৩:২৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শিক্ষকতার পাশাপাশি ড্রাগন চাষে তাক লাগিয়েছেন মুসা
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ২১, ২০২১ ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
শিক্ষকতার পাশাপাশি ড্রাগন চাষে তাক লাগিয়েছেন মুসা
কৃষি বিভাগ

বাংলাদেশে গত বেশ কয়েক বছর ধরে নানা ধরনের বিদেশি ফল চাষ হচ্ছে। দেশীয় বাজারে এসব ফলের চাহিদা থাকার কারণে অনেকেই ফল চাষের দিকে ঝুঁকছেন। এবার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী গ্রামের হারুনুর রশীদ মুসা ড্রাগন চাষ করে তাক লাগিয়েছেন। পেশায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তবে শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি নিজ গ্রামে সুখ্যাতি পেয়েছেন দেশি বিদেশি বিভিন্ন ফলের আবাদ করে। আর মুসার এ অভাবনীয় সাফল্য দেখে এখন গ্রামের অনেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে ঝুঁকছেন এসব বিদেশি ফল চাষে। এবার ৫ বিঘা জমিতে পিংক রোজ ড্রাগনের আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। আর বিক্রি করেছেন করেছেন ১০ লাখ টাকার ফল।

এর আগে হারুনুর রশীদ মুসা ত্বীন ও অ্যাভোকাডো ফলের চাষ করে সাফল্য পেয়েছিলেন। তবে এবার তিনি ৫ বিঘা জমিতে আবাদ করেছেন “পিংক রোজ” জাতের ড্রাগন ফলের।

এই ফলগুলোর এক একটির ওজন ৫০০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। চারা, সেচ, সার, কীটনাশক পরিচর্যাসহ ৫ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা। চলতি বছর তিনি এই ৫ বিঘা জমিতে পিংক রোজ ড্রাগনের আবাদ করে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন।

হারুনুর রশীদ মুসা জানান, তিনি প্রায় ১৬ বছর আগে আপেল কুলের আবাদ করেন। এরপর পেয়ারা, মাল্টাসহ অন্যান্য ফলের বাগান করেছেন। ৫ বছর আগে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। এছাড়া তিনি অ্যাভোকাডো ফলেরও চাষ করেছেন। বর্তমানে তার ১১ বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ রয়েছে। এর মধ্যে পিংক বড় জাতের ড্রাগনের আবাদ রয়েছে ৫ বিঘা জমিতে।

তিনি আরও জানান, এক বিঘা জমিতে চারাসহ তার খরচ হয়েছে দেড় লাখ টাকা। চারা লাগানোর ৬ মাস পর ফল পাওয়া যায়। ড্রাগন গাছ একবার লাগালে ১৫ থেকে ২০ বছর বাঁচে। বাজারে অন্যান্য ড্রাগনের ফল যখন বিক্রি শেষ হয়ে যায় তখন পিংক রোজ ড্রাগন ফল ওঠে। অর্থাৎ পিংক বড় জাতের ড্রাগন ফল একটু দেরিতে আসে। যে সময় বাজারে ড্রাগন ফল খুবই কম থাকে। ফলে দাম ভালো পাওয়া যায়।

কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহাসিন আলী জানান, “হারুনুর রশীদ একজন ইনোভেটিভ কৃষক। তার বাগানে শুধু ড্রাগন নয়। মাল্টা, অ্যাভোকাডো, ত্বীনসহ বিভিন্ন ধরনের বিদেশি ফলের আবাদ রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে আমরা তাকে নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে আসছি। আমি নিজেই তার প্রতিটি বাগান পরিদর্শন করেছি। এছাড়া কৃষি বিভাগ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণেও পাঠানো হয়। মুসার মত কৃষি উদ্যোক্তারা দেশের কৃষিক্ষেত্রে দারুণ অবদান রাখছেন।”

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop