারা জমি থেকেই আলু কিনে নিয়ে গেছে। এবার বাজারেও আলু প্রকার ভেদে ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা বেশ খুশি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop