৪:৩৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কমছে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন
ads
প্রকাশ : মে ১৯, ২০২২ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে কমছে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন
কৃষি বিভাগ

পটুয়াখালী সহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে নানা প্রতিকূলতায় কমছে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন। গত এক দশকে এই জেলায় সরিষা এবং তিল ফসলের চাষাবাদ কমেছে আশঙ্কাজনকভাবে, তবে সাম্প্রতিক সময় জেলায় সূর্যমুখী এবং চিনা বাদামের উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে। তবে এলাকা ভেদে কৃষকের মাঠে আবারও কিভাবে তেল জাতীয় ফসল গুলো ফিরিয়ে আনা যায় সে বিষয়ে কাজ করার কথা জানালেন কৃষিমন্ত্রী।

একটা সময় ছিল যখন কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল নিজেরাই উৎপাদন করতো। আর এ জন্য চাষ হতো সড়িষা, তিল, বাদাম, সূর্যমুখী। এ ছাড়া সড়কের পাশে কিংবা জমির আইলে লাগানো ভেরেন্ডা(ভেড়ন) থেকেও কৃষক পরিবার গুলো তেল সংগ্রহ করতো। তবে গত কয়েক দশকে বাজারে সয়াবিন এবং পাম ওয়েল সহজলভ্য হওয়ায় এসব ফসলের চাষাবাদ আশংকাজনক ভাবে কমেছে। ফলে শহর থেকে প্রত্যান্ত গ্রামেও এখন আমদানি নির্ভর ভোজ্য তেলের উপর নির্ভর করতে হয়।

দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীতেও দিন দিন কমছে সরিষা এবং তিলের চাষ। দেরিতে আমান ধান কাটা, সেচের সুবিধা না থাকা, উচ্চ ফলনশীল বীজের সংকট এবং সার ও কিটনাশকের উচ্চমূল্যের কারনে তেল জাতীয় ফসলের আবাদে আগ্রহ কমছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বহালগাছিয়া এলাকার কৃষক ইদ্রিস শেখ বলেন, আগে আমরা সব গিরস্ত বাড়ির লোকজনে সড়িষা চাষ করতাম। কিন্তু এখন আর কেউ চাষ করে না। এখন সব জায়গায় তো সয়াবিন তেলেই চলে, তাই বাজার থেকে সয়াবিন তেল কিনা আনি।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যসূত্র জানা যায়, পটুয়াখালী জেলায় গত বছল ৩৪৭ হেক্টর জমিতে সড়িষা আবাদ হলেও এ বছর আবাদ হয়েছে ২২৪ হেক্টর জমিতে, আর গত বছর ৩৭২ হেক্টর জমিতে তিল আবাদ হলেও এবার আবাদ হয়েছে ১০৯ হেক্টর জমিতে। তবে সরকারী সহযোগীতা খাকায় সূর্যমুখী এবং চিনা বাদামের ফলন বাড়ছে। গত বছর পটুয়াখালী জেলায় ৪০০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী চাষ হলেও এবার ৭৭৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে আর গত বছর ৪৪০০ হেক্টর জমিতে চিনা বাদাম চাষ হলেও এবার হয়েছে ৫৭৮৩ হেক্টর জমিতে।

সম্প্রতি পটুয়াখালী সহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে সফরে এসে এই এলাকার মাটি উপযোগী তেল ফসলের চাষাবাদ বাড়ানোর কথা জানালেন কৃষি মন্ত্রী ড.আব্দুর রাজ্জাক। এ জন্য চরের উর্বর বালি মাটিতে চিনা বাদাম চাষের প্রতি গুরুত্ব দেন তিনি।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop