১২:৫৩ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • ধানের ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতার ব্লাইট রোগ
ads
প্রকাশ : জুলাই ২০, ২০২৩ ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
ধানের ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতার ব্লাইট রোগ
কৃষি বিভাগ

ধানের রোগবালাইয়ের কারণে উৎপাদনে গড়ে ১০ শতাংশ হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে, সঠিক পদ্ধতিতে সঠিক সময়ে প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে তা ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে। অধিক উৎপাদন ও আয় পেতে ধানের প্রধান রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ অপরিহার্য।

ব্যাকটেরিয়াজনিত পাতার ব্লাইট রোগ

Xanthomonas oryzae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা এই রোগ হয়, এই রোগে পাতার উপরের অংশ থেকে শুরু করে এক বা উভয় প্রান্ত দিয়ে নিচের দিকে শুকিয়ে যেতে থাকে। এবং পাতা ফ্যাকাশে হলুদ হয়ে যায়। এ রোগে আক্রান্ত গাছের পাতা শুকিয়ে যায় এবং দানা খালি থাকে যার কারণে উৎপাদনশীলতা ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।

 

নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত

রোগমুক্ত প্রত্যয়িত বীজ ব্যবহার করতে হবে।

এই রোগের বিস্তার রোধ করার জন্য,সময়ে সময়ে নিষ্কাশন ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

মাটি পরীক্ষার পর নাইট্রোজেন সুষম পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে,সুপারিশকৃত পরিমাণের বেশি নাইট্রোজেন ব্যবহার করলে এ রোগের বিস্তার ও বিস্তারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

 

এ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ৭৫ গ্রাম এগ্রিমাইসিন ১০০ এবং ১.৫ কেজি কপার-অক্সিক্লোরাইড ৫০০ লিটার পানিতে মিশিয়ে হেক্টর প্রতি তিন থেকে চার বার স্প্রে করতে হবে। এই রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই প্রথম স্প্রে করতে হবে এবং তারপরে প্রয়োজন অনুসারে ১০-১২ দিনের ব্যবধানে স্প্রে করতে হবে।

এলাকা নির্দিষ্ট রোগ প্রতিরোধী ও প্রত্যয়িত স্ট্রেইনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

 

খাপ ব্লাইট (ঝলসে যাওয়া)

এই রোগের উপসর্গ সাধারণত পাতায় ও পাতার খাপে ২-৩ সেন্টিমিটার লম্বা এবং কিছুটা সবুজ বাদামী রঙের দাগের আকারে দেখা যায়, যা পরে হালকা হলুদে পরিণত হয় যা কিছুটা নীলাভ ধূসর বর্ণে পরিণত হয়। বেল্ট।  এই রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত ২-৩ সেন্টিমিটার লম্বা দাগের আকারে দেখা যায় এবং পাতা এবং পাতার চাদরে সামান্য সবুজ বাদামী বর্ণ ধারণ করে যা পরে হালকা হলুদে পরিণত হয় যা কিছুটা নীলাভ ধূসর বর্ণে পরিণত হয়। বেল্ট তীব্র সংক্রমণের সময়, স্ক্লেরোটিয়া দানার উপরও তৈরি হয় এবং দানাগুলি অসুস্থ কানে খালি থাকে। ঘন রোপণ এবং অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার এই রোগের বিকাশ ও বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।

 

নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি

ক) ঘনভাবে রোপণ করবেন না।

খ) অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করবেন না।

গ) মাটি পরীক্ষার পর সুষম নাইট্রোজেন সার প্রয়োগ করুন।

ঘ) ফসলের ঘূর্ণন অনুসরণ করুন।

ঙ) সংক্রমিত ও রোগাক্রান্ত গাছপালা এবং ফসলের অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করে নিরাপদ স্থানে পুড়িয়ে ফেলুন।

চ) এর প্রতিরোধের জন্য কার্বেনডোজিম 50 ডব্লিউপি 500 গ্রাম বা হেক্সোকোনাজল 500 মিলি 500 লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রতি হেক্টর হারে আক্রান্ত ধান ফসলে স্প্রে করতে হবে।

ছ) ফসলে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে নাইট্রোজেন সারের পরিমাণ কমাতে হবে এবং পটাশ ব্যবহার করতে হবে।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop