৩:৩৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল আতঙ্ক
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ৩, ২০২১ ১২:১০ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে শিয়াল আতঙ্ক
প্রাণ ও প্রকৃতি

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৬টি উড়োজাহাজ ওঠানামা করে। কিন্তু নানা কারণে বিমানবন্দরের রানওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রাচীরের নিচের ফাঁকা জায়গা দিয়ে অনায়াসেই ভেতরে ঢোকা যায়। অনেকে ভেতরে ঢুকে ঘাসও কাটেন। বিমানবন্দরের আশপাশের জঙ্গল থেকে শিয়ালসহ বিভিন্ন জীবজন্তু প্রায়ই রানওয়েতে উঠে পড়ে। বিমানবন্দরের একাধিক কর্মকর্তা মনে করেন, এসব কারণে যে কোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

সৈয়দপুর বিমানবন্দর নিয়ে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের-৪ (এপিবিএন) অধিনায়ক জয়নুল আবেদীনের পক্ষ থেকে গত ২৬ অক্টোবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ও সিভিল এভিয়েশন অব বাংলাদেশে (সিএএবি) পাঠানো ওই চিঠিতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার ঝুঁকির বিষয়টি উঠে আসে।

জয়নুল আবেদীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিমানবন্দরের সীমানা প্রাচীরের নিচে ফাঁকা থাকা এবং ড্রেন খোলা হওয়ায় প্রতিদিন বাইরের লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে ঘাস কাটে। যে কোনো দুষ্কৃতকারী রানওয়েতে ঢুকে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই সীমানা প্রাচীর সংস্কার করা প্রয়োজন। বিমানবন্দর এলাকার চারদিকে ও রানওয়েতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। সীমানা প্রাচীরের নিচে খোলা ও চারপাশে জঙ্গল থাকায় বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণের সময় শিয়াল বা যে কোনো বন্যপ্রাণী দ্বারা উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও চিঠিতে আশঙ্কা করা হয়।

নিরাপত্তা প্রাচীরের নিচে সুড়ঙ্গ আছে স্বীকার করে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, এলাকাবাসী এটা করেছে। তারা সুড়ঙ্গ করে ভেতরে ঢোকে। অনুমোদন পেলে প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধসহ নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ‘সেন্ট্রি পোস্ট’ ও ‘ওয়াচ টাওয়ার’ নির্মাণ করতে হবে। উড়োজাহাজ উড্ডয়ন-অবতরণের সময় যাত্রীদের লাগেজসহ মালামাল আরও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। বাড়াতে হবে পার্কিং এলাকায় টহল ও ভিআইপি গেটসহ প্রবেশমুখের নিরাপত্তা। সিভিল এভিয়েশনের সিসি ক্যামেরা ভাগাভাগিসহ নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতা ও সমন্বয়ও জরুরি।

জানা গেছে, ২০১২ সালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করা হয়। সাত বছর না যেতেই ২০১৯ সালের ২৪ আগস্ট প্রাচীরের ১০০ ফুট ধসে পড়ে। বিভিন্ন অংশে ফাটলও দেখা দেয়। নিম্নমানের হওয়ায় ২০১৭ সালেও প্রায় ১২০ ফুট সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়েছিল।

এদিকে ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে গতকাল বিকালে রাজধানীর কুর্মিটোলা সিভিল এভিয়েশনের প্রধান কার্যালয়ে বৈঠক হয়। তাতে সভাপতিত্ব করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। বৈঠকে ঢাকার বাইরের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিমানবন্দরের চারদিকে নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণ, প্রাচীরের সুড়ঙ্গ বন্ধ করা, ভেতরে যাতে মানুষ ও জীবজন্তু প্রবেশ করতে না পারে, দেওয়া হয় সেই নির্দেশনাও

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop