৫:৫৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়!
ads
প্রকাশ : মে ১৩, ২০২১ ৩:৩২ অপরাহ্ন
সাতক্ষীরায় কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আম যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়!
এগ্রিবিজনেস

জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই সাতক্ষীরায় গাছ থেকে পাড়া হচ্ছে অপরিপক্ব কাঁচা আম। আর এই অপরিপক্ক আমে কেমিক্যাল স্প্রে করে টকটকে রং তৈরি করছে সেখানকার অসাধু মহল। তারা কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর জন্য ব্যবহার করছেন বিষাক্ত কার্বাইড। আর এই বিষাক্ত আম প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

তালার এক আম ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘অত্র এলাকার অপরিপক্ব আম ঢাকার বাজারগুলোতে বৈশাখী আমের নামে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার আমের সুখ্যাতি থাকায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে আগেভাগে পাঠানো হচ্ছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সব আম ব্যবসায়ীরা এখন গাছ থেকে আম নামাচ্ছেন। গাছতলায় আমে রাসায়নিক স্প্রে করে বাজারজাত করা হচ্ছে। রাসায়নিক দিলে একদিনেই আম পেকে যায়। আমে বিষ দিয়ে পাকালে সেটি ক্ষতিকর সবাই জানে তবে একাজে কেউ বাধা দেয় না। প্রশাসন বা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তালা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজিরা খাতুন জানান,চলতি মৌসুমে ৭১৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এখানে প্রায় দুইহাজার ছোট-বড় বাগান রয়েছে। এ সব বাগান থেকে প্রায় ১১৩৬০ টন আম উৎপাদন হয়। উৎকৃষ্ট আমের মধ্যে রয়েছে হিমসাগর, ল্যাংড়া ও আর্মপালি। এছাড়া রয়েছে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, লতাসহ দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির আম। তবে কেউ যদি অপরিপক্ব আমে কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাতকরণের চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, ‘সাতক্ষীরায় নিরাপদ আম বাজারজাতকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার আমের সুনাম রয়েছে। এই সুনাম ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। নির্ধারিত দিনের আগে গাছ থেকে আম পাড়া যাবে না মর্মে আম ব্যবসায়ী ও চাষিদের সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়া অপরিপক্ব আম কেমিক্যাল মিশিয়ে বাজারজাতকরণের চেষ্টা করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: নুরুল ইসলাম জানান, কোনভাবেই আমে রাসায়নিক দ্রব্য কেমিক্যাল বা বিষ প্রয়োগ করা যাবে না। জেলার সকল আম ব্যবসায়ীদের এ ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল জেলা নিরাপদ আম বাজারজাতকরণ ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং করা হয়েছে। সেখানে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কোন আম কোন তারিখ থেকে ব্যবসায়ীরা ভাঙতে পারবেন। কেউ আমে ক্যামিকেল বা রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগের খবর পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop