৪:৩৯ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ফেনীতে কুল চাষ করে লাভবান কৃষক আছমত আলী
ads
প্রকাশ : ফেব্রুয়ারী ১০, ২০২২ ৪:০২ অপরাহ্ন
ফেনীতে কুল চাষ করে লাভবান কৃষক আছমত আলী
এগ্রিবিজনেস

ফেনীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে নানা রকমের স্বাদের কুল চাষ। ফেনী সদর উপজেলার কাজিরবাগে ৪০ শতক জমিতে কাশ্মীরী, বল সুন্দরী, বাউকুল, আপেল কুলসহ নানা জাতের কুল চাষ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষক আছমত আলী।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, আসমত আলীর দেখা-দেখি জেলার অন্য কৃষকরাও কুল চাষাবাদে ঝুঁকবেন। ফেনীর মাটি ও জলবায়ু কুল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী।

কৃষক আছমত আলীর কুল বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ফলে নুয়ে পড়ছে গাছগুলো। সবুজ কুল গাছগুলো ভরপুর হয়ে আছে নানা রঙের কুলে। তিনি জানান, মেঘনা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায় তার বাড়ি। সব হারিয়ে বেশ কয়েক বছর আগে চলে আসেন ফেনীতে। ফেনী সদর উপজেলার কাজির বাগ ইউনিয়নের হানিফ মজুমদার বাড়িতে পরিবারসহ ভাড়া বাসায় থাকেন। দীর্ঘদিন রিকশা, ভ্যান চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঝুঁকেছেন কৃষিতে। বন্যা, রোদ ও কুয়াশায় সেখানেও গুণছিলেন লোকসান।

স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমানের পরামর্শে নামেন কুল চাষে। অবশেষে বন্যা, রোধ সহিষ্ণু কুল চাষে তিনি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এ ফল চাষাবাদকে অনেক সম্ভাবনা বলেও মনে করছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাগানে ৪০ শতক জায়গায় ১০০টি চারা লাগানো হয়েছে। কৃষক একবছরে যে লাভ পাচ্ছে, তাতে তিনি যেমন লাভবান হবেন তেমনি দেশও লাভবান হবে। পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি দেশ বাণিজ্যিক কৃষিতে এগিয়ে যাবে। এ বছরের চাইতে পরের বছরগুলোতে দ্বিগুণ লাভবান হবেন। কারণ প্রথম বছর কিছু স্থায়ী খরচ হয়। যা পরের বছরগুলোতে হবে না।

চাষী আছমত আলী জানান, গত বছরের মার্চ মাসে পাবনা থেকে বলসুন্দরী, কাশ্মিরী, আপেল কুল ও বাউকুল জাতের ১০০ চারা এনে রোপণ করেছিলাম। এর মধ্যে বল সুন্দরী ও কাশ্মিরী প্রতি পিচ চারা ৮০ টাকা, আপেল কুল প্রতি পিচ চারা ১৫ টাকা, বাউকুল প্রতি পিচ চারা ১২ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

প্রতি গাছে ৯ থেকে ১২ কেজি ফলন হয়েছে। প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বাগান থেকে অনেকে এসে কুল কিনে নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা বিক্রি হয়েছে। চলতি মৌসুমে বাগান থেকে ১ লাখ টাকার বেশি কুল বিক্রি করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি জানান, চারা, চার পাশের বেড়া, উপরের বিশেষ নেট ও জমি তৈরিসহ আনুষাঙ্গিক কাজে ৭০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু স্থায়ী খরচ রয়েছে, যা পরের বছরগুলোতে আর লাগবে না।লাভের পরিমাণ পরের বছরগুলোতে আরো বৃদ্ধি পাবে।

কৃষক আছমত আলীর এ কুল বাগান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল-হাসান। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, এ ধরনের ফল চাষে কৃষক লাভবান হচ্ছে। আবার তার দেখাদেখি অন্য কৃষকও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। এতে কৃষি বিভাগের উৎপাদন ও সমৃদ্ধ কৃষির লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক তারিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার একটি বড় লক্ষ্য পুষ্টি নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে এবং সরকার কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ করার লক্ষ্যে বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার উচ্চ মূল্যের ফল, বিভিন্ন শাক-সবজি এবং ফসল উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে। এ লক্ষ্য সফল করতে কাজিরবাগে এ বড়ই চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।

জালাল ভূঁইয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, ভেজালমুক্ত কুল কিনতে এখানে এসেছি। প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত কুল কিনতে মানুষের আগ্রহ বেশি। সচরাচর এভাবে সরাসরি বাগান থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাই এখানে এসেছি।

আছমত আলী বলেন, তার নিজের কোন জমি না থাকলেও স্থানীয় বিভিন্ন মানুষ থেকে জমি বর্গা ও ইজারা নিয়ে প্রায় ৩০০ শতক জমিতে তিনি কুল চাষের পাশাপাশি সিম, টমেটো, বেগুন, আলু, করলা, মেটে আলু, ,লাল শাক, পালং শাক, মুলা ও মুলার শাকসহ বিভিন্ন শীত ও গ্রীষ্মকালীন সবজিরও আবাদ করেন।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop