৩:১০ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বোরো বীজতলা
ads
প্রকাশ : ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩ ৩:২১ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বোরো বীজতলা
কৃষি বিভাগ

গোপালগঞ্জে ৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বোরো বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর । এ বীজতলার চারা দিয়ে জেলার ৫ উপজেলার ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমি চাষাবাদ করা হবে। ইতিমেধ্য ৪ হাজার ৩৮৫ হেক্টর জমির বীজতলা করেছে কৃষক। বাকী ২৮৪ হেক্টরে বীজতলা প্রস্তুতের কাজ চলছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আঃ কাদের সরদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৮১ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব জমি চাষাবাদের জন্য ৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরে বীজতলা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৫৪.২ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ৫৩০.২ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৫৩৫,২ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫৮০.২ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩৮৫.২ হেক্টর জমিতে মোট ৪ হাজার ৩৮৫ হেক্টরে বীজ তলা করা সম্পন্ন হয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরো জানান, জেলার কিছু জমিতে দেরীতে বোরো ধানের আবাদ হয়। সেসব জমিতে বোরো আবাদের জন্য আরো ২৮৪ হেক্টরে বোরো বীজতলা প্রস্তুত করছেন কৃষক।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সঞ্জয় কুন্ডু বলেন, নি¤œজলা ভূমি বিশেষ করে বিল বেষ্টিত জেলা গোপালগঞ্জ। এ জেলায় ১ ফসলী জমি বেশি। এসব জমিতে কৃষক বছরে ১ বার বোরো ধান আবাদ করেন। বোরো ধান এ জেলার কৃষকের প্রধান কৃষি পণ্য। তাই বোরো আবাদে কৃষক সবচেয়ে বেশি সময় দেন। বোরো থেকেই কৃষক সারা বছরের ধান সংগ্রহ করেন। এ কারণে মৌসুমের শুরুতেই কৃষক বোরো আবাদে নেমে পড়েছেন। তারা বীজতলা তৈরী করেছেন। বেশি ধান উৎপাদনের লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন। তাই লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও এ জেলায় বেশি বোরা আবাদ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তারা বলেন, বোরো নির্ভর জেলা গোপালগঞ্জ। এ জেলার কৃষকরা বীজতলার কাজ প্রায় সম্পন্ন করে ফেলেছেন। এখন তারা জমি চাষাবাদ দিয়ে ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলছেন। কিছু কিছু জায়গায় ধান আবাদ শুরু হয়েছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাঠি গ্রামের কৃষক সবেদ আলী বলেন, সরকার আমাদের ১ বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য প্রণোদনার বীজ-সার দিয়েছে। এছাড়া বাজারে প্রচুর সার ও ধান বীজের সরবরাহ ছিল। তাই আমি বাজার থেকে সার ও বীজ কিনেছি। সহজে সার-বীজ পাওয়ায় এ বছর আমি ১ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করছি। ভালো বীজতলা করেছি। এখন সেখান থেকে চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণ শুরু করেছি। গত বছর এ ১ হেক্টরে হাইব্রিড ধানের আবাদ করে ১০ টন ধান পেয়েছিলাম। এতে লাভ হয়েছিল। হাইব্রিড ধান মোটা। তাই সব ধান বিক্রি করে দিয়েছিলাম। খাবার ধান ছিল না। এবছর হাইব্রিড ধানের পাশাপাশি উচ্চ ফলনশীল জাতের (ইনব্রিড) ধানেরও আবাদ করছি। হাইব্রিড ধান বিক্রি করে দেব। আব চিকন উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান রেখে দেব খাবার জন্য।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop