৩:১৮ অপরাহ্ন

শনিবার, ২৭ এপ্রিল , ২০২৪
ads
ads
শিরোনাম
  • হোম
  • বিক্রি না হওয়া পশু নিয়ে চরম বিপাকে খামারিরা
ads
প্রকাশ : জুলাই ২৪, ২০২১ ২:৪৫ অপরাহ্ন
বিক্রি না হওয়া পশু নিয়ে চরম বিপাকে খামারিরা
প্রাণিসম্পদ

বিক্রি না হওয়া পশু নিয়ে বিপাকে চরম পড়েছে খামারিরা। ব্যাংক ঋণ নিয়ে চড়া দামের খাবারে দিয়ে পালন করে এখন প্রায় ৫০ শতাংশই বিক্রি করতে না পেরে চরম বিপাকে পড়ছেন খামারিরা।

জানা যায়, এবারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা ছিল বেশি। যে তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিল যৎসামান্য। ফলে যারা বড় গরু বিক্রির জন্য ঢাকার বাজারগুলোতে এসেছিল তাদের ৫০-৯০ শতাংশ পশুই অবিক্রিত থেকে গেছে। তবে ঢাকায় বিক্রি জন্য আনা খামাড়িদের গড়ে প্রায় ৫০ শতাংশ গরু অবিক্রিত রয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সরকারি তথ্য বলছে, কোরবানি উপযোগী গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার। তবে কি পরিমাণ গরু বিক্রি হয়েছে তার পরিসংখ্যান এখনো হাতে পায়নি অধিদপ্তর। পরিসংখ্যান যাই আসুক কোরবানী আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলেই ধারণা খামারিরা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছর ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি গরু প্রস্তুত ছিল। এর মধ্যে বিক্রি হয়েছিল ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি। গত বছরও করোনার কারণে পশু কোরবানি কম হয়। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে যথাক্রমে এক কোটি সাড়ে পাঁচ লাখ ও ১ কোটি ছয় লাখ ছাড়িয়েছিল কোরবানির সংখ্যা।

পলিসি রিসার্চ ইনষ্টিটিউট অব বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, “বড় শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতারা আগে ৫-৬টা করে গরু কিনতো। কিন্তু এবারে হয়তো তারা একটা গরু কোরবানি করেছে। পাড়া-মহল্লায় বড় গরু কিনে শো-অফের ব্যাপারটা এবার ছিল না। হয়তো যারা দলবল নিয়ে গরু কিনতো তারা এবার করোনার ভয়ে হাটেই যায়নি”।

তিনি বলেন, “রাজনীতিবিদ ও শিল্পপতিরা বড় গরু কিনতো এবং মাংস অন্যান্যদের মাঝে বিলিয়ে দিত। করোনার কারণে এবার সে অবস্থা ছিল না। অন্যদিকে মানুষের হাতে টাকা কম থাকায় অনেকে হয়তো কোরবানিই দেয়নি”।

মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ‘বাবু ক্যাটেল এগ্রো’র মালিক ওমর ফারুক গাবতলী হাটে ৬০টি গরু এনেছিলেন যেখান থেকে বিক্রি করেছেন ১০টি। তিনি জানান, “তিন লাখ টাকার গরু এক বছর পালনের পর যদি দুই লাখ টাকা দাম চায় তাহলে সেটা বিক্রি করা যায় না।” তিনি জানান, ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে সারাবছর গরু পালন করেছেন কোরবানির সময় বিক্রি করবেন বলে।

শুধু খামারিরাই নয়, এবার বড় ধরনের চাপে পড়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও। যারা সারাদেশের বিভিন্ন খামার থেকে গরু কিনে ঢাকায় আনেন ব্যবসার উদ্দেশ্যে। কিন্তু তারাও এবার লাভের মুখ দেখতে পারেননি।

খামারি, ব্যবসায়ী, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ এ খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বছর পশু কোরবানি অন্যান্য বছরের চেয়ে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ বা তার চেয়ে বেশি-কম হতে পারে। তবে এর এখনো কোন সঠিক পরিসংখ্যান তৈরি হয়নি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা: শেখ আজিজুর রহমান জানান, “পরিসংখ্যানটি এখনো তৈরি হয়নি। আগামী সপ্তাহে এটি জানা যাবে”।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন (বিডিএফএ) এর সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ এমরান জানান, “খামারিদের যারা বড় গরু বাজারে এনেছিল তাদের প্রায় ৫০ শতাংশই অবিক্রিত রয়েছে। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছে তাদের অবস্থা শোচনীয়। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতেই এখন এদেরকে পথে বসতে হবে।”

খামারিরা বলছেন, যারা গরু বিক্রি করতে পারেনি, উল্টো ঢাকায় এসে বাড়তি কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে তাদের এখন গরু পালন করতেই হিমশিম খেতে হবে। কারণ আগের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করলে নতুন ঋণও পাওয়া যাবে না। অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম ব্যাপক চড়া।

শেয়ার করুন

ads

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

ads

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ads

ফেসবুকে আমাদের দেখুন

ads

মুক্তমঞ্চ

scrolltop