৩:৫৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • দুধ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মাগুরার ৪৯৯ খামারি
ads
প্রকাশ : জুন ৩০, ২০২১ ২:১৪ অপরাহ্ন
দুধ বিক্রি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মাগুরার ৪৯৯ খামারি
প্রাণিসম্পদ

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন। আর এই লকডাউনে বিক্রি নিয়ে বিপাকে পড়ছেন মাগুরা জেলার ৪৯৯ খামারি। বিক্রি করতে না পেরে অনেক খামারিই দুধ ফেলে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিকে খামারিদের উৎপাদিত দুধ বহনকারী কোনো যানবাহন শহরে ঢুকতে না পারায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়েছে। এতে আর্থিক সংকটের কারণে অনেক খামার বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকে খামারের শ্রমিকদের পাওনা বেতন ও ঋণের টাকা পরিশোধ করতে গরু পর্যন্ত বিক্রি করছেন খামার মালিকরা।

জানা যায়, মাত্র ৩ বছর আগে ৪টি ফ্রিজিয়ান গরু নিয়ে সদরের বেলনগর গ্রামে নিজের বাড়িতে খামার গড়েছিলেন শামীমা সুলতানা। শুরুতে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের পরিশ্রমে খামারটির গরুগুলো লালিত পালিত হতো। বর্তমানে নিজের পরিশ্রম ও সার্বিক চেষ্টায় খামারটির আয়তন বাড়ছে। এখন তার খামারে গরুর বাছুরসহ মোট ২০টি গরু হয়েছে। তার মধ্যে ১১টি গরু দুধ দেয়।

প্রতিদিন খামারটিতে ১৩০ কেজি দুধ পায় শামীমা। যা শহরের বিভিন্ন হোটেল ও আইসক্রিম ফ্যাক্টরি সংশ্লিষ্টরা সংগ্রহ করতো। খামারি শামীমা সুলতানা জানান, প্রতিদিন আমার ১১টি গরুর দুধ বিক্রি করে প্রায় ৬ হাজার টাকা পেতাম। যা দিয়ে শ্রমিক ও খামারের বিভিন্ন খরচ মেটানো হতো। বর্তমানে চলমান লকডাউনে খামারের উৎপাদিত দুধ বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিতে হচ্ছে। দুধ পরিবহন গাড়ি শহরে প্রবেশ করতে পারছে না। হোটেল ও আইসক্রিম ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ থাকায় তারাও আর যোগাযোগ করছে না। আমার উৎপাদন খরচ না উঠায় প্রতি মাসে ভর্তুকি নিয়ে চালাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ হয়ে যাবে।

একই গ্রামের অপর খামারি হাজেরা খাতুন জানান, লকডাউনে খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। তার খামারে ৮টি গরু রয়েছে। প্রতিদিন খরচ বাদে ৩/৪ হাজার টাকার দুধ বিক্রি হতো। লকডাউনে দুধ বিক্রি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এদিকে দুধ বাছুরগুলোকে খাওয়ালে তারাও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। তাই বাধ্য হয়ে দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে আমরা একটি কঠিন সময় পার করছি। লকডাউনের এ সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের সরকারি প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকার কাজ করছে। পাশাপাশি জেলার খামারিদের ঐক্যবদ্ধ করে ভ্রাম্যমাণ পরিবহনের মাধ্যমে দুধ বিক্রি করার ব্যবস্থার জন্য কাজ করছি বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop