৪:৩৪ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ব্রয়লার খামারে গত ৫ বছরে লসের মুখ দেখেন নি যিনি…
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২১ ৮:১২ অপরাহ্ন
ব্রয়লার খামারে গত ৫ বছরে লসের মুখ দেখেন নি যিনি…
পোলট্রি

শখের বসে মানুষ তো কত কিছুই করে, অনেকেই আবার সেই শখের উপর ভিত্তি করেই হয়ে ওঠেন স্বনির্ভর । এমনই এক যুবক চট্টগ্রাম জেলার পশ্চিম মীরসরাই এর মোঃ ফরহাদ হোসেন । ১ দশক আগে এসএসসি পাশের পর শখের বসে বাবার দেওয়া ১০০ পিস সোনালী মুরগি দিয়ে শুরু করেন খামার, আজ সেই খামারে মুরগির সংখ্যা ২০০০, খামারটি পরিনত হয়েছে নিজের পরিচয়ের অন্যতম মাধ্যম । ১ দিনের বাচ্চা কিংবা রেডি মুরগির বাজার যাই হোক না কেন গত ৫ বছরে একবারের জন্যেও লসের মুখ দেখেন নি তিনি । সর্বশেষ ২০১৫ সালে সোনালী মুরগিতে লস হয়েছিল, এরপর শুরু করেন ব্রয়লার এবং আজ অবধি কোন ব্যাচেই লস হয়নি তার । এগ্রিভিউ২৪.কম এর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে খামারে সাফল্যের রহস্য ।

একাউন্টিং এর ছাত্র ফরহাদ হোসেন হিসেব টা ভালোই বুঝেন । তাই বাজার পরিস্থিতি আর চাহিদার কথা বিবেচনা করে যেমন খামারে মুরগি তোলেন পাশাপাশি বিশেষ গুরুত্ব দেন ব্রুডিং এ ।  ফরহাদ হোসেনের ভাষায় – “আমার চিন্তা থাকে ব্রুডিং থেকে শেষ অবধি মুরগির যত্ন নেওয়া, আর ব্রয়লারে মুরগি মারা না গেলে ইনশাআল্লাহ লস হবে না, তাই খামার ম্যানেজমেন্টের উপর জোর দিয়ে থাকি সব সময় ।”

খামার ব্যবসায় সফলতার চাবিকাঠি কি এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সব সময় খামার এ ভালো ব্রান্ডের এ গ্রেডের বাচ্চা নেই, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন করি-কোন ভ্যাকসিনই বাদ দেই না, মুরগিকে ভালো ফিড ও পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি দেই, সঠিক বায়োসিকিউরিটি অনুসরণ করি; লিটার ম্যানেজমেন্ট,পর্দ্দা ম্যানেজমেন্টের উপর গুরুত্ব দেই এবং যেকোন সমস্যা দেখা দিলে কালক্ষেপন না করে ভেটেরিনারি ডাক্তারের শরণাপন্ন হই, তাই আল্লাহর রহমতে সব সময় ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি এবং মুরগিও কম মারা যায়” ।

২০১১ সালে খামার শুরু করে ১০ বছরে অনেকেই ১০,০০০ মুরগির খামার করে ফেলেন, কেউবা আরোও বেশি । কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ফরহাদ হোসেন । বর্তমানে ২টি শেডে ২০০০ ব্রয়লার মুরগি আছে। খামার বড় না করার কারণ কি জানতে চাইলে তিনি জানান – প্রথমে ১০০ মুরগির খামার, তারপর ৩০০ মুরগীর খামার, তারপর ৭০০ মুরগীর খামার, সর্বশেষ ২০১৫ তে ২ হাজার মুরগির শেড করি। এরপর থেকে আল্লাহর রহমতে কখনও আমার লস হয়নি । তবে সত্যি কথা বলতে তখন ১ হাজার মুরগিতে যে পরিমান লাভ হতো, বর্তমানে ২ হাজার মুরগিতে সেই অনুপাতে লাভ আসে না । ছোট খামার ম্যানেজ করা সহজ বেশি এবং খামারে নিজের সময় দেওয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ । খামারের পাশাপাশি বর্তমানে মুরগির সেল সেন্টার এবং পোল্ট্রি ফিডসের দোকান পরিচালনা করছি । আপাতত ২ হাজার মুরগির শেড নিয়ে ভালোই আছি। আগামীতে পোল্ট্রির সুদিন আবার আসলে আরো শেড বাড়াবো ইনশাআল্লাহ । 

 

ফরহাদ হোসেনের মত দেশের প্রান্তিক খামারিগণ সাফল্য লাভ করবে এমনটাই প্রত্যাশা…

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop