৩:৪৬ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক ২০২২ পাচ্ছেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ৪, ২০২২ ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য একুশে পদক ২০২২ পাচ্ছেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ
প্রিয়মুখ

শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এ বছর একুশে পদক পাচ্ছেন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য দেশের ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিককে ২০২২ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ-এর নিরলস প্রচেষ্টা ও সুযোগ্য নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস, কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র, ঢাকার পূর্বাচলে ‘টিচিং অ্যান্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার’ স্থাপন এবং কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমাণ গবেষণা তরি নির্মাণের ফলে-এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশে আমূল পরিবর্তন এসেছে।

তাঁর একক প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সিভাসু’র দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং চুক্তির আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী বিদেশে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাচ্ছে। প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ কর্তৃক বহুমুখী কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে সিভাসু বর্তমানে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’-এ পরিণত হয়েছে।

দেশে অতিমারি কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর তা দ্রত শনাক্তকরণ অপরিহার্য হয়ে পড়ায় প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ-এর একান্ত আগ্রহে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে সিভাসু’তে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন করা হয়। এছাড়াও করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ জোরদার করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সিভাসু’র নিজস্ব ২টি আরটি-পিসিআর মেশিন ও একটি বায়োসেফ্টি ক্যাবিনেট চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুরকে প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে চাঁদপুর শহরে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে বায়োসেফ্টি ক্যাবিনেটসহ আরেকটি আরটি-পিসিআর ল্যাব (সিভাসু’র নিজস্ব জনবল দ্বারা পরিচালিত) স্থাপন করা হয়। তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে সিভাসু’তে করোনাভাইরাস নিয়ে এই পর্যন্ত ০৮টি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে এবং আরও কয়েকটি গবেষণা চলমান রয়েছে।

কোভিড-১৯ অতিমারির কঠিন সময়ে তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেমিস্টারের অনলাইন ক্লাস ও ফাইনাল পরীক্ষাসমূহ অত্যন্ত সফলতার সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে সিভাসু’র শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে রয়েছে।

প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি ১৯৮৫ সালে এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি বিষয়ে বিএসসি অনার্স পাশ করেন। ১৯৮৬ সালে পোল্ট্রি নিউট্রিশন বিষয়ে এমএসসি এবং ২০১২ সালে একই বিষয়ে সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর চার বছরের জন্য সিভাসু’র উপাচার্য পদে যোগদান করেন। গত ৯ ডিসেম্বর ২০১৮ তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে সিভাসু’র উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং অদ্যাবধি উক্ত পদে নিয়োজিত রয়েছেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop