২:৪৫ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট
ads
প্রকাশ : অগাস্ট ৫, ২০২১ ৫:৪৪ অপরাহ্ন
মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট
মৎস্য

মৎস্য চাষ ও পোনা উৎপাদন উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট। প্রতি বছরই এ জেলায় বাড়ছে মাছ উৎপাদন। বৈশ্বিক মহামারী করোনাকালেও জেলায় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে পুকুর, বিল ও অন্যান্য জলাশয় থেকে ২৩ হাজার ১৭৯ টন মাছ উৎপাদন হয়েছে, যা চাহিদার তুলনায় ৩ হাজার ১৬৮ টন বেশি। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরেও মাছ উৎপাদন হয়েছিল ২২ হাজার ৫১৩ টন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর সূত্র জানা যায়, বর্তমানে জয়পুরহাট জেলার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের জন্য এক বছরে মাছের চাহিদা ২০ হাজার ১১ টন। জেলার পাঁচ উপজেলায় মাছের মোট উৎপাদন হয়েছে ২৩ হাজার ১৭৯ টন। জেলার চাহিদা মিটিয়ে ৩ হাজার ১৬৮ টন উদ্বৃত্ত রয়েছে। উদ্বৃত্ত এ মাছ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে।

এদিকে জয়পুরহাটে মাছের পোনার চাহিদা ১০ কোটি। বিপরীতে পোনা উৎপাদন হয় ১২ কোটি ২৭ লাখ। এক্ষেত্রেও চাহিদার তুলনায় ২ কোটি ২৭ লাখ পিস বেশি। এর মধ্যে রুই, কাতল, মাগুর, শিং, মৃগেল এসব জাতের পোনা উৎপাদিত হয়। জেলায় রেণু থেকে পোনা তৈরির কাজে নিয়োজিত আছেন প্রায় ২০০ জন।

এছাড়া জেলায় ১৮ হাজার ১২৪টি বদ্ধ জলাশয় থেকে মাছ উৎপাদন হয়েছে ২২ হাজার টন এবং ৫১টি মুক্ত জলাশয় থেকে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ১৬৮ টন।

জেলা মৎস্য অধিদপ্তর মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে এ জেলায় চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তিসেবা সম্প্রসারণ প্রকল্প, রাজশাহী বিভাগের মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি ফেস-২ প্রকল্প।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সরদার মহীউদ্দিন জানান, মাছ চাষে উদ্বৃত্ত হওয়ার কারণে জেলায় গড়ে উঠেছে আটটি মৎস্য খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। হ্যাচারি রয়েছে ১১টি। এর মধ্যে দুটি সরকারি ও নয়টি বেসরকারি। বরফকলের সংখ্যা ১০টি। জেলায় মৎস্য বাজার রয়েছে ৭২টি আর মৎস্য আড়ত ২০টি। খুচরা বিক্রেতাসহ মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭৮৩। নিবন্ধনকৃত জেলে ৩ হাজার ৮০০ জন। এছাড়া আরো অনেকে নিবিড়ভাবে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। নদী-আধাবদ্ধ জলাশয়ে সমাজভিত্তিক মাছ চাষ কার্যক্রমের আওতায় খাঁচায়ও মাছ চাষ করা হয় এ জেলায়।

মাছ ধরতে গিয়ে কারো মৃত্যু হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাত্ক্ষণিকভাবে ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এতে জেলেদের নিরাপত্তা অনেকাংশে বেড়েছে বলেও জানান তিনি। রোগবালাই দমনসহ চাষীদের সঠিক নিয়মে মৎস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলা মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

জেলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, এ জেলায় মৎস্য চাষ আরো সমৃদ্ধ করতে এবং চাষীদের এ পেশায় ধরে রাখতে কৃষিঋণের মতো সহজশর্তে মৎস্যঋণ দিতে হবে। তিনি আরো জানান, জেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ মৎস্য খাতে কাজ করে জীবিকানির্বাহ করছেন। মৎস্য চাষের সঙ্গে জড়িতদের সরাসরি আর্থিকভাবে সহযোগিতার পরিবর্তে মৎস্য চাষের জন্য জাল, আধুনিক যন্ত্র ও প্রযুক্তিসেবা দিতে হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop